অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে লেখক ও গবেষক কবীর আলমগীরের চতুর্থ বই ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগের পতন।’ মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে বাংলানামার ৫৬০ নম্বর স্টলে বইটি পাওয়া যাচ্ছে। ১৬৮ পৃষ্ঠার বইটির দাম ৫৫০ টাকা। প্রচ্ছদ করেছেন গৌরব চন্দ।

বইটি সম্পর্কে কবীর আলমগীর বলেছেন, “সমকালের প্রামাণ্য দলিল ও পর্যালোচনা ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগের পতন’ বইটি। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের একক আধিপত্য, দুর্নীতি ও করুণ পরিণতির কথা উঠে এসেছে এ বইয়ে। ২০২৪ সালে এ দেশের ছাত্র-জনতা কীভাবে দুর্নিবার সাহসে গণহত্যাকারী ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার মূল উচ্ছেদ করেছে, তার বিবরণ ও কার্য-কারণের সন্ধান মিলবে গ্রন্থটিতে।”

দেশের মানুষ রাজনৈতিক পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে আশায় বুক বেঁধেছে একটি আদর্শ রাষ্ট্র গঠনের অভিপ্রায়ে। কিন্তু, বারবার জনগণের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে, জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা হোঁচট খেয়েছে। এবারের বিপ্লব বা গণঅভ্যুত্থানও কি হাতছাড়া বা বেহাত হচ্ছে, এই প্রশ্নও আছে বইটিতে।

আওয়ামী লীগের পতন দেখে অন্য রাজনৈতিক দলগুলো কী শিক্ষা নিতে পারে, সে আলোচনাও করা হয়েছে ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগের পতন’ বইয়ে।

কবীর আলমগীর বলেছেন, “সব মিলিয়ে ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগের পতন‘ বইটি এ সময়ের রাজনীতি ও রাষ্ট্রকাঠামোর ব্যবচ্ছেদ বলা যায়। আশা করি, পাঠকরা বইটি পড়ে রাজনীতি বিষয়ে নিজেদের বোঝাপড়া শাণিত করতে পারবেন।”

কবীর আলমগীরের জন্ম ঝিনাইদহের শ্যামনগর গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে তিনি অনার্স-মাস্টার্স-এমফিল ডিগ্রি লাভ করেছেন। পিএইচডি গবেষণা করছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ে।

জীবিকার তাগিদে লেখকের পেশা সাংবাদিকতা। পাশাপাশি তিনি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি নিয়ে পর্যালোচনা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তরুণ এই লেখক প্রবন্ধ, উপন্যাস, গল্প ও কবিতা রচনায়ও একনিষ্ঠ।

লেখকের অন্যান্য বই
কবিতা: গহীন বুকে বিষের চারা (বাংলানামা, ২০১৮)
প্রবন্ধ: আহমদ ছফার উপন্যাসে জীবন ও সমাজ (খান ব্রাদার্স অ্যান্ড কোম্পানি, ২০১৮)
গবেষণা: ফ্যাসিবাদ: সাম্প্রতিক বিবেচনা (বাংলানামা, ২০২৪)

ঢাকা/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল গ র পতন র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

বাবার সঙ্গে কৃষিকাজ করা আশার মেডিকেলে ভর্তির সংগ্রাম

ভাই নেই, তাই মেয়ে হয়েই বাবার সঙ্গে করতেন কৃষিকাজ। সাতসকালে কাঁচি হাতে বেরিয়ে পড়তেন ক্ষেতের উদ্দেশে। কাজ শেষ করেই আবার যেতে হতো কলেজে। কখনও একবেলা খেয়ে আবার কখনও না খেয়েই পড়ালেখা চালিয়ে গেছেন আশা আক্তার। এত প্রতিকূলতা স্বত্ত্বেও এবার ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন গোপালগঞ্জ মেডিকেলে। কিন্তু চরম দারিদ্রতায় মাঝে মাঝে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। কীভাবে এখন পড়বেন মেডিকেলে, কীভাবে মেটাবেন হোস্টেল ও পড়াশোনার খরচ। এসব দুশ্চিন্তায় আধাঁর যেন কাটছেই না আশার।

আশা ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের চরজ্ঞানদিয়া গ্রামের কৃষক আলমগীর বিশ্বাস (৪৮) ও সোনিয়া বেগম (৩৮) দম্পত্তির ছোট মেয়ে।

আশার বাবা আলমগীর বিশ্বাস বলেন, ছোটবেলা থেকেই আশার স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। তাই মেয়েকে পড়ানোর জন্য সর্বোচ্চ পরিশ্রম করি। অভাবের সংসারে খেয়ে না খেয়েই মেয়ে দুইজনকে পড়ালেখা করিয়েছি। তারা খুব কষ্ট করে। এখনও আমার সঙ্গে ক্ষেতে কৃষিকাজ করে। কাজ শেষ করে আবার পড়তে বসতো তারা। এভাবেই এতে পরিশ্রম করে মেয়ে আমার চান্স পেয়েছে মেডিকেলে। তারপরও দুশ্চিন্তায় থাকি পড়াশোনার খরচ মেটাবো কীভাবে। 

আশার মা সোনিয়া বেগম বলেন, মেয়ে আমার প্রাইমারি থেকেই মেডিকেল ভর্তি কোচিং পর্যন্ত অনেকগুলো বৃত্তি পেয়েছে। কোচিংয়ে সর্বোচ্চ মার্ক পাওয়ায় তার ফি কম নিয়েছে। স্যারেরা তার সৌজন্য বইয়ের ব্যবস্থা করেছে। মানুষের এতো সহযোগিতা না পেলে আমার মেয়ের স্বপ্ন পূরণ হতো না। আমাদের এমন অবস্থা নেই যে, আশার আগামী চার বছরের পড়াশোনার খরচ চালাবো। কেউ যদি আমাদের সাহায্য করতো, তাহলে আমাদের এই যাত্রা সহজ হতো।

আশা বলেন,  চলতি মাসের ২ তারিখে গোপালগঞ্জ মেডিকেলে আমার ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু হোস্টেলের ব্যপারে কোন সিদ্ধান্ত দেয় নি। ক্যান্টিন থেকে দুই বেলা খাবার দেওয়ার কথা বলেছে। প্রতিদিন তার জন্য ৮০ টাকা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন।

ছোটবেলা থেকে ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে জানিয়ে আশা বলেন, একাডেমিকের ৪ বছরের কোর্স শেষ করে ইন্টার্ন করার সময় ডাক্তারির সাবজেক্ট চুজ করতে হয়। তবে আমি ছোটবেলা থেকেই সার্জারি করার খুব ইচ্ছা। বিশেষ করে কার্ডিওলজি সার্জন। তা না হলে নিউরোলজি সার্জন হওয়ার আগ্রহ রয়েছে আমার। 

সংসারে সংগ্রামের বিষয়ে আশা বলেন, আমি পরিশ্রম করতে শিখেছি আমার মায়ের কাছ থেকে। বাবার আয় কম দেখে মা সংসারে বাড়তি আয় করতে হাস মুরগি ছাগল লালন পালন করতো। সাথে বাবার কৃষি কাজে সহায়তা। তাছাড়া আমার মানুষকে সাহায্য করতে ভালো লাগে।

তিনি বলেন, বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে আমি আরও কঠোর পরিশ্রম করব। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাবার সঙ্গে কৃষিকাজ করা আশার মেডিকেলে ভর্তির সংগ্রাম
  • জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিএনপি মেনে নেবে না
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি
  • জাতীয় নাগরিক কমিটির ৭৫ সদস্যের প্রবাসী কমিটি ঘোষণা
  • আমরা যেন শেখ হাসিনার পাতা ফাঁদে পা না দেই: মির্জা ফখরুল
  • আমরা যেন হাসিনার পাতা ফাঁদে পা না দেই: মির্জা ফখরুল
  • বিকেলে ঢাকায় ফিরছেন মির্জা ফখরুল-আমীর খসরু
  • ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে জখম, প্রতিবাদে পাল্টা হামলা-সংঘর্ষ, আহত ৫
  • ফরিদপুরে ইউপি সদস্যকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ