যেকোনো খেলোয়াড়ের জন্য অভিষেক ম্যাচ মানেই বিশেষ কিছু। আজীবনের জন্য স্মরণীয় মুহূর্ত। আর সেই অভিষেকে যদি গড়া যায় বিশ্ব রেকর্ড!

আজ লাহোরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে তেমন এক বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন ম্যাথু ব্রিটজকে। দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাসম্যান ১৫০ রানের ইনিংস খেলেছেন, যা ওয়ানডে অভিষেকে সর্বোচ্চ। ব্রিটজকে ভেঙেছেন কিংবদন্তি ক্যারিবীয় ওপেনার ডেসমন্ড হেইন্সের ৪৬ বছর টিকে থাকা রেকর্ড।

অথচ ২৬ বছর বয়সী ব্রিটজকের নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটিতে খেলারই কথা ছিল না। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট এসএ২০–এর কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার সব ক্রিকেটার আজকের ম্যাচের আগে লাহোরে দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেননি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে থাকা সব ক্রিকেটারকে একসঙ্গে পাওয়া যাবে না বলেই ত্রিদেশীয় সিরিজে ব্রিটজকে যুক্ত করা হয়েছিল। আজ সিরিজে নিজেদের প্রথম ম্যাচে তাঁর মাথায় পরিয়ে দেওয়া হয় ওয়ানডে ক্যাপও। আর এমন প্রেক্ষাপটে মাঠে নেমেই নাম লিখিয়ে ফেলেছেন রেকর্ড বইয়ে।

অভিষেকে অনেক ব্যাটসম্যান অস্বস্তিতে ভুগলেও ব্রিটজকে শুরু থেকেই ছিলেন স্বচ্ছন্দ। ওপেনিংয়ে নেমে প্রথম বলে নিয়েছেন স্ট্রাইক, ম্যাট হেনরির বলে নিয়েছেন সিঙ্গেল। এরপর ৫০ ছুঁয়েছেন ৬৮তম বলে, ১০০ রান ১২৮ বলে। ওয়ানডে অভিষেকে ব্রিটজকের আগেও সেঞ্চুরি আছে ১৮ জনের। তবে তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পর এক এক করে সবাইকে ছাড়িয়ে যেতে শুরু করেন এই উইকেটকিপার –ব্যাটসম্যান।

ইনিংসের ৪৫তম ওভারের শেষ বলে বেন সিয়ার্সকে পয়েন্টের ওপর দিয়ে ছয় মেরে পেরিয়ে যান হেইন্সকেও। ১৯৭৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজের অভিষেক ওয়ানডেতে ১৪৮ রান করেছিলেন সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক। এত দিন পর্যন্ত এটিই ছিল ওয়ানডে অভিষেকে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
বিশ্ব রেকর্ড গড়া ব্রিটজকে শেষ পর্যন্ত থেমেছেন ১৪৮ বলে ১৫০ রান করে। তাঁর ১১ চার ৫ ছক্কায় গড়া ইনিংসের সুবাদে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩০৪ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব শ ব র কর ড

এছাড়াও পড়ুন:

সার্টিফিকেশন বোর্ড কী করছে

সাড়ে চার মাসে সাড়ে তিন শর বেশি সিনেমাকে সার্টিফিকেশন সনদ দিয়েছে বোর্ড। এর মধ্যে ‘ভয়াল’, ‘বলী’, ‘দরদ’, ‘চাঁদের অমাবস্যা’, ‘বাড়ির নাম শাহানা’, ‘প্রিয় মালতী’র মতো সিনেমা যেমন আছে, তেমনি রয়েছে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের দুই শতাধিক চলচ্চিত্র ও মাল্টিপ্লেক্সে মুক্তি পাওয়া হলিউডের চলচ্চিত্র।

২০২৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড’ গঠন করে সরকার। ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন, ২০২৩’-এর ৩-এর উপধারা (১) অনুসারে গঠিত হয়েছে এই বোর্ড।

বোর্ডের প্রধান কাজ ছবির রেটিং দেওয়া। কোন ছবি কোন বয়সের দর্শকের জন্য উপযোগী, নির্ধারণ করে বোর্ড। আর এই রেটিং প্রদানের জন্য জরুরি বিধিমালা। কিন্তু বিধিমালা এখনো চূড়ান্ত হয়নি, প্রস্তাব আকারে রয়েছে। কেউ কেউ তাই প্রশ্ন তুলেছেন, বিধিমালা ছাড়াই সাড়ে চার মাস ধরে সার্টিফিকেশন বোর্ড কীভাবে কাজ করছে?

২০২৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড’ গঠন করে সরকার

সম্পর্কিত নিবন্ধ