চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য ‘সেরা প্রস্তুতি’ হচ্ছে না, বলছেন সিমন্সও
Published: 10th, February 2025 GMT
বিপিএল শেষ হওয়ার আগেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য অনুশীলন শুরু করেছিলেন কয়েকজন ক্রিকেটার। রোববার থেকে জাতীয় দলের এই অনুশীলন পেয়েছে আনুষ্ঠানিকতা। কাল ফ্লাডলাইটের নিচেও অনুশীলন হয়েছে, চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য ‘সেরা প্রস্তুতি’ হচ্ছে না বলেই মনে করেন হেড কোচ ফিল সিমন্স।
কেন? কারণটা স্পষ্ট হবে টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের বাকি তিন প্রতিপক্ষ কী করছেন তা জানলে। পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড এখন দক্ষিণ আফ্রিকাকে সঙ্গে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলছে।
আরেক প্রতিপক্ষ ভারতও ওয়ানডে খেলছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বাংলাদেশ সবশেষ ওয়ানডে খেলেছে ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এরপর প্রায় দেড় মাসের বিপিএল যাত্রা শেষে দিন দশেকের মধ্যেই তাদের নামতে হবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। প্রস্তুতি বলতে মিরপুরে পাঁচ দিনের ক্যাম্প।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মতো বড় টুর্নামেন্টের আগে প্রস্তুতিতে সন্তুষ্ট কি না জানতে চাইলে তাই আজ সংবাদ সম্মেলনে সিমন্স বলেছেন, ‘আমি আপনার সঙ্গে একমত যে এটা সেরা প্রস্তুতি হচ্ছে না।’
আরও পড়ুনচ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে লম্বা হচ্ছে চোটের মিছিল০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫এরপরই অবশ্য প্রস্তুতির ঘাটতিতে খুব বেশি সমস্যা হবে না বিশ্বাস তাঁর, ‘একটা জিনিস বলতে পারি, তারা ক্রিকেট খেলবে আর সেটা সাদা বলেই। এটার মানে হচ্ছে তারা স্কিলের দিক থেকে শার্পই আছে। স্কিল আছে, আমরা তাদের পারফর্ম করতে দেখেছি, এখন কেবল মানসিকতাটা ওয়ানডের জন্য করতে হবে।’
অনুশীলনে বাংলাদেশ দল.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
পদে পদে যৌন নির্যাতনের ফাঁদ, বরগুনায় উদ্ধার এক শিশু
শিশুদের নিরাপত্তা কোথায়? বেড়ে উঠতে উঠতে পদে পদে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে যাচ্ছে শিশুরা। এবার বরগুনায় মিলল এমন এক শিশুর খবর। ১০ বছরের এই শিশুটি নিজ বাড়িতে ৩ স্বজন দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল কম্পাউন্ডে এসেও শিকার হয়েছে যৌন নির্যাতনের। এই ঘটনায় এক ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
শিশুটির মা মানসিক ভারসাম্যহীন, বাবা ভিক্ষুক। দুই বছরের ছোট বোনকে নিয়ে ১০ বছরের এই শিশুটি থাকতো বরগুনার বৈকালীন বাজারের নিজ বাড়িতে। সুযোগ পেয়ে শিশুটিকে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করেছে তার ৩ স্বজন। যৌন নির্যাতন থেকে বাঁচতে বাড়ি ছেড়ে পথশিশুর খাতায় নাম লেখায় শিশুটি।
সবশেষ গত ৭ মার্চ রাতে বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল কম্পাউন্ডে শিশুটিকে ভয়ংকরভাবে যৌন নির্যাতন করে হাসপাতালের সামনের ঝালমুড়ি বিক্রেতা ৬৫ বছরের বৃদ্ধ মোসলেম হাওলাদার। ব্যথায় কাতর শিশুটি আশ্রয় নেয় হাসপাতালে। তবে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ভর্তি না নিলেও এক নার্সের মমতায় ব্যথানাশক ওষুধ পায় শিশুটি। তার কাছেই ওই শিশু বর্ননা দিচ্ছিল ভয়াবহ নির্যাতনের।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত সাড়ে ১২টার দিকে এই ভিডিওটি হাতে আসে। চার মিনিট ১৮ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, মেয়েটিকে একজন নার্স প্রশ্ন করেন কারা নির্যাতন করেছে। তখন ওই শিশু উত্তর দেয়, হাসপাতালের সামনে দাঁড়ি পাকা এক বৃদ্ধ লোক তিনি এই ব্যথা দিয়েছেন।
শিশুটি বলে “এর আগে আমার বাড়িতে ইসমাইল ভাইয়া আমার সাথে খারাপ কাজ করেছে। সে সহ তিনজন এমন করেছে।”
ভিডিওটি পাওয়ার পর থেকে সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না মেয়েটির। পরবর্তীতে ৮তলা ভবনে একের পর এক কক্ষ খুঁজে অবশেষে রাত সোয়া তিনটায় পাওয়া যায় শিশুটিকে। পরে বিষয়টি বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবদুল হালিমকে জানালে তিনি হাসপাতালে বরগুনা থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক মোস্তফা কামালকে পাঠান। মোস্তফা কামাল মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
এসময় নির্যাতনের শিকার শিশু বলে, “এই খারাপ কাজ থেকে বাঁচতে আমি বাড়ি থাকতে পারিনি। মা পাগল, বাবা ভিক্ষা করে খায়। আমি আমার ছোট বোনকে নিয়ে রাস্তায় থাকি। এখন এখানে এসেও আবার সে নির্যাতন।”
এদিকে এই ঘটনায় রাতভর অভিযান চালিয়ে তিনজনকে সন্দেহজনক ভাবে আটক করলে ঝালমুড়ি বিক্রেতা মোসলেম হাওলাদারকে শনাক্ত করে নির্যাতনের শিকার শিশুটি, পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবদুল হালিম রাইজিংবিডিকে বলেন, “আপনার মাধ্যমে তথ্য পেয়েছি। এমন মানবিক কাজে সবার সম্পৃক্ত হতে হবে। রাতভর অভিযান চালিয়েছি, সবটাই দেখেছেন।”
এই আপকর্মে জড়িত প্রত্যেকের শাস্তি নিশ্চিত করতে আলাদা টিম গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার ঝালমুড়ি বিক্রেতা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দায় স্বীকার করেছেন বলেও জানান তিনি। এছাড়া স্বজনদের দ্বারা ধর্ষণের ঘটনায় পৃথক মামলার পাশাপাশি তাদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে।
ঢাকা/ইমরান/টিপু