শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যূত হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি প্রতিষ্ঠানের নাম থেকে শেখ পরিবারের নাম বাদ দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার আরও ১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাদ গেল শেখ পরিবারের নাম।

সম্প্রতি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের বস্ত্র অধিদপ্তরের অধীনে থাকা ১১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাদ গেল শেখ পরিবারের নাম। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। নাম পরিবর্তন করে ২৩ জানুয়ারির এ প্রজ্ঞাপন ৯ ফেব্রুয়ারি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

আরও পড়ুন৬ মেডিকেল কলেজের নাম বদল, বঙ্গবন্ধু–হাসিনার নাম বাদ৩১ অক্টোবর ২০২৪

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, টাঙ্গাইলের কালিহাতির বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নাম পরিবর্তন করে টাঙ্গাইল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ঝিনাইদহ সদরের শেখ কামাল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নাম পরিবর্তন করে ঝিনাইদহ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বরিশালের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নাম পরিবর্তন করে বরিশাল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, রংপুরের ড.

এম এ ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নাম পরিবর্তন করে রংপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, গোপালগঞ্জের শেখ রেহানা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নাম পরিবর্তন করে গোপালগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, জামালপুরের শেখ হাসিনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নাম পরিবর্তন করে জামালপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ করা হয়েছে। এছাড়া বরিশালের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন করে বরিশাল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, সিরাজগঞ্জের বেগম আমিনা মনসুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের নাম বদলে সিরাজগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, নওগাঁর মান্দার শহীদ কামারুজ্জামান টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের নাম বদলে নওগাঁ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, জামালপুরের মাদারগঞ্জের শেখ রাসেল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের নাম বদলে জামালপুর টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট এবং মেহেরপুরের ছহিউদ্দিন টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের নাম বদলে মেহেরপুর টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট করা হয়েছে।

আরও পড়ুনআরও ৩ মেডিকেল কলেজের নাম পরিবর্তন, বঙ্গবন্ধু-হাসিনার নাম বাদ১৯ নভেম্বর ২০২৪

এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি প্রতিষ্ঠানের নাম থেকে শেখ পরিবারের নাম বাদ দিয়েছে। সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা দেশের ১৩টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ১০টি, শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের নামে একটি এবং শেখ হাসিনার নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। আরেকটি মুজিবনগর নামে ছিল।

আরও পড়ুনশেখ পরিবারের নামে থাকা ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত১৬ জানুয়ারি ২০২৫আরও পড়ুনকানাডা যাওয়ার পর ‘নিখোঁজ’ ২০ হাজার ভারতীয় শিক্ষার্থীরা এখন কোথায়১ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ খ পর ব র র ন ম ম ড ক ল কল জ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে আন্দোলন

অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদের অপসারণ দাবিতে আন্দোলন করছেন ব্যাংকের কর্মকর্তারা। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙার পর ক্ষোভ জানিয়ে ২৬ বিশিষ্ট নাগরিকের সঙ্গে বিবৃতি দেওয়াকে কেন্দ্র করে এমন দাবি উঠেছে।

এই বিবৃতিতে জুলাই বিপ্লবের চেতনাবিরোধী আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে তাঁকে অপসারণ চাওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলন হয়।

গত সেপ্টেম্বরে অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিয়োগ পান আবু নাসের বখতিয়ার। গত ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙার ঘটনায় ৭ ফেব্রুয়ারি একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাড়িটি নির্মমভাবে ধূলিসাৎ করা হয়েছে। একটি সভ্য দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত, স্তম্ভিত ও লজ্জিত।

অগ্রণী ব্যাংকে সর্বস্তরের কর্মকর্তাদের ব্যানারে আন্দোলনকারীরা বলেন, জুলাই আন্দোলন দমনে নির্বিচারে গুলি করা হলেও তিনি কোনো বিবৃতি দেননি। বিগত সরকারের গুম-খুন, বিতর্কিত নির্বাচন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বাড়িতে উচ্ছেদের সময় তিনি নীরব ছিলেন। এখন হঠাৎ এ রকম বিবৃতি দিয়ে নিজেকে আওয়ামী লীগের দোসর প্রমাণ করেছেন।

জানতে চাইলে আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ সমকালকে বলেন, ব্যাংকের ভেতরে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় তাঁর উদ্যোগে কারণে অনেকে ক্ষুব্ধ। তারাই এ বিষয়টি সামনে এনে আন্দোলন করছে। তিনি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে তিনি যে কোনো ভাঙচুরের বিপক্ষে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ