ইস্পাত-অ্যালুমিনিয়াম আমদানিতে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ
Published: 10th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। আজ রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) তিনি এ ঘোষণা দেন। খবর রয়টার্সের।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার নিউ অরল্যান্সে যাওয়ার পথে উড়োজাহাজেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি বলেন, ‘সোমবারই হোয়াইট হাউস এই নতুন শুল্কারোপ ঘোষণা করবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘যেসব দেশ আমাদের ওপর শুল্ক আরোপ করবে আমরাও তাদের ওপর পাল্টা শুল্ক বসাব। খুব সহজভাবে বলতে গেলে, এভাবেই আমরা বাণিজ্যনীতিতে সমতা আনতে চাই।’
যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও আমেরিকান আয়রন অ্যান্ড স্টিল ইনস্টিটিউটের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি ধাতবপণ্য আমদানি করে থাকে কানাডা থেকে। এর পরেই রয়েছে মেক্সিকো, ব্রাজিল, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভিয়েতনাম।
গত বছরের প্রথম ১১ মাসে কানাডা থেকে ৭৯ শতাংশ অ্যালুমিনিয়াম আমদানি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে অ্যালুমিনিয়াম ও ইস্পাতের ওপর নতুন করে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলে সবচেয়ে বিপাকে পড়বে কানাডা ও মেক্সিকো।
কানাডার উদ্ভাবনবিষয়ক মন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া ফিলিপ শ্যাম্পেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লেখেন, ‘কানাডার ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা, জাহাজ নির্মাণ ও অটোমোবাইল শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। আমরা নিঃসন্দেহে আমাদের শিল্প ও কর্মীদের পাশে থাকব।’
এর আগে কানাডা ও মেক্সিকোর বিভিন্ন পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়ে পরে আবার তা স্থগিত করেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট মেক্সিকোকে শর্ত দিয়েছিলেন, তাদের সীমান্তে তৎপরতা বৃদ্ধি করতে হবে যেন অবৈধ মাদক যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে না পারে। সেই শর্ত অনুযায়ী সীমান্তে ন্যাশনাল গার্ডের ১০ হাজার সেনাকে তাৎক্ষণিকভাবে মোতায়েন করে মেক্সিকো। এ শর্তে তাদের ওপর আরোপিত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন ট্রাম্প।
এনজে
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: শ শ ল ক আর প আমদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্র সচিবদের বৈঠক আজ
দেড় দশক পর আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক। এতে অবিভক্ত পাকিস্তানের সম্পদ থেকে ন্যায্য হিস্যা হিসেবে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারের দাবি আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপন করবে বাংলাদেশ।
তহবিল, প্রভিডেন্ট ফান্ড, সঞ্চয়পত্রসহ বিভিন্ন খাতের হিস্যা হিসেবে এই অর্থ বাংলাদেশ পাবে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন বাংলাদেশ এবং আমনা বালুচ পাকিস্তানের নেতৃত্ব দেবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে দু’দেশের সম্পর্কের নানা বিষয়সহ ঐতিহাসিক অনিষ্পন্ন বিষয়গুলো আলোচনায় আসবে।
সর্বশেষ পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল ২০১০ সালে।
বৈঠক উপলক্ষে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ গতকাল বুধবার ঢাকায় আসেন। আজ সকালে তিনি বৈঠকে যোগ দেবেন। মধ্যাহ্নভোজের পর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং এর পর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি। গতকাল আমনা বালুচ ঢাকায় পাকিস্তান দূতাবাসের কর্মীদের সঙ্গে এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত দেশটির ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে কথা বলেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছ থেকে ১৯৭১ পূর্ববর্তী সময়ের হিস্যা অনুসারে ৪ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার পাবে। এর একটি বড় অংশ ১৯৭০ সালে ঘূর্ণিঝড়ের পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পাঠানো হয়েছিল। জানা গেছে, ২০ কোটি ডলারের বৈদেশিক সহায়তা এসেছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের ঢাকা শাখা থেকে এই অর্থ লাহোর শাখায় সরিয়ে নেওয়া হয়। এ ছাড়া পাকিস্তান ছেড়ে বাংলাদেশে চলে আসা সরকারি কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও সঞ্চয়পত্রের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি।
পরিকল্পনা কমিশনের মতে, সরকারি কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা ৯০ লাখ টাকা আটকে রেখেছিল পাকিস্তান সরকার। যুদ্ধকালে রূপালী ব্যাংকের করাচি শাখায় রাখা ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকাও ফেরত আসেনি। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলতি অর্থের অর্ধেক ৪৩৫ কোটি রুপির দাবিদার বাংলাদেশ। পাকিস্তানের ব্যাংকিং বিভাগ থেকেই বাংলাদেশ পাবে প্রায় ৬০ কোটি রুপি।