জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রথম ফেজের কাজ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম। তিনি বলেছেন, আমরা আশা করি নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শেষ হবে প্রথম ফেজের কাজ। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জোরালো তৎপরতা রয়েছে। তবুও আমাদের সিদ্ধান্তগুলো সবসময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সেনাবাহিনী, ছাত্র নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে হবে।

আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাকক্ষে সকালে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসন ও হল নির্মাণ বিষয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সেনাবাহিনীর পিডি, বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্র নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রথম ফেজের কাজের অগ্রগতি, বাধা ও পরবর্তী কার্যাবলি নিয়ে আলোচনা করেন আলোচকরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বানী ভবন ও হাবিবুর রহমান হলের জায়গায় অস্থায়ী আবাসনের পরিবর্তে স্থায়ী আবাসন নির্মাণের দাবি জানান।

সভায় সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইফতেখার বলেন, কয়েকবার আমরা জায়গাগুলো পর্যবেক্ষণ করেছি। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। কিন্তু স্থানীয় পর্যায় থেকে কিছু আপত্তি আসছে। সেগুলো বিশ্লেষণ করে সামনের দিকে কাজ ধাবমান হবে। স্থানীয়দের বিভিন্ন রকম মতামত আছে। তবে আমরা আশাবাদী ২০২৬ এর মধ্যেই আমরা প্রথম ফেজের কাজ শেষ করতে পারবো। দুইটি স্টিল স্টাকচার বিল্ডিংয়ের মাধ্যমে আমরা কাজ করতে পারি। এছাড়া স্থায়ী আবাসনের জন্য আমাদের কিছু বাধা রয়েছে।

এ সময় লোকাল কমিউনিটির সাথে আলোচনা করে সমাধানের প্রস্তাব রাখেন জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল। তিনি বলেন, আমরা ছাত্র প্রতিনিধিরা সবাই একত্র হয়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে সমাধান করতে পারি। আমরা আশা রাখি তাদের সাথে কথা বললে তারা বুঝবে। আমরা তাদের বোঝাতে সক্ষম হবো। 

সার্বিক অবস্থা জানিয়ে শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড.

রইছ্ উদ্দীন বলেন, আমরা সব কিছুই প্রকাশ্যে করতে চাই। পঞ্চায়েতের সাথে কথা বললে সমাধান হবে বলে আশা করি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এটাই মূল ক্যাম্পাস থাকবে। কেরানীগঞ্জ আমাদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস হবে।

শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আসাদুল ইসলাম বলেন, শুধু ছাত্রীদের জন্য নয়। ছাত্রদের জন্যেও হল প্রয়োজন।

শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সামসুর আরেফিন বলেন, আমাদের মুল ক্যাম্পাসকে কেন্দ্র করেই আমাদের পরবর্তী কার্যক্রম গড়ে তুলতে হবে। 

সংস্কার কমিটি সদস্য নওশিন নাওয়ার জয়া বলেন, আমাদের ছাত্রীদের জন্য একটা হল আছে। সুতরাং ছেলেদের হলটা বেশি প্রয়োজন।

শিক্ষার্থীদের এ সকল দাবির প্রেক্ষিতে ঢাকার এডিসি পারভেজ বলেন, আমরা চেষ্টা করছি আইনগত কাঠামোর মধ্যে কিভাবে ফ্যাসিলিটেট করা যায়।
 
আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমিন, শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. বেলাল হোসেন, নাসির আহমেদ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. কে এম রিফাত, হল প্রোভোস্ট অধ্যাপক ড. আঞ্জুমান আরা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রথম ফ জ র ক জ আম দ র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক গভর্নরসহ ২৫ জনের নামে লকার খুঁজে পায়নি দুদক

সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারসহ দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ২৫ কর্মকর্তার নামের সুরক্ষিত লকার খুঁজে পায়নি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) টিম। তবে আবারও আদালত অনুমোদন দিলে অভিযান চালানো হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের লকার তল্লাশি শেষে রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছেন দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জমান।

তিনি বলেন, “যে ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে এসেছিলাম, তাদের নামে লকার পাওয়া যায়নি। আরো অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। এখন পর্যন্ত মোট ২৭২টি সেফ ডিপোজিট লকারের সন্ধান পাওয়া গেছে। আদালতের অনুমোদনের ভিত্তিতে পরবর্তী অভিযান চালাবে দুদক।”

সাবেক ও বর্তমান দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সুরক্ষিত লকারে বা সেফ ডিপোজিটর অবৈধ সম্পদের খুঁজতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি টিম অভিযানে যায়। কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সাবেক গভর্নরসহ ২৫ কর্মকর্তার লকারই পায়নি দুদক। এসব লকারে অবৈধ অর্থ সম্পদ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ছিল সংস্থাটির।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশ ব্যাংকে দুদক টিম

বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কর্মকর্তার লকার ফ্রিজ করতে গভর্নরকে চিঠি

এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি দুদক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুরের লকারে তল্লাশি করে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পায়। পরবর্তীতে গত ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সব লকার সাময়িকভাবে ফ্রিজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গভর্নরকে চিঠি দেয় দুদক।

অন্যদিকে, আদালত বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের লকার খোলে তল্লাশির অনুমতি দিয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় দুদক টিম কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের লকারে অবৈধ সম্পদের সন্ধান করেছে।

ঢাকা/এনএফ/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জিম্মি-বন্দী বিনিময়ের দরজা খোলা আছে: হামাস
  • জিম্মি মুক্তি স্থগিত করল হামাস, ‌‘সর্বোচ্চ সতর্কতায়’ ইসরায়েলি সেনাবাহিনী
  • গর্ভাবস্থায় ফাইব্রয়েড টিউমার কতটা ভয়ের?
  • তরুণদের সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন দাবি
  • মতবিনিময় সভা: অধূমপায়ী ও তরুণদের সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের দাবি
  • সাবেক গভর্নরসহ ২৫ জনের নামে লকার খুঁজে পায়নি দুদক
  • অপরিবর্তিত থাকছে নীতি সুদহার
  • বাকৃবিতে এক শিক্ষার্থীকে একাধিকবার বহিষ্কার
  • ডিআইজি ও তিন পুলিশ সুপার আটক