মঞ্চ কিংবা টেলিভিশন, ওটিটি কিংবা সিনেমা- সবখানেই এখন সরব অভিনেত্রী রুনা খান। তবে এসবের বাইরেও তিনি একজন মডেল। যার ঝলক মাঝেমাঝেই দেখা যায়।

এবার বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশান টেকনোলজি কনভোকেশন ফ্যাশন শোতে শো-স্টপার হিসেবে পাওয়া গেলো তাঁকে। ছবি: ফেসবুক

শো শেষে অভিনেত্রী সাদিয়া ইসলাম মৌয়ের প্রসংসা করতে বাদ দিলেন না রুরা খান। বলেন, ‘মৌ আপু এক সময় আমার স্বপ্ন ছিলো। এখন তিনি আমার কাছে স্বপ্নের চেয়েও সুন্দর। পৃথিবীতে যত রকমের অনুভুতি আছে তার মধ্যে ভালোবাসা-স্নেহের অনুভুতি সবচাইতে তীব্র। মৌ আপুর স্নেহের হাত গত ১৮ বছর ধরে আমার মাথার উপরে আছে। সেই মাথায় তোমার হাতটাও সবসময় রেখো।’ ছবি: ফেসবুক

অভিনয় বা মডেলিং, দু’টিই তার কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ এবং দু’টিকে আলাদাভাবে দেখেন না তিনি। ছবি: ফেসবুক

রুনা খান বলেন, ‘তরুণদের সাথে কাজ করা ভীষণ আনন্দ আর উত্তেজনার’। ছবি: ফেসবুক


১৯৮৩ সালের ১১ জানুয়ারি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জন্মগ্রহণ করেন রুনা খান। শৈশব কাটে টাঙ্গাইলের সখিপুর শহরে। ছবি: ফেসবুক

২০০২ সালে নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ে কর্মী হিসেবে যোগ দেন।  ছবি: ফেসবুক

২০০৫ সালে জনপ্রিয় শিশুতোষ ধারাবাহিক ১২৩ সিসিমপুর এর মধ্যদিয়ে তার পেশাগত অভিনয় জীবনের শুরু। ছবি: ফেসবুক

২০১৬ সালে নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের নাম গোত্রহীন মঞ্চনাটকের মঞ্চায়নে তিনি অপি করিমের স্থলাভিষিক্ত হন। ছবি: ফেসবুক

২০১৭ সালে তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ‘হালদা’ চলচ্চিত্রে জাহিদ হাসানের বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি। এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেন। ছবি: ফেসবুক

সম্প্রতি ২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে (ডিআইএফএফ) প্রিমিয়ার হয়েছে রুনা খানের পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘নীলপদ্ম’। এখানে তিনি একজন যৌনকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ছবি: ফেসবুক

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র ফ সব ক

এছাড়াও পড়ুন:

‘আগের ছন্দে বোলিং করতে পারছি’

ছন্দে থাকা বোলার এবাদত হোসেন দুর্ভাগ্যক্রমে চোটে পড়েছিলেন ২০২৩ সালে। ইংল্যান্ডে অস্ত্রোপচার করা, ১৫ মাস চোট পরিচর্যা, লড়াই করার মানসিকতায় ফেরার সংগ্রাম করতে হয়েছে তাঁকে। জাতীয় লিগ দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছেন। খেলেছেন এনসিএল টি২০ টুর্নামেন্টে, বিপিএলে পাঁচ ম্যাচ খেলেই জাতীয় দলে ফেরার অপেক্ষায় আছেন এবাদত। দেড় বছরের সংগ্রাম, নিজেকে ছন্দে ফিরে পাওয়া ও জাতীয় দলে ফেরার  অপেক্ষা নিয়ে সেকান্দার আলীর কাছে মন খুলে কথা বলেছেন এবাদত হোসেন।

সমকাল : বিপিএলের লিগ পর্বে ৯ ম্যাচ বসে ছিলেন। ওই সময়ের অনুভূতি কেমন ছিল?

এবাদত : একজন খেলোয়াড় ম্যাচ খেলার জন্য সব সময় উন্মুখ থাকে। আমারও আকাঙ্ক্ষা ছিল। বিপিএলে খেলার জন্য সেভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। সব সময় চেয়েছি সুযোগ পেলেই নিজেকে মেলে ধরতে। এমনভাবে খেলতে চাইনি, যেন টিম ম্যানেজমেন্ট বলে– ‘তোমাকে সুযোগ দিলাম, অথচ প্রতিদান দিতে পারলে না।’ বরং আমি চেয়েছি এমনভাবে খেলব, যেন ম্যানেজমেন্ট আফসোস করে আরও আগে কেন সুযোগ দিলাম না। নিজেকে সেভাবে প্রস্তুত রেখেছি। সুযোগ পাওয়ার পর আমাকে কিন্তু আর বসে থাকতে হয়নি।

সমকাল : মিরপুরে খুলনার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলার সময় মনের ভেতরে কী কাজ করেছে?

এবাদত : বিপিএলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেশি। ১৭ মাস পর হাইভোল্টেজ টি২০ লিগে ম্যাচে খেলতে নামার পর একটু নার্ভাস ছিলাম। এক-দুটি বল যাওয়ার পর জড়তা কেটে গেছে। যেটা  করতে চেয়েছি, সেটা হচ্ছিল। মুশফিক ভাই বলছিলেন, তুই যেভাবে বলছিস সেটাই করতে থাক। উইকেট পাওয়ার পর চাঙ্গা হয়ে উঠি। আগের আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছি। প্রথম ম্যাচে ৪৫ রান দিয়ে একটি উইকেট পেয়েছি। ওই ম্যাচের পর ম্যানেজমেন্ট আমার ওপর আস্থা রেখেছে; প্লে-অফের কোয়ালিফায়ার ও ফাইনাল ম্যাচ খেলেছি।

সমকাল : জিমি নিশামের মতো অলরাউন্ডার থাকার পরও ফাইনালে খেলার সুযোগ পাওয়া কতটা সম্মানের?

এবাদত : আমি ও আলি পেস বোলার হিসেবে খেলছিলাম। মুশফিক ভাই বল হাতে দিয়ে বলেছিলেন, ‘তোরা দুইজন ছন্দে আছিস। বোলিং ভালো হচ্ছে। ছন্দটা ধরে রাখ।’ মুশফিক ভাই বা তামিম ভাইয়ের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের কাছ থেকে ওই রকম কথা শোনার পর ভালো না করে থাকা যায় না। আমরা ভালো করাতেই শেষ চার ওভারে আমি, মায়ার্স ও আলি ৩১ রান দিয়েছি। স্লগে রান চেক দেওয়া সম্ভব না হলে চিটাগংয়ের রান দুইশ ছাড়িয়ে যেত। ওটা হতে না দেওয়ায় মনস্তাত্ত্বিক সুবিধা ছিল।

সমকাল : চোট পরিচর্যা করার সময় মনোযোগ ধরে রাখা কতটা কঠিন ছিল?

এবাদত : অনেক কঠিন ছিল। কিছু করারও ছিল না। পেশাদার খেলাধুলায় আবেগের কোনো মূল্য নেই। আমি জানতাম, আমাকে পুরোপুরি ফিট হয়ে ম্যাচে ফিরতে হবে। জাতীয় লিগ দিয়ে শুরু করি। এনসিএল টি২০তে পাঁচ ম্যাচ খেলে ১০ উইকেট নিই। ওই টুর্নামেন্টে পারফরম্যান্স করায় বিপিএলে দল পেয়েছি। প্রতিটি ধাপ অতিক্রম করতে হয়েছে কঠোর অধ্যবসায় দিয়ে। ধৈর্য, একাগ্রতা না থাকলে যে কোনো ইনজুরি থেকে ফেরা কঠিন।

সমকাল : ইনজুরির কারণে দুটি বিশ্বকাপ ও একটি এশিয়া কাপে ছিলেন না। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও মিস করবেন। এই টুর্নামেন্টগুলোতে দল আপনাকে কতটা মিস করেছে?

এবাদত : অনেক মিস করেছে। কারণ আমি পুরোনো বলের বোলার। বিশ্বকাপে পুরোনো বলে বল করার মতো কেউ ছিল না। এ কারণে কোচ, অধিনায়ক বারবার আমার কথা বলেছেন। একটি দলে সব ধরনের বোলার থাকলে অধিনায়ক পরিস্থিতি অনুযায়ী বোলার পরিবর্তন করতে পারেন। আমার চেষ্টা থাকে ব্রেক থ্রু দেওয়া। সেট জুটি ভেঙে দেওয়া। বিপিএলেও তাই করেছি।

সমকাল : বিপিএলে যখন ম্যাচ পাচ্ছিলেন না, আপনাকে প্রতিদিন জিমে দেখা যেত। নেটে বোলিং করতেন নিয়মিত। এগুলো কি রুটিন কাজ ছিল?

এবাদত : হ্যাঁ, রুটিন কাজ ছিল। ফিজিও নাথান যে রুটিন দিয়েছিলেন, সেটি অনুসরণ করেছিলাম। পেশির শক্তি বাড়াচ্ছিলাম। পুরো ছন্দে বোলিং করতে পেরেছি পুনর্বাসন ভালো হওয়াতে। সামনে আরও ভালো হবে। এক-দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলতে পারলে আরও নিখুঁত হবে বোলিং।

সমকাল : প্রধান কোচের সঙ্গে কথা হয়েছে? তারা আপনার বোলিং দেখে কী বলেছেন?

এবাদত : আমাদের অধিনায়ক শান্ত ভাই খুব প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, টেস্ট খেলার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ আছে। ইনশাআল্লাহ সেখানে খেলব। কোচও বলেছেন, ভালো হচ্ছে। ট্রেনার নাথান বলেছেন, ১৪২ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করতে পারছে মানে ফিট। যে কোনো সংস্করণে খেলতে পারবে।

সমকাল : চোট পরিচর্যার লম্বা সময়ে সবার কাছ থেকে কেমন সাপোর্ট পেয়েছেন?

এবাদত : বিসিবি আমাকে সর্বাত্মক সাপোর্ট দিয়েছে। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ, মেডিকেল বিভাগ সব সময় পাশে ছিল। জাতীয় দলের সঙ্গে ভারতে নিয়ে গেছে নেটে অনুশীলন করার জন্য। এই যে জাতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া, তা মেন্টাল গেম। একজন খেলোয়াড়ের জন্য যেটা বিরাট সাপোর্ট। কারণ আমি ভাবতে পেরেছি, আমাকে দল নিজেদের একজন মনে করছে। আমাকে তারা দলে চায়। এর বাইরে যেটা আছে, আমার ছোট ভাই খুব যত্ন নিয়েছে। প্রতিদিন নিয়ম করে পা ম্যাসাজ করে দিত। ওকে ধন্যবাদ।
 
সমকাল : টেস্ট দিয়ে শুরু করে তিন সংস্করণের নিয়মিত বোলার হয়ে উঠেছিলেন। পুরোনো জায়গা ফিরে পেতে কতটা সময় লাগতে পারে?

এবাদত : খুব বেশি সময় লাগার কথা না। ওয়ার্ক লোড ম্যানেজ করে, কঠোর পরিশ্রম করতে পারলে দ্রুত পুরোনো জায়গায় ফিরে যাওয়া সম্ভব হতে পারে।

সমকাল : কোন সংস্করণ বেশি উপভোগ করেন?

এবাদত : টেস্ট। কারণ, যে টেস্টে ভালো করবে, সে বাকি দুই সংস্করণ অটো খেলতে পারবে। টেস্টের বোলিং নিখুঁত হতে হয়। বাজে বল পেলে ব্যাটার মেরে দেবে। এ কারণে বোলারদের টেস্ট খেলা উচিত। আমি তিন সংস্করণের বোলার হতে পেরেছি টেস্টে ভালো করার কারণে।

সমকাল : সামনে তো লাল বলের খেলা নেই, কীভাবে টেস্টের প্রস্তুতি নেবেন?

এবাদত : সামনে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলব। লিগের খেলা খেলতে খেলতেই লাল বলে প্র্যাকটিস করব। প্রসেস অনুসরণ করতে পারলে কোনো সমস্যা হবে না।

সমকাল : শেষ প্রশ্ন, বিপিএলে ফিরেই চ্যাম্পিয়ন হলেন, কেমন লাগছে?

এবাদত : এটা দারুণ একটা ব্যাপার। আমাদের দলটি সেরা ছিল। জাতীয় দলের ক্রিকেটারে ঠাসা। সেখানে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাওয়া কঠিন। আমি জায়গা করে নিতে পেরেছি এবং ফাইনাল খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এটা দারুণ একটা ব্যাপার। ২০১৭ সালে রংপুরের হয়ে জিতেছি, এবার বরিশালের হয়ে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টিসিবির ট্রাকে পণ্যের চেয়ে গ্রাহক বেশি
  • পেকুয়ায় পাইলিং ভেঙে নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু
  • মোহাম্মদপুরের ১১ বছরের মেয়েটিকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশে সংবেদনশীলতার অভাব ছিল: ইউনিসেফের প্রতিনিধি
  • আদালতে শমসের বললেন, ‘আমি বিএনপি করতাম’, পল্টিবাজ নেতা বললেন পিপি
  • ১ মাস ৯ দিন শুরু হলো টিসিবির ট্রাক থেকে পণ্য বিক্রয়, ক্রেতাদের দীর্ঘ সারি
  • মামলার হাজিরা দিতে যাচ্ছিলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী তরুণের মৃত্যু
  • শাফিন আহমেদ স্মরণে কনসার্ট, গাইবে দলছুট-আর্টসেলসহ পাঁচ ব্যান্ড
  • দশ জনের দল নিয়েও বার্সার বড় জয় 
  • ‘আগের ছন্দে বোলিং করতে পারছি’