শাহবাগে অবরোধকারীদের সরাতে লাঠিচার্জ, জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড
Published: 10th, February 2025 GMT
দ্রুত নিয়োগের দাবিতে ঢাকার শাহবাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপের প্রার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন। পুলিশ অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করেছে। এছাড়া, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেডও ব্যবহার করা হয়েছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে শাহবাগ মোড়ে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। তাদের অবস্থানের কারণে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। পুলিশ প্রথমে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরে যাওয়ার কথা বলেন। পরে আন্দোলনকারীরা তাদের অবস্থানে অনড় থাকলে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। এক পর্যায়ে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, “২০২৪ সালের ৫ ডিসেম্বর আমাদের যোগদান করার কথা, কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে আমরা যোগদান করতে পারিনি। যারা সুপারিশপ্রাপ্ত হয়নি এমন ৩১ জনের রিটে এ ফলাফল বাতিল করলো। এ কেমন প্রহসন। এ দায়ভার আসলে কে নিবে? আমরা একপ্রকার মানবেতর জীবনযাপন করছি।”
এর আগে আন্দোলনকারীরা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, 'প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি তিনটি ধাপে দেওয়া হয়েছিল। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত নিয়োগ কার্যক্রম ও অপেক্ষমান তালিকা থেকেও নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। কিন্তু তৃতীয় ধাপ নিয়ে প্রহসন যেন থামছেই না। ২০২৩ সালের ১৪ জুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় এবং লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০২৪ সালের ২৯ মার্চ। এ ধাপের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয় ২০২৪ সালের ২১ এপ্রিল এবং ভাইভা সম্পন্ন হয় ১২ জুন। আইন মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে ওই বছরের ৩১ অক্টোবর ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে ৬ হাজার ৫৩১ জন চূড়ান্তভাবে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়। ৩১ জন হাইকোর্টে রিট করে, যারা সুপারিশপ্রাপ্ত হয়নি। এর প্রেক্ষিতে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত হয়ে যায়। এরইমধ্যে চেম্বার জজ আদালত, আপিল বিভাগ এবং হাইকোর্টে চারটি শুনানির পর চূড়ান্ত জাজমেন্টে ৬ তারিখ বাতিল ঘোষণা করে দেন।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, '২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ৫ ডিসেম্বর জেলা শিক্ষা অফিস এবং ৮ ডিসেম্বর স্কুল পদায়ন সম্পর্কিত নিয়োগ আদেশ জারি করা হয়। নিজ নিজ জেলা সিভিল সার্জনে মেডিকেল টেস্ট এবং জেলা শিক্ষা অফিসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমাদানও সম্পন্ন করা হয়েছে। অনেক জেলার কিছু কিছু উপজেলায় চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্তরা যোগদানপত্রও হাতে পেয়েছেন। সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার পরও যোগদান করতে না পেরে ৬ হাজার ৫৩১টি পরিবারকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হতে হচ্ছে। সবাই এক প্রকার মানসিক বিপর্যয় ও মানবেতর জীবনযাপন করছি।’
ঢাকা/মাকসুদ/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ২০২৪ স ল র
এছাড়াও পড়ুন:
অর্ধবার্ষিকে সোনালী পেপারের মুনাফা বেড়েছে
পুঁজিবাজারে পেপার ও প্রিন্টিং খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৪) ও অর্ধবার্ষিকের (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, আলোচ্য প্রান্তিকে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।
আরো পড়ুন:
যমুনা অয়েলের এজিএমের তারিখ পরিবর্তন
সাত কোম্পানিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর
আলোচ্য অর্থবছরে দ্বিতীয় প্রান্তিকে সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৩.৭২ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ০.১৭ টাকা। অলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি লোকসান থেকে মুনাফায় ফিরেছে।
অপরদিকে, ছয় মাস বা অর্ধবার্ষিক প্রান্তিকে সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৫.৪৮ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ৫.৪০ টাকা। সে হিসাবে অলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে ০.০৮ টাকা বা ১.৪৮ শতাংশ।
২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৬৬.২১ টাকা।
ঢাকা/এনটি/রফিক