নাট্যনির্মাতা রুমান রুনি নির্মাণ করেছেন ধারাবাহিক নাটক ‘সবুজ গ্রাম পাথরের শহর’। টিপু আলম মিলনের গল্পে ও ইউসুফ আলী খোকনের চিত্রনাট্যে নাটকটিতে অভিনয় করেছেন একঝাঁক তারকা। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) থেকে বৈশাখী টিভি পর্দায় প্রতি মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ২০ মিনিটে প্রচার হবে নাটকটি।
গল্পকার টিপু আলম মিলন বলেন, “সবুজ গ্রাম পাথরের শহর’ নাটক মূলত সমাজ সচেতনতার এক আখ্যান। একটা সময় গ্রামের মানুষগুলো প্রকৃতির মতোই সহজ সরল ছিল, অন্যদিকে শহরের মানুষগুলোও তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে দিন দিন নিজেদের আবেগ-অনুভূতির জায়গাটা হারিয়ে ফেলেছে। কিন্তু বর্তমানে শহরের সভ্যতায় গ্রামকে সাজাতে গিয়ে বিলিন হয়ে যাচ্ছে, সহজ-সরল মানুষগুলোর সহজ- সরল জীবন-যাপনের সবকিছু।”
খানিকটা ব্যাখ্যা করে টিপু আলম মিলন বলেন, “গ্রামের সহজ-সরল মানুষের আনন্দ-বেদনার কাব্য যেমন ফুটে উঠেছে এ নাটকে, তেমনি চিত্রায়িত হয়েছে ইটপাথরে গড়ে ওঠা মানুষের বাস্তব চিত্র। যাদের হৃদয় আজ পাথরের মতোই শক্ত। গ্রামে-গঞ্জ-শহরে একই চিত্র। নানা ঘাত-প্রতিঘাত, অসঙ্গতি আর বৈষম্য সমাজ তথা রাষ্ট্র উন্নয়নে দারুণ অন্তরায়। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই এ নাটকের কিছু মানুষ এগিয়ে আসে। কেউ সফল হয় কেউ হয় না। কিন্তু তাদের সংগ্রাম থেমে থাকে না, প্রতিনিয়ত এগিয়ে চলে। বরাবরের মতো এ গল্পের নাটকটিও দর্শকদের ভালো লাগবে বলে বিশ্বাস করি।”
আরো পড়ুন:
তাইওয়ানের তারকা অভিনেত্রী বার্বি মারা গেছেন
শিল্পীদের বাধা, অভিনয়শিল্পী সংঘের উদ্বেগ
নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন— দিলারা জামান, সালাউদ্দিন লাভলু, আশীষ খন্দকার, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু (বড়দা মিঠু), শরাব আহমেদ জীবন, শ্যামল মাওলা, মায়মুনা মম, শামীম আহমেদ মনা, শ্যামন্তি সৌমি, একে আজাদ সেতু, শতাব্দী ওয়াদুদ, শবনম পারভীন, সূচনা শিকদার, রেশমা আহমেদ প্রমুখ।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক ন টকট
এছাড়াও পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠক আজ
নির্বাচনি রোডম্যাপের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক হবে। এতে বিএনপির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে সুনির্দিষ্ট করে জানতে চাওয়া হবে, কবে নাগাদ নির্বাচন হবে এবং নির্বাচনের রোডম্যাপ বা পথনকশা কবে ঘোষণা করা হবে। উপদেষ্টার বক্তব্যে সন্তুষ্ট হতে না পারলে বিএনপি রাজপথের কর্মসূচিতে যেতে পারে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাতে এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা হয়। সেখানে এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
নির্বাচন নিয়ে অধ্যাপক ইউনূস একাধিকবার বলেছেন, আগামী নির্বাচন এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। তবে বিএনপি জোর দিয়ে বলছে, সরকারকে আরো সুনির্দিষ্ট করে বলতে হবে।
ফেব্রুয়ারির শুরুতে বিএনপি নেতারা বলেছিলেন, প্রধান উপদেষ্টা তাদের জানিয়েছেন, এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হবে। তবে দলটির নেতারা এখন মনে করছেন, সরকার তার অবস্থান পরিবর্তন করেছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি।
বিএনপির মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোও দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে। তবে, জামায়াতে ইসলামী প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচন চায়।
আর জুলাই-অগাস্টের গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র নেতাদের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) চায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সংস্কারের রোডম্যাপ ও গণপরিষদ নির্বাচন।
ঢাকা/হাসান/ইভা