আমিরাতে ডিপ্লোম্যাট ক্রিকেটে রানার-আপ বাংলাদেশ
Published: 10th, February 2025 GMT
সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) শারজায় স্কাইলাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ডিপ্লোম্যাট কাপ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ’-এর নবম আসরে রানার-আপ হয়েছে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, দুবাই।
দুবাইয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, আফগানিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য কনসুলেট এ টুর্নামেন্টে অংশ নেয়। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের দল দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তানকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে এবং সেমিফাইনালে যুক্তরাজ্যকে পরাজিত করে ফাইনাল নিশ্চিত করে। ফাইনালে ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরে রানার-আপ হয় বাংলাদেশ।
টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী, কনস্যুলেটের সদস্য ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সমন্বয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেট দল গঠন করা হয়।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খেলোয়াড়দের মাঝে পদক ও ট্রফি বিতরণ করেন দুবাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো.
ঢাকা/হাসান/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কনস য ল ট ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
মারমাদের মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব যে কারণে হয়, যেভাবে এল
মারমা জনগোষ্ঠীর সাংগ্রাইং উৎসবের এক গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হয়ে আছে ‘মৈতা রিলং পোয়ে’ বা মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব। এই উৎসবে পরস্পরের দিকে পানি ছিটিয়ে মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ হন মারমারা। ‘সাংগ্রাইংমা ঞি ঞি ঞা ঞা রিকোজাই পামে’(এসো হে সাংগ্রাইংয়ে সবাই মৈত্রী পানিবর্ষণে) গানটিও দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আছে এই উৎসবের ‘থিম সং’।
গবেষক ও মারমা জনগোষ্ঠীর প্রবীণ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসবের শুরু গত শতকের সত্তরের দশকে। কিছু তরুণ মিয়ানমারে সাংগ্রাইং উৎসবে এ ধরনের আয়োজন দেখে দেশেও এর প্রচলন করেন। আর ‘সাংগ্রাইংমা ঞি ঞি ঞা ঞা রিকোজাই পামে’ উৎসবের থিম সং হয়েছে ১৯৮৪ সালে।
মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসবকে অনেকেই ‘জলকেলি’ ও ‘পানি খেলা’ বলে থাকেন। তবে এসব নাম আপত্তিকর বলে মনে করেন মারমা সমাজের অনেকেই। তাঁদের দাবি, এর মধ্য দিয়ে ধর্মের যোগ থাকা অনুষ্ঠানটি ভুলভাবে উপস্থাপন হয়।
এবারের সাংগ্রাইং উপলক্ষে আজ বুধবার থেকে বান্দরবান জেলা শহরে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব শুরু হয়েছে। তবে জেলার অন্যান্য জায়গায় গতকাল মঙ্গলবার এই উৎসব শুরু হয়। খাগড়াছড়িতে কোথাও কোথাও সোমবার শুরু হয়েছে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব।
মারমা জনগোষ্ঠীর প্রবীণদের একজন শিক্ষাবিদ থোয়াইংচ প্রু। তিনি প্রথম আলকে বলেন, সাংগ্রাইং আখ্যেয়া বা মূল সাংগ্রাই দিনে বুদ্ধমূর্তি স্নানের আগে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব হয় না। এটা প্রথাসিদ্ধ রীতি। তাই মৈত্রী পানিবর্ষণের সঙ্গে ধর্মের যোগ বেশ স্পষ্ট। তিনি বলেন, পানিকে মারমারা পবিত্র মনে করে। তাই সাংগ্রাইং উৎসবে বন্ধুত্বের বন্ধন এবং পরস্পরের প্রতি মৈত্রী ভাবনা নবায়ন ও সুদৃঢ় করার জন্য একে-অপরের দিকে পানি ছোড়েন। পানি ছিটানোর পর কেউ বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখালে বোঝা যাবে, বন্ধুত্বের সম্পর্কে ও বন্ধনে টানাপোড়েন আছে। এটিই মৈত্রী পানিবর্ষণের মূল্যবোধ। এ কারণে অনেক সময় অযাচিত কাউকে পানিবর্ষণ করলে আগে সালিসের মুখোমুখিও হতে হতো।
মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসবে মেতেছেন মারমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা। গতকাল বান্দরবানের ডলুপাড়ায়