যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) রুপার্ট লোয়ি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তাঁর নিজের অ্যাকাউন্টে একটি ছবি প্রকাশ করেছেন। ছবিটি পূর্ব লন্ডনের বাংলাদেশি–অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটস এলাকার ব্যস্ততম হোয়াইটচ্যাপেল পাতাল রেলস্টেশনের। তাতে বাংলা ও ইংরেজি—উভয় ভাষায় স্টেশনটির নাম লেখা রয়েছে।

এই ছবি নিয়ে তুমুল বিতর্ক ছড়িয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে সেই বিতর্কে জড়িয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক।

লন্ডনের একটি স্টেশনে স্থাপন করা বাংলায় লেখা সাইনবোর্ড নিয়ে সমালোচনা রয়েছে আগে থেকেই। সমালোচকদের দলে রয়েছেন রুপার্ট নিজেও। তাঁর মতে, লন্ডনের স্টেশনের নাম উল্লেখ করে সাইনবোর্ড লেখা থাকবে শুধু ইংরেজি ভাষায়।

রিফর্ম ইউকে পার্টির এই আইনপ্রণেতা এক্স পোস্টে ছবি যুক্ত করে লিখেন, ‘এটা লন্ডন—এখানে স্টেশনের নাম অবশ্যই ইংরেজিতে এবং শুধু ইংরেজিতে লেখা উচিত।’ মুহূর্তে সেই পোস্ট ভাইরাল হয়। এক্সের মালিক ইলন মাস্ক তাতে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেন, ‘ইয়েস (হ্যাঁ)।’

যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ব্যস্ততম হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনটির নাম ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা অক্ষরে শোভা পাচ্ছে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে নববর্ষকে বরণ, শোভাযাত্রার উদ্যোক্তা ভাস্কর শামীমকে সংবর্ধনা

যশোরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে মাধ্যমে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব পালিত হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় কালেক্টরেট চত্বর থেকে বর্ষবরণ শোভাযাত্রা বের হয়।

এর আগে দেশব্যাপী বর্ষবরণ শোভাযাত্রার উদ্যোক্তা ভাস্কর মাহবুব জামাল শামীমকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভাস্কর মাহবুব জামাল শামীমের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও চেক তুলে দেন।

অনুভূতি ব্যক্তকালে ভাস্কর মাহবুব জামাল শামীম বলেন, এই সম্মাননা শুধু আমার একার নয়। যশোরের সব সাংস্কৃতিক কর্মী, সামাজিক ও রাজনীতিক সর্বোপরি গোটা দেশবাসীর। যশোর থেকে শুরু হওয়া পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রা আজ প্রতিবেশী ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাঙালিরা সাড়ম্বরে পালন করছে। এই আনন্দ আজ সবার। আজকের এই সম্মাননায় আমি আপ্লুত, খুশি।

অনুষ্ঠানে যশোর জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ৩২টির অধিক সাংস্কৃতিক, সামাজিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যশোর কালেক্টরেট চত্বরে সমবেত হয়।

জাতীয় সংগীত ও এসো হে বৈশাখ এসো এসো গান গেয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। সম্মাননা অনুষ্ঠানের পরপরই দেশবাসীর কল্যাণ কামনায় শহরে একটি বর্ণিল ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।

শোভাযাত্রাটি যশোর কালেক্টরেট চত্বর থেকে বেরিয়ে বকুলতলা, দড়াটানা, চৌরাস্তা, কেশবলাল সড়ক হয়ে যশোর ইনস্টিটিউটে গিয়ে শেষ হয়। এবারের শোভাযাত্রায় সুন্দরবন রক্ষায় বিভিন্ন প্রাণ প্রকৃতি পাখ পাখালির মোটিফ, ঘোড়ারগাড়িসহ গ্রামবাংলার চিরায়ত বিভিন্ন সামগ্রী বহন করা হয় ও র‍্যালি হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত। এসময় বিভিন্ন পেশার মানুষ নববর্ষের বাহারি রঙিন পোশাক পরিধান করে তাদের নিজস্ব বাদ্য বাজিয়ে নেচে গেয়ে তারা নববর্ষকে বরণ করে নেয়।

এদিকে, সকাল ৬টা ৩১ মিনিটে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে যশোর পৌরপার্কে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে যশোর উদীচী, নবকিশলয় স্কুলে বিবর্তন যশোর ও সুরধুনী ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন তাদের নিজ নিজ ভেন্যুতে কবিগান, পালাগান, পঞ্চকবির গান, আধুনিক গান, লোকসংগীত, লোকনৃত্য, বাউল গান পরিবেশন করা হয়।

বর্ষবরণের এ অনুষ্ঠান সব বয়সের নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। এ উৎসব দেশে সকল ধর্ম বর্ণের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন সৃষ্টি করবে এমন আশা তাদের।

অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার রওনক জাহান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ যশোরের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ