মেক্সিকোতে বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে মুশফিকুল ফজল আনসারীর মতবিনিময়
Published: 10th, February 2025 GMT
মেক্সিকো সিটিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ শীর্ষক মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
দূতাবাসের হেড অফ চ্যান্সারি আব্দুল্লাহ আল ফরহাদের সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, “প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।”
তার সময়ে দূতাবাসটি একটি জনবান্ধব মিশন হিসেবে গড়ে উঠবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
তিনি পিপল টু পিপল কানেকশন বা জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বাগতিক দেশের নিয়ম-কানুন মেনে চলার আহ্বান জানান এবং মেক্সিকোর পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, “বাংলাদেশ সরকার মানবপাচার রোধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে।”
তিনি নিরাপদ ও নিয়মিত অভিবাসন প্রক্রিয়ার গুরুত্ব তুলে ধরে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে এই প্রক্রিয়া আরও শক্তিশালী করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। মেক্সিকোর শ্রমবাজারে বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তি-বিশেষ করে আইটি, কৃষি, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং অন্যান্য পেশাজীবী খাতে কাজের সুযোগ তৈরির জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস সক্রিয় ভূমিকা রাখবে বলে তিনি ঘোষণা দেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, “মেক্সিকোতে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করে তৈরি পোশাক, ওষুধ রপ্তানি বৃদ্ধির পাশাপাশি তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে থাকা চামড়াজাত পণ্য, আইটি সেবা এবং কৃষি পণ্যের রপ্তানি বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হবে।”
তিনি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে জুলাই গণঅভ্যুথানে জীবন আত্মত্যাগকারী শহীদদের স্মরণ করে বলেন, তাদের এই আত্মত্যাগ জাতি কখনো ভুলবে না। রাষ্ট্রদূত বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
তিনি ফ্যাসিবাদের বিচারে আইনানুগ প্রক্রিয়ার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করে বলেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশ গুম ও খুনের রাজ্য হিসেবে পরিচিত হয়েছিল। কিন্তু এখন সময় এসেছে সেই অধ্যায় পেছনে ফেলে বাংলাদেশকে একটি সুশৃঙ্খল, সভ্য ও উন্নত জাতি হিসেবে বিশ্বদরবারে তুলে ধরার।”
রাষ্ট্রদূত বলেন, “আমরা গর্বিত যে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস অন্তবর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নিয়েছেন। নিশ্চিতভাবেই তিনি জনআকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী একটি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হবেন।”
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি কমিউনিটির বেশ কয়েকজন সদস্য বক্তব্য রাখেন এবং রাষ্ট্রদূতকে তার নতুন দায়িত্বের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তারা প্রবাসী বাংলাদেশিদের কল্যাণে তার পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
অনুষ্ঠানের শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের বাংলাদেশি ঐতিহ্যবাহী খাবারে আপ্যায়ন করা হয়।
ঢাকা/হাসান/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সেরা বন্ধু হিসেবে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে চীন: রাষ্ট্রদূত
ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, সেরা বন্ধু হিসেবে পাশে থেকে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে চীন।
মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে 'বাংলাদেশে চীনের জাতীয় ভাবমূর্তি' শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের সহযোগিতা বাংলাদেশ, দেশের জনগণ ও চীনা জনগণের জন্য। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বা কোন দেশের অভ্যন্তরে যে পরিবর্তনই হোক না কেন, আমাদের নীতি স্পষ্ট। চীন অংশীদার হিসেবেই থাকবে। চীন সবসময় একটি দেশ ও তার জনগণের সঙ্গে থাকে, কোনো নির্দিষ্ট সরকারের সঙ্গে নয়।
আগামী ২৬-২৯ মার্চ প্রধান উপদেষ্টার আসন্ন চীন সফর সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চীন বিশ্বের সব দেশের প্রধানমন্ত্রী বা সরকার প্রধানকে আমন্ত্রণ জানায় এবং এ মুহূর্তে এ সফরের অগ্রাধিকার সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করা যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রের কোনো সার্বজনীন রূপ নেই এবং এটি দেশ থেকে দেশে ভিন্ন হতে পারে। কোনো দেশের জনগণ এটি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়।