সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আনটাং’ অনারেবল মেনশন অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে ভেনিস ইন্টারকালচার ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ও বুদাপেস্ট চলচ্চিত্র উৎসবে। তথ্যটি নির্মাতা নিজেই নিশ্চিত করেছেন।

মানুষের বাকস্বাধীনতা ও কথা বলার মৌলিক অধিকারের গল্প নিয়ে ২০২৪ সালের শুরুর দিকে নির্মিত এই চলচ্চিত্র এরই মধ্যে দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। হিল চলচ্চিত্র উৎসব, বিইউএফ ফিল্ম ফেস্ট, ইনডিপেনডেন্ট চলচ্চিত্র উৎসব, ভ্রাম্যমাণ চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটির বেশ কয়েকটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 আনটাং সিনেমার মিউজিক ও সাউন্ড করেছেন আকিব শাওন ও বাউলা নাজমুল। একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন রাশেদ সাগর। চিত্র গ্রহণে ছিলেন রয় সন্দ্বীপ। প্রডাকশন ডিজাইন করেছেন সানজিদ মাহমুদ।

গোলাম রাব্বানীর চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন মিজানুর রহমান, প্রসুন আজাদ, চন্দনা বিশ্বাস, জয়নাল আবেদীন, মানিক সাহাসহ অনেকেই।
এর আগে গোলাম রাব্বানী নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ছুরত’ ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের স্পিরিচুয়াল চলচ্চিত্র বিভাগে স্পেশাল মেনশন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। মুক্তির অপেক্ষায় আছে এই নির্মাতার ‘স্টিচ লাইফ’ ও ‘নিশি’ নামক দুটি সিনেমা। গত বছর মুক্তি পেয়েছে গোলাম রাব্বানীর চিত্রনাট্য ও সংলাপে নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ময়ূরাক্ষী’, মুক্তির অপেক্ষায় আছে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘রঙবাজার’।

দুটি সিনেমাই পরিচালনা করেছেন রাশিদ পলাশ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র উৎসব র ঘ য চলচ চ ত র কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় বিজু উৎসবে উচ্ছ্বাস

পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে ঢাকায় চাকমা জাতিগোষ্ঠীর বাসিন্দারা বিজু উৎসব করেছেন। বিজু মানে চাকমাদের ফুল উৎসব। চাকমারা বিশ্বাস করেন, এই ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে পুরোনো বছরের গ্লানি মুছে গিয়ে নতুন বছর বয়ে আনে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।

আজ শনিবার রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সের সামনে থেকে বৈসুক, সাংগ্রাই, বিজু, চাংক্রান, বিষু, সাংলান ও সাংগ্রাই উৎসব উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি রমনা পার্কে ফুল ভাসানোর মাধ্যমে শেষ হয়।

শোভাযাত্রা শেষে আলোচনা সভায় পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ‘বিজু উৎসবকে আপনাদের মাঝে নিয়ে আসার জন্য এই আয়োজনটা করা। আমি জানি, আজকে আমরা এখানে যে ফুল ভাসিয়ে দিলাম, এটার একটাই উদ্দেশ্য যে আমাদের অনাগত দিনগুলো যেন ভালোভাবেই আসে এবং আমাদের সবার মধ্যে একটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে পারি।’

পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল খালেক বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, খুমিসহ আরও অন্য যারা বসবাস করছেন, তাঁদের জন্য আজ বিশেষ দিন। আজকের আয়োজনে পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আমাদের উজ্জীবিত এবং উদ্বেলিত করেছে।’

মিরপুর থেকে প্রথমবারের মতো রমনা পার্কে বিজুর ছবি ফুল ভাসাতে এসেছেন কাফিয়া চাকমা। তাঁর গ্রামের বাড়ি রাঙামাটির রাঙ্গাপানি এলাকার মনোঘরে। তিনি বলেন, ‘এবার প্রথম আসছি, আমার খুব ভালো লাগতেছে। এখানে খুব মজা হইতেছে। একটু পরে আমি ফুল ভাসাই দেব।’ মিরপুর থেকে আসা টিংটিং চাকমাও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এখানে এসে।

বৈসুক, সাংগ্রাই, বিজু, চাংক্রান, বিষু, সাংলান ও সাংগ্রাই উৎসবের শোভাযাত্রা। আজ শনিবার রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সের সামনে থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাতীয় জীবনে কবিতার একটা বিশেষ ভূমিকা রয়েছে : রেজাউদ্দিন স্টালিন
  • রমনা লেকে ফুল ভাসিয়ে ফুলবিঝু উৎসব
  • শ্রীমঙ্গলে চা শ্রমিকদের ঐতিহ্যবাহী ফাগুয়া উৎসব
  • শ্রীমঙ্গলে ফাগুয়া উৎসবে উঠে এল চা জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা
  • রাবি শিক্ষার্থীদের বিজু উৎসব উদযাপন
  • পাহাড়ে বর্ষবরণে উৎসব
  • কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী নদীতে তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের বিজু ফুল উৎসব
  • বৈসাবি শব্দটি কীভাবে এল, এই নাম নিয়ে কেন বিতর্ক
  • ঢাকায় বিজু উৎসবে উচ্ছ্বাস
  • খাগড়াছড়িতে বৈসু’র বর্ণিল শোভাযাত্রা