৩০ প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার, ভোট হলো না সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনে
Published: 10th, February 2025 GMT
চট্টগ্রামে আমদানি-রপ্তানি কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের সংগঠন চট্টগ্রাম কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন ৫৯ জন। গতকাল রোববার ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। আর এদিন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন ৩০ জন। এর ফলে ২৯টি পদে বিনা ভোটে বাকি প্রার্থীদের জয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
গতকাল সন্ধ্যায় বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শরিফ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে পদ বরাবর ২৯ জন ছাড়া বাকি ৩০ জন মনোনয়ন তুলে নেন। আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তাঁদের জয়ী ঘোষণা করা হয়।
জানা গেছে, ২৯ পদের মধ্যে সভাপতি, প্রথম সহসভাপতি, দ্বিতীয় সহসভাপতি, তৃতীয় সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, অর্থ সম্পাদক, বন্দরবিষয়ক সম্পাদক এবং কাস্টমসবিষয়ক প্রথম সহসম্পাদক পদে একজন করে মনোনয়নপত্র জমা দেন। প্রাথমিকভাবে তাঁরা আগেই নির্বাচিত হয়েছিলেন। যদিও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা তখনো হয়নি।
বাকি ২১ পদে ২৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে সব পদে একজন করে প্রার্থী রেখে বাকিরা সবাই মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিতদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে সভাপতি পদে এস এম সাইফুল আলম, প্রথম সহসভাপতি পদে মো.
এ ছাড়া বন্দরবিষয়ক সম্পাদক পদে রোকন উদ্দিন মাহমুদ, বন্দরবিষয়ক প্রথম সহসম্পাদক পদে লোকমান হোসেন খন্দকার, বন্দরবিষয়ক দ্বিতীয় সহসম্পাদক পদে মো. তাজুল ইসলাম, প্রযুক্তি-প্রশিক্ষণ ও আইনবিষয়ক সম্পাদক পদে এস এম ফরিদুল আলম, প্রচার ও দপ্তরবিষয়ক সম্পাদক পদে আহমাদ শহীদ উদ্দিন এবং সাংস্কৃতিক-শ্রম ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক মো. শফিউল আজম খানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
১২টি নির্বাহী সদস্য পদে মো. মনিরুল ইসলাম, মো. শওকত আকবর, মো. শাহনেওয়াজ রুমি, মো. আলমগীর হোসেন, মো. আলমগীর সরকার, মো. মেজবাহ উদ্দিন, মো. সারাফাত উল্যাহ, মো. সালাউদ্দীন, মো. গোলাম নবী, সরোয়ার আলম খান, মো. মহিবুর রহমান চৌধুরী ও আহমদ উল্লাহ তালুকদারকে নির্বাচিত বলে ঘোষণা করা হয়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
চুয়েটের হল থেকে ছাত্রলীগের ১৮ নেতা বহিষ্কার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা এবং জনস্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ২১ নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) প্রশাসন। তাদের মধ্যে ১৮ জনকে বিভিন্ন হল থেকে বহিষ্কার; বাকি তিনজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার স্টুডেন্টস ডিসিপ্লিন কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে গতকাল শুক্রবার ২১টি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।
পাঁচটি আবাসিক হল থেকে বহিষ্কৃতরা হলেন– শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি তোফাইয়া রাব্বি, ইমাম হোসেন, মো. সাদিকুজ্জামান, ইউসুফ আব্দুল্লাহ রনি, তানভীর জনি, ইফতেখার সাজিদ সম্রাট ও শাকিল ফরাজী; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তৌফিকুর রহমান, সৌমিক জয়, তালহা জুবায়ের, মাহমুদুল হাসান জাহিদ, রিফাত হোসাইন ও মইনুল হক; সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম মুন্না, ইরফানুল করিম তোহা, আশিকুল ইসলাম, তাহসিন ইশতিয়াক ইফতি ও আব্দুর রহমান জিহাদ।
এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদক বিজয় হোসেন, সহসভাপতি চিন্ময় কুমার দেবনাথ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিব উদ্দিন চৌধুরীকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীকে বহিষ্কার ও মদপানে অভিযুক্ত পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষক শাফকাত আর রুম্মানের শাস্তির দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে রাতেই প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টার মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে। জবাব ও অভিযোগ প্রমাণ সাপেক্ষে অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী একাডেমিক বহিষ্কার করা হতে পারে।
উপাচার্য মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূঁইয়া জানান, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে সাময়িকভাবে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তি আরও বাড়বে। সংশ্লিষ্টতা ছিল না কেউ প্রমাণ করতে পারলে শাস্তি স্থগিত করা হবে।