কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, বিজিবির প্রতিবাদ
Published: 10th, February 2025 GMT
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের বাঁশজানি সীমান্তের ভারতীয় অংশে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ সোমবার সকালে বাংলাদেশ-ভারত সীমার আন্তর্জাতিক মেইন পিলার ৯৭৮-এর সাবপিলার ৯ এসের পাশে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার সাহেবগঞ্জ থানার ঝাকুয়াটারি গ্রামে এই সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করে।
কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবির পরিচালক লে.
বাঁশজানি সীমান্তের স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সোমবার ভোরে বিএসএফের সদস্যরা সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করেছেন। সীমান্ত এলাকায় বিপুলসংখ্যক বিএসএফ সদস্য উপস্থিত রয়েছেন। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে ভয়ের সৃষ্টি হয়েছে। সকাল থেকে বিষয়টি নিয়ে কয়েক দফায় বিজিবি এবং বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়েছে। পতাকা বৈঠকগুলোতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনা হয়েছে বলেও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
বাঁশজানি গ্রামের বাসিন্দা শামীম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী আমাদের মসজিদের পাশে ভারতীয় অংশে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করেছে। ওই সিসি ক্যামেরা ভারতীয় অংশে হলেও ক্যামেরার মুখ বাংলাদেশের দিকে, এতে আমাদের স্বাধীনভাবে চলাফেরায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছে।’
কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভূরুঙ্গামারীর বাঁশজানি সীমান্তের ভারতীয় অংশে বিএসএফের সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করায় আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি। এখন পর্যন্ত তারা ওই ক্যামেরা সরিয়ে নেয়নি। আমরা পতাকা বৈঠকের জন্য ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে আহ্বান জানিয়েছি।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এসএফ র স
এছাড়াও পড়ুন:
সীমান্তে বিএসএফের সিসি ক্যামেরা স্থাপন, বিজিবির প্রতিবাদ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দক্ষিণ বাঁশজানী সীমান্তের শূন্য রেখায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। রোববার রাতে তারা এই সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছে বলে জানায় এলাকাবাসী। এর প্রতিবাদ জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
জানা যায়, উপজেলার পাথরডুবী ইউনিয়নের দক্ষিণ বাঁশজানি সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ৯ এস এর ৯৭৮ নম্বর সীমানা পিলারের পাশে শূন্য রেখার একটি ইউক্লিপটাস গাছে রোববার রাতে বাংলাদেশের দিকে তাক করে একটি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে বিএসএফের ছোট গাড়ল ঝড়া ক্যাম্পের সদস্যরা। সোমবার সকালে স্থানীয়রা বিষয়টি বিজিবিকে জানায়। পরে বিজিবি বিএসএফকে ডেকে এর কড়া প্রতিবাদ জানায় এবং সিসি ক্যামেরা অপসারণ করতে বলেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ নিয়ে বিজিবি–বিএসএফের মধ্যে একাধিক আলোচনা হলেও ক্যামেরা খুলে নিয়ে যায়নি বিএসএফ।
স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণ বাঁশজানি ঝাকুয়াটারী সীমান্তে স্থাপিত আলোচিত দুই দেশের একটি মসজিদ পুনর্নির্মাণ চলছে। এর সন্নিকটে বিএসএফ রাতের অন্ধকারে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করায় আমরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।
মসজিদের মোয়াজ্জিন আলমগীর হোসেন জানান, আমাদের পূর্বপুরুষদের স্থাপিত এই মসজিদটিতে ভারত–বাংলাদেশের মানুষ একসঙ্গে নামাজ পড়ি। দেশভাগের সময় গ্রামের মাঝ দিয়ে সীমান্ত রেখা টানা হলেও একে ঘিরে আমাদের সম্পর্ক আজও ভাগ হয়নি। তখন থেকে আমরা এখনও একসঙ্গে এ মসজিদে নামাজ পড়ি। এটি পুরাতন হলে নতুন করে স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এতে বিএসএফ বাধা দেয়। তাদের বাধায় দুই বছর ধরে মসজিদের কাজ বন্ধ রয়েছে। এবার রাতের অন্ধকারে তারা সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে গেছে। এতে আমাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। বিজিবিকে ক্যামেরা খুলে নিয়ে যেতে বললেও তারা তা করেনি।
কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল মাসুদুর রহমান জানান, শূন্য রেখায় সিসি ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়ে বিএসএফকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা ক্যামেরা অপসারণের আশ্বাস দিয়েছেন।