প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনাস্থা দিতে পারবেন দলীয় সংসদ সদস্যরা
Published: 10th, February 2025 GMT
অর্থ বিল ছাড়া অন্য যেকোনো বিষয়ে সংসদের নিম্নকক্ষের সদস্যদের নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়ার সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। তাদের এ সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে সরকারি দলের সদস্যরাও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনাস্থা জানিয়ে ভোট দিতে পারবেন। এতে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাস হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।
তবে কোনো প্রধানমন্ত্রী আস্থা ভোটে হেরে গেলেও তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর দল ক্ষমতা হারাবে না। নিম্নকক্ষের অন্য কোনো সদস্য সরকার গঠনের সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন পেলে তিনি হবেন নতুন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের বিদ্যমান সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের কারণে কার্যত প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনাস্থা সংসদে পাস হওয়ার সুযোগ নেই। কারণ, ওই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনো সংসদ সদস্য তাঁর দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারেন না। তাতে বলা আছে, কোনো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হিসেবে কোনো ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি যদি ওই দল থেকে পদত্যাগ করেন বা সংসদে ওই দলের বিপক্ষে ভোট দেন, তাহলে সংসদে তাঁর আসন শূন্য হবে।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। ১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণয়নের সময় থেকেই অনুচ্ছেদটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। যাঁরা এর বিপক্ষে তাঁরা বলছেন, এই অনুচ্ছেদ সংসদ সদস্যদের স্বাধীনতা খর্ব করে এবং প্রধানমন্ত্রীকে একচ্ছত্রভাবে ক্ষমতা দেয়। অন্যদিকে এটা রাখার পক্ষে যাঁরা তাঁদের যুক্তি, এই বিধান বাদ দিলে সরকারের স্থিতিশীলতা থাকবে না। কিছুদিন পরপর সরকার ও সংসদ ভেঙে যেতে পারে। সরকারকে অস্থিতিশীল করতে বড় ধরনের অর্থের লেনদেনও হতে পারে।
অবশ্য ৭০ অনুচ্ছেদ এখন যেভাবে আছে, সেটা সংস্কারের পক্ষেই আলোচনা জোরদার। তবে বিএনপি, জাতীয় নাগরিক কমিটি, সিপিবিসহ অনেকে আস্থা ভোটের ক্ষেত্রে সদস্যরা দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারবেন না—এমন বিধান রেখে অনুচ্ছেদটি সংশোধনের পক্ষে। আর জামায়াতে ইসলামী আরও দুই মেয়াদ ৭০ অনুচ্ছেদ রাখার প্রস্তাব দিয়েছিল।
তবে সংবিধান সংস্কার কমিশন মনে করে, আস্থা ভোটের ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার ক্ষমতা না পেলে প্রধানমন্ত্রীকে জবাবদিহির আওতায় আনা সম্ভব নয়। তাদের সংস্কার প্রস্তাবের অন্যতম লক্ষ্য ক্ষমতার প্রাতিষ্ঠানিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা এবং প্রধানমন্ত্রীর পদের একচ্ছত্র ক্ষমতা কমানো। যাতে ভবিষ্যতে সাংবিধানিকভাবে কোনো প্রধানমন্ত্রী স্বৈরাচার হয়ে ওঠার সুযোগ না পান।
ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে সংস্কার কমিশন কিছু সাংবিধানিক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়ানো; বিভিন্ন সাংবিধানিক পদে নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রের তিন অঙ্গের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠন; একই ব্যক্তি একসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী, দলীয় প্রধান ও সংসদ নেতা হতে পারবেন না—এমন বিধান এবং সংসদকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করা ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনপদ্ধতি বদল করার মতো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করেছে।
প্রস্তাবে যা আছে
সংবিধান সংস্কার কমিশন তাদের সুপারিশে বলেছে, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার নিম্নকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের সমর্থনে প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হবেন। আইনসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে যদি কখনো প্রধানমন্ত্রী স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন বা আস্থা ভোটে হেরে যান কিংবা অন্য কোনো কারণে রাষ্ট্রপতিকে আইনসভা ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দেন, সে ক্ষেত্রে যদি রাষ্ট্রপতির কাছে এটি স্পষ্ট হয় যে নিম্নকক্ষের অন্য কোনো সদস্য সরকার গঠনে সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন পাবেন না, তবেই রাষ্ট্রপতি আইনসভার উভয় কক্ষ একসঙ্গে ভেঙে দেবেন।
সংস্কার কমিশন সূত্র জানায়, এই বিধানের ফলে সংসদের নিম্নকক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা যাবে। অন্যদিকে সংসদের নিম্নকক্ষের বিষয়ে বলা হয়েছে, অর্থ বিল ব্যতীত নিম্নকক্ষের সদস্যরা তাঁদের মনোনয়নকারী দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার পূর্ণ ক্ষমতা রাখবেন, অর্থাৎ সরকারি দলের সদস্যরাও আস্থা ভোটের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকবেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবও আনতে পারবেন। তবে কোনো প্রধানমন্ত্রী আস্থা ভোটে হেরে গেলে, তখন দেখা হবে ক্ষমতাসীন দলে অন্য কেউ সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন পান কি না। পেলে তিনি হবেন প্রধানমন্ত্রী। যদি কেউ সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন পাওয়ার মতো না থাকেন, তখন রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেবেন।
বিদ্যমান সংবিধানে বলা আছে, প্রধানমন্ত্রী যদি রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ পত্র দেন বা সংসদ সদস্য না থাকেন, তাহলে প্রধানমন্ত্রী পদ শূন্য হবে। এ ছাড়া সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন হারালে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করবেন কিংবা সংসদ ভেঙে দেওয়ার জন্য লিখিতভাবে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দেবেন। এমন ক্ষেত্রে অন্য কোনো সংসদ সদস্য সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন নন—রাষ্ট্রপতি এই মর্মে সন্তুষ্ট হলে তিনি সংসদ ভেঙে দেবেন। তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিদ্যমান সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের কারণে প্রধানমন্ত্রী সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের সমর্থন হারানোর সুযোগ কার্যত নেই।
দলগুলোর প্রস্তাবে যা ছিল
সংস্কার প্রস্তাব তৈরির আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে এ বিষয়ে লিখিত মতামত চেয়েছিল সংস্কার কমিশন। এ ছাড়া অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা এবং একটি জনমত জরিপও চালিয়েছিল তারা। অনেক দল তাদের প্রস্তাবে ৭০ অনুচ্ছেদ বিষয়ে বলেছিল।
বিএনপি তাদের প্রস্তাবে বলেছে, সংসদকে অধিকতর কার্যকর করার লক্ষ্যে ৭০ অনুচ্ছেদে ‘ফ্লোর ক্রসিং’–সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা যেতে পারে। তবে তারা সংসদে আস্থা ভোট, অর্থ বিল, সংবিধান সংশোধনী বিল এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত, এমন সব বিষয়ে দলের বিপক্ষে ভোট দিলে আসন শূন্য হবে—এমন বিধান রাখতে বলেছে।
জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রস্তাবে বলেছিল, ফ্লোর ক্রসিং এখন বন্ধ করা উচিত নয়। এটি সংসদীয় সরকারব্যবস্থা স্থিতিশীল করতে যুক্ত করা হয়েছিল। তারা এটি আরও দুই মেয়াদ পর্যন্ত রাখার পক্ষে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) আস্থা ভোট ছাড়া অন্য ক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়ার পক্ষে মত দেয়।
জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রস্তাবে বলা হয়, ৭০ অনুচ্ছেদের কঠোরতা খর্ব করতে হবে। সংসদ সদস্যরা দল বদল করলে তথা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দিলে বা দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করলে বা অব্যাহতি দেওয়া হলে তাঁর সংসদ সদস্য পদ শূন্য হবে। আস্থা ভোটে দলের বিপরীতে ভোট দেওয়া যাবে না। অন্য যেকোনো বিষয়ে তিনি স্বাধীন থাকবেন, দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারবেন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যার ব্যুরোর মাধ্যমে ৪৫ হাজার ৯২৫ জনের মধ্যে জরিপ চালিয়েছিল সংস্কার কমিশন। সেখানে ৮৩ দশমিক ৩ শতাংশ বলেছেন, সংসদ সদস্যদের স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার অধিকার থাকা উচিত।
যৌক্তিকতা
সংসদ সদস্যদের ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে ক্ষমতা বাড়ানোর সুপারিশ করার পেছনে যৌক্তিকতা কী, সেটা পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। সেখানে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংসদ সদস্যদের নিজ দলের প্রস্তাবিত যেকোনো নীতি বা সিদ্ধান্ত অকপটে মেনে নিতে বাধ্য করে। যদিও তাঁদের মতামত দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু দলের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া হয়নি। সংবিধান দলের প্রতি নিঃশর্ত আনুগত্যের নামে সংসদ সদস্যদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধিত্ব করতে বাধা দেয়।
কমিশন বলেছে, যদিও দলত্যাগ (ফ্লোর ক্রসিং) আটকানো ছিল এই অনুচ্ছেদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য, কার্যত এর প্রভাব এই উদ্দেশ্য ছাপিয়ে গেছে। আধুনিক গণতান্ত্রিক সংসদে, সাংবিধানিক বিধানের মাধ্যমে সংসদ সদস্যদের বাধ্য করার পরিবর্তে দলীয় হুইপদের কাজ হচ্ছে নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সংসদ সদস্যদের ভোট নিশ্চিত করা। ৭০ অনুচ্ছেদে ফ্লোর ক্রসিংয়ের বিরুদ্ধে যে বিধান, তা গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থী। স্থিতিশীলতার উদ্দেশ্যে এ বিধান রাখা হলেও এটি রাজনৈতিক আলোচনা এবং দলীয় জবাবদিহিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এটি সংসদ সদস্যদের তাঁদের নির্বাচনী এলাকার স্বার্থ প্রতিনিধিত্ব করা ও স্বাধীন ইচ্ছা প্রয়োগের ক্ষমতাকে সীমিত করে ফেলে।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা মনে করেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে এমন একটি ব্যবস্থা রাখা দরকার, যাতে প্রধানমন্ত্রী নিজ দলের কাছেও জবাবদিহির আওতায় থাকেন। যদি আস্থা ভোটে কোনো সদস্য দলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার অধিকার না পান, তাহলে প্রধানমন্ত্রীকে জবাবদিহির আওতায় আনা সম্ভব নয়। তাঁর মতে, এখন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ যেভাবে আছে, সেভাবে রেখে বা আস্থা ভোটের প্রশ্নে সদস্যরা দলের বাইরে ভোট দিতে পারবেন না, এমন বিধান রাখলে প্রধানমন্ত্রীকে জবাবদিহির আওতায় আনার সুযোগ সীমিত হয়ে যায়।
আলী রীয়াজ বলেন, যেকোনো সংসদীয় পদ্ধতিতে দলীয় সদস্যরা যদি মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তাঁদের আস্থা নেই, তাহলে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারেন। তখন সাধারণত প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেন। ২০২২ সালে যুক্তরাজ্যে ছয়-সাত মাসের ব্যবধানে কনজারভেটিভ পার্টির তিনজন নেতা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আসেন।
যেভাবে যুক্ত হয় ৭০ অনুচ্ছেদ
১৯৭২ সালে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ কীভাবে যুক্ত হয়েছিল, তার বর্ণনা পাওয়া যায় প্রয়াত অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের বিপুলা পৃথিবী বইয়ে। ১৯৭২ সালের সংবিধানের বাংলা অনুবাদ করার দায়িত্ব ছিল অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের। তিনি লিখেছেন, ‘সংবিধানের বিষয়ে পরামর্শ দিতে বঙ্গবন্ধু দুই বার ডেকে পাঠিয়েছিলেন কামালকে—সঙ্গে আমিও ছিলাম। তাঁর প্রথম বক্তব্য ছিল.
তবে গণপরিষদেই ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। আনিসুজ্জামান তাঁর বইয়ে এ বিষয়ে উল্লেখ করেছেন, (গণপরিষদ সদস্য) আ ক ম মোশাররফ হোসেন আকন্দ, আছাদুজ্জামান খান, আব্দুল মুন্তাকীম চৌধুরী, হাফেজ হাবিবুর রহমান এই অনুচ্ছেদের বিরোধিতা করেছিলেন। আনিসুজ্জামান লিখেছেন, ‘৭০ অনুচ্ছেদ সম্পর্কে সবচেয়ে কড়া ভাষায় আপত্তি জানান হাফেজ হাবিবুর রহমান—তাঁর মতে, এতে দলীয় একনায়কত্বের ও দলীয় নেতার একনায়কত্বের সৃষ্টি হবে।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দল র ব র দ ধ র ষ ট রপত এমন ব ধ ন র জন ত ক দল র প র র ক ষমত হয় ছ ল সরক র র সদস হওয় র
এছাড়াও পড়ুন:
সার্টিফিকেশন বোর্ড কী করছে
সাড়ে চার মাসে সাড়ে তিন শর বেশি সিনেমাকে সার্টিফিকেশন সনদ দিয়েছে বোর্ড। এর মধ্যে ‘ভয়াল’, ‘বলী’, ‘দরদ’, ‘চাঁদের অমাবস্যা’, ‘বাড়ির নাম শাহানা’, ‘প্রিয় মালতী’র মতো সিনেমা যেমন আছে, তেমনি রয়েছে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের দুই শতাধিক চলচ্চিত্র ও মাল্টিপ্লেক্সে মুক্তি পাওয়া হলিউডের চলচ্চিত্র।
২০২৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড’ গঠন করে সরকার। ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন, ২০২৩’-এর ৩-এর উপধারা (১) অনুসারে গঠিত হয়েছে এই বোর্ড।
বোর্ডের প্রধান কাজ ছবির রেটিং দেওয়া। কোন ছবি কোন বয়সের দর্শকের জন্য উপযোগী, নির্ধারণ করে বোর্ড। আর এই রেটিং প্রদানের জন্য জরুরি বিধিমালা। কিন্তু বিধিমালা এখনো চূড়ান্ত হয়নি, প্রস্তাব আকারে রয়েছে। কেউ কেউ তাই প্রশ্ন তুলেছেন, বিধিমালা ছাড়াই সাড়ে চার মাস ধরে সার্টিফিকেশন বোর্ড কীভাবে কাজ করছে?
২০২৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড’ গঠন করে সরকার