বইমেলায় কবীর আলমগীরের ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগের পতন’
Published: 10th, February 2025 GMT
অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে লেখক ও গবেষক কবীর আলমগীরের চতুর্থ বই ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগের পতন।’ মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে বাংলানামার ৫৬০ নম্বর স্টলে বইটি পাওয়া যাচ্ছে। ১৬৮ পৃষ্ঠার বইটির দাম ৫৫০ টাকা। প্রচ্ছদ করেছেন গৌরব চন্দ।
বইটি সম্পর্কে কবীর আলমগীর বলেছেন, “সমকালের প্রামাণ্য দলিল ও পর্যালোচনা ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগের পতন’ বইটি। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের একক আধিপত্য, দুর্নীতি ও করুণ পরিণতির কথা উঠে এসেছে এ বইয়ে। ২০২৪ সালে এ দেশের ছাত্র-জনতা কীভাবে দুর্নিবার সাহসে গণহত্যাকারী ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার মূল উচ্ছেদ করেছে, তার বিবরণ ও কার্য-কারণের সন্ধান মিলবে গ্রন্থটিতে।”
দেশের মানুষ রাজনৈতিক পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে আশায় বুক বেঁধেছে একটি আদর্শ রাষ্ট্র গঠনের অভিপ্রায়ে। কিন্তু, বারবার জনগণের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে, জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা হোঁচট খেয়েছে। এবারের বিপ্লব বা গণঅভ্যুত্থানও কি হাতছাড়া বা বেহাত হচ্ছে, এই প্রশ্নও আছে বইটিতে।
আওয়ামী লীগের পতন দেখে অন্য রাজনৈতিক দলগুলো কী শিক্ষা নিতে পারে, সে আলোচনাও করা হয়েছে ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগের পতন’ বইয়ে।
কবীর আলমগীর বলেছেন, “সব মিলিয়ে ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগের পতন‘ বইটি এ সময়ের রাজনীতি ও রাষ্ট্রকাঠামোর ব্যবচ্ছেদ বলা যায়। আশা করি, পাঠকরা বইটি পড়ে রাজনীতি বিষয়ে নিজেদের বোঝাপড়া শাণিত করতে পারবেন।”
কবীর আলমগীরের জন্ম ঝিনাইদহের শ্যামনগর গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে তিনি অনার্স-মাস্টার্স-এমফিল ডিগ্রি লাভ করেছেন। পিএইচডি গবেষণা করছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ে।
জীবিকার তাগিদে লেখকের পেশা সাংবাদিকতা। পাশাপাশি তিনি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি নিয়ে পর্যালোচনা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তরুণ এই লেখক প্রবন্ধ, উপন্যাস, গল্প ও কবিতা রচনায়ও একনিষ্ঠ।
লেখকের অন্যান্য বই
কবিতা: গহীন বুকে বিষের চারা (বাংলানামা, ২০১৮)
প্রবন্ধ: আহমদ ছফার উপন্যাসে জীবন ও সমাজ (খান ব্রাদার্স অ্যান্ড কোম্পানি, ২০১৮)
গবেষণা: ফ্যাসিবাদ: সাম্প্রতিক বিবেচনা (বাংলানামা, ২০২৪)
ঢাকা/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল গ র পতন র জন ত
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকার বাতাস আজ ছুটির দিনেও অস্বাস্থ্যকর
আজ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনের সকালেও রাজধানী ঢাকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর। আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আইকিউএয়ারে ঢাকার বায়ুমান ১৫২। এ মানকে অস্বাস্থ্যকর গণ্য করা হয়। আজ দূষণে বিশ্বের ১২৪টি নগরীর মধ্যে ঢাকার অবস্থান দশম।
দেশের তিন বিভাগীয় শহরের মধ্যে রাজশাহীর বায়ুর মান ১৬০, রংপুরে ১৫৪ ও চট্টগ্রামে ৯৮।
বায়ুদূষণের এ চিত্র তুলে ধরেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। প্রতিষ্ঠানটি বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে।
ছুটির দিনে সাধারণত যানবাহন চলাচল কম থাকে। কলকারখানাও অনেক বন্ধ থাকে। সে অনুযায়ী দূষণ কম হওয়ার কথা। কিন্তু ঢাকার দূষণ ছুটির দিন আর কর্মদিবস মানে না।
আজ বায়ুদূষণে শীর্ষে আছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। বায়ুর মান ২৬৩।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) আইকিউএয়ারের ‘বৈশ্বিক বায়ুমান প্রতিবেদন ২০২৪’ তুলে ধরা হয়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বায়ুদূষণে ২০২৪ সালে দেশ হিসেবে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। আর নগর হিসেবে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ দূষিত নগর ছিল ঢাকা। ২০২৩ সালে বায়ুদূষণে বাংলাদেশ শীর্ষে ছিল। নগর হিসেবে ঢাকার অবস্থান ছিল দ্বিতীয়। গত বছর (২০২৪) বায়ুদূষণে শীর্ষ দেশ ছিল আফ্রিকার চাদ। আর নগর হিসেবে শীর্ষে ছিল ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি।
সার্বিকভাবে বায়ুদূষণে আগের বছরের তুলনায় গত বছর বাংলাদেশের অবস্থানের সামান্য পরিবর্তন হয়েছে। তবে এ পরিবর্তনকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন না পরিবেশবাদী ও গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, দূষণ আরও বিস্তৃত হচ্ছে, এবারের প্রতিবেদন সেই বাস্তবতাকে তুলে ধরেছে। কারণ, আগে দেখা গেছে যে রাজধানীর তুলনায় দেশের সার্বিক গড় বায়ুমান কিছুটা ভালো থাকত। কিন্তু এবারের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বাংলাদেশ ও দেশের সবচেয়ে দূষিত নগরী ঢাকার বায়ুর মান প্রায় একই। উভয়ের মান ৭৮।
গত ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এক দিনও নির্মল বায়ু পাননি রাজধানীবাসী। চলতি মাসেরও একই হাল।
রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উৎসগুলোর মধ্যে আছে কলকারখানা ও যানবাহনের দূষিত ধোঁয়া, ইটভাটা, বর্জ্য পোড়ানো। দূষণ রোধে হাঁকডাক ও নানা ধরনের প্রকল্পও কম হয়নি সরকারি স্তরে, কিন্তু দূষণ কমছে না।
দূষণসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ক্যাপসের এক জরিপে দেখা গেছে, ডিসেম্বরে যত বায়ুদূষণ ছিল, তা গত ৯ বছরে সর্বোচ্চ। আবার গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতেও দূষণের মান ছিল ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি। ঢাকার বাতাসে এর উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানমাত্রার চেয়ে ১১ গুণ বেশি।