ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে।
এদিন ডিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন বাড়লেও সিএসইতে কমেছে। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম বাড়লেও সিএসইতে কমেছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৮.
ডিএসইতে মোট ৪০১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১৬৬টি কোম্পানির, কমেছে ১৬৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টির।
এদিন ডিএসইতে মোট ৪২০ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৭৪ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ১.৫৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৭৮০ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১.৯৬ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ৪৭৫ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ১.০৮ পয়েন্ট কমে ৯৩৫ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ৪.৮৮ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ৯৩৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট ২১০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৮৩টি কোম্পানির, কমেছে ৮৬টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১টির।
দিনশেষে সিএসইতে ৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
ঢাকা/এনটি/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল খ ট ক র শ য় র ও ইউন ট ড এসইত স এসইত স এসই ড এসই
এছাড়াও পড়ুন:
সপ্তাহজুড়ে সূচক ঊর্ধ্বমুখী
ঠিক এক বছর পর ঢাকার শেয়ারবাজারে সপ্তাহজুড়ে মূল্যসূচক ঊর্ধ্বমুখী ছিল। তালিকাভুক্ত বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনও বেড়েছে। যদিও দর বৃদ্ধির তালিকার ওপরের দিকে রুগ্ণ এবং বন্ধ কোম্পানির আধিপত্য ছিল সুস্পষ্ট। এমনকি টাকার অঙ্কে লেনদেনে বিচ হ্যাচারির মতো কোম্পানি ছিল শীর্ষে।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত ২ থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৬৬ পয়েন্ট বেড়ে ৫১৭৯ পয়েন্টে উঠেছে। এর আগে গত বছরের ২৯ জানুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা দশ কর্মদিবসে সূচক বেড়েছিল ৩৬৮ পয়েন্ট। এর মধ্যে ৪ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সপ্তাহে টানা সূচক বেড়েছিল ১৫৯ পয়েন্ট। অবশ্য গত ২ থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত টানা ছয় কর্মদিবসে সূচকটি ২৬৬ পয়েন্ট বেড়েছিল, যদিও তা ছিল পৃথক দুই সপ্তাহ মিলে।
সার্বিক হিসাবে গত সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৩৯৭ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ২৬৫টির দর বেড়েছে, কমেছে ১০৩টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৯টির দর। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য খাতের নিম্নমুখী এবং খাদ্য ও আনুষঙ্গিক ও সাধারণ বীমা খাতে মিশ্র ধারা ছাড়া বাকি প্রায় সব খাতের অধিকাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে। কমপক্ষে ১০ থেকে ৫৯ শতাংশ দর বেড়েছে ৪৯ কোম্পানির। এর মধ্যে ২৯ কোম্পানির দর এক সপ্তাহ আগেও অভিহিত মূল্যের নিচে ছিল। এমনকি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ দর বৃদ্ধির পরও দর ১০ টাকা পার হতে পারেনি ২৫টির।
সর্বাধিক ৫৯ শতাংশ দর বৃদ্ধি পাওয়া এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশনকে তালিকাভুক্ত হওয়ার সময় বেশ ভালো কোম্পানি হিসেবে বিবেচনা করা হতো। ক্রমে মুনাফা কমায় বিনিয়োগকারীরা এ শেয়ারে আগ্রহ হারান। গত অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে মুনাফা করার খবরে সাম্প্রতিক সময়ে বড় উল্লম্ফনের আগে এর দর বহু মাস ১২ টাকার ঘরে আটকে ছিল। উল্লেখযোগ্য দর বৃদ্ধির পর শেয়ারটি সর্বশেষ ২১ টাকা ৮০ পয়সায় কেনাবেচা হয়েছে।
দর বৃদ্ধির তালিকায় পরের কোম্পানিগুলো ছিল– প্রিমিয়ার লিজিং, ফিনিক্স ফাইন্যান্স, নিউ লাইন ক্লোথিংস, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং, কাট্টলী টেক্সটাইল, বিডি থাই ফুড, প্রাইম ফাইন্যান্স, পদ্মা লাইফ, বিবিএস কেবলসের মতো শেয়ার। এগুলোর দর ২০ থেকে ৩৪ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
মৌলভিত্তি বিবেচনায় উল্লেখিত দর বৃদ্ধির তালিকার উল্লেখযোগ্য কোম্পানি ছিল ইস্টার্ন হাউজিং। প্রায় ১১ শতাংশ দর বেড়ে সর্বশেষ ৭৪ টাকা ৩০ পয়সায় কেনাবেচা হয়েছে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে ২ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ২৬ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে ১০৩ কোটি টাকার লেনদেন নিয়ে শীর্ষে ছিল বিচ হ্যাচারি।