গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় নিখোঁজের দুই দিন পর এক জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার ভোরে কোটালীপাড়া-পয়সারহাট খালের গচাপাড়া এলাকা থেকে পুলিশ বিপুল মণ্ডল (৪০) নামের ওই জেলের মরদেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার রাতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হন বিপুল মণ্ডল। রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা তল্লাশি চালালেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। সোমবার ভোরে ফজরের নামাজ শেষে মুসল্লিরা খালে একটি ভাসমান মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে এলাকাবাসীর সহায়তায় মরদেহটি উদ্ধার করে।

বিপুল মণ্ডলের অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।  নিহতের স্ত্রী মণি মণ্ডল স্বামীর মরদেহ দেখে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। তাদের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে পরিবারটি এখন বিপর্যস্ত। স্থানীয়রা নিহতের পরিবারকে সরকারি সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন।

কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, নিহত বিপুল মণ্ডলের পরিবার জানিয়েছে, তিনি আগে দুইবার স্ট্রোক করেছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, মাছ ধরার সময় স্ট্রোকজনিত কারণে তিনি পানিতে পড়ে মারা যান। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র মরদ হ পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

শরীয়তপুরের জাজিরায় আবারও সংঘর্ষ, মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় শতাধিক ককটেল (হাতবোমা) বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

গতকাল রোববার দুপুরে জয়নগর ইউনিয়নের ছাব্বিশপারা এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এতে এক তরুণের হাতের কব্জিতে গুরুতর ক্ষত হয় এবং আরও একজন আহত হন।

জাজিরা থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জয়নগর ইউনিয়নের ছাব্বিশপারা এলাকায় তেজগাঁও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিঠুন ঢালী ও জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হালিম তালুকদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এই দুই নেতা আত্মগোপনে গেলে স্থানীয় পর্যায়ে তাদের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জসিম তালুকদার ও নুর আলম সরদার।

রোববার দুপুরে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও ককটেল নিয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়। এ সময় নুর আলম সরদারের অনুসারীরা প্রতিপক্ষের ওপর ককটেল বোমা নিক্ষেপ করে। এরপর উভয় পক্ষ ঘণ্টা-ব্যাপী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও মারামারি। পরে পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

সংঘর্ষের কিছু দৃশ্য স্থানীয় এক ব্যক্তির সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ হয়, যা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ৪ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে দেখা যায়, এক পক্ষের সমর্থকরা বালতিতে করে ককটেল নিয়ে প্রতিপক্ষের দিকে নিক্ষেপ করছেন। তাদের হাতে ছিল টেঁটা, রামদা, ছেনদা, বল্লম, ডাল-সুরকি ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র।

সম্প্রতি জাজিরার বিলাশপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় খইয়ের মতো ককটেল বিস্ফোরণ দেশজুড়ে আলোচিত হয়। গত ৫ এপ্রিল সেখানে দুই শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, যা এখনও আলোচনায় রয়েছে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলো ছাব্বিশপারা এলাকায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল আখন্দ বলেন, গতকাল দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশ কিছু হাতবোমা বিস্ফোরিত হয় বলে জানতে পেরেছি। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ