একসময় গান থেকে দূরে চলে যাওয়ার ঘোষনা দিয়েছিলেন বরেণ্য কন্ঠশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ। শ্রোতাদের ভালোবাসা এড়িয়ে চলে যেতে পারেননি তিনি। ফিরে এলেন আবার গানের ভুবনে। পুরোদমে শুরু করেছেন  নতুন নতুন গান ও  গানের ভিডিও। তবে এখন নতুন গান রেকডিং কমিয়ে এনেছেন। ষ্টেজ শো নিজেই ব্যস্ত আছেন তিনি। এমনটিই সমকালকে জানালেন তিনি। এরই মধ্যে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেল,অফিসার্স ক্লাবসহ বেশ কয়েকটি করর্পোরেট অনুষ্ঠানে গান করেছেন তিনি।

ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ‘শ্রোতাদের ভালোবাসা উপেক্ষা করা কঠিন। যে কারণে আবার গানে ফিরেছি। এখন ষ্টেজ শো নিয়েই  ব্যস্ত সময় যাচ্ছে। এ কারণে নতুন গান রেকডিং ও মিউজিক ভিডিওর কাজ কমিয়ে দিয়েছি। ষ্টেজ শোতে সরাসরি দর্শক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়। বেশ উপভোগ করছি। বেশ কয়েকটি গান তৈরী আছে। ষ্টেজ শোর ব্যস্ততা শেষ হলেই গানগুলো প্রকাশ করার ইচ্ছা রয়েছে। 
এ কন্ঠশিল্পী আরও বলেন,‘আমরা  নানা অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। এই অস্থির সময়েরও মানুষ বিনোদন চায়। মাঝে মাঝে নিজেকে প্রশ্ন করি, এত সমস্যা নিয়ে কেন মানুষ গানের সঙ্গেই আছেন? উত্তরও পেয়ে যাই। আসলে তারা মনের প্রশান্তি পেতে গানে সঙ্গেই থাকতে চান।’ 

গান কেন্দ্রিক ব্যস্ততার পাশপাশি ‘সন্ধ্যা মায়া’নামে একটি সিনেমা নির্মাণের পরিকল্পনাও করেছেন ফেরদৌস ওয়াহিদ। পরিচালনার পাশাপাশি এতে অভিনয়ও করবেন তিনি। শিগগিরই এর কাজ শুরু হবে।  নতুন শিল্পীদেরই বেশি দেখা যাবে তাঁর নির্মিতব্য এ সিনেমায়,এমনটিই জানিয়েছেন এই গুনী শিল্পী।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

প্রত্যাখ্যানের আঘাত কীভাবে সামলে উঠবেন

প্রেমে হাবুডুবু খাওয়া একজন মানুষের কথা ভাবুন। প্রত্যাখ্যানের আঘাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে পারে তাঁর জীবন। সামাজিকভাবেও যে তিনি কখনো কখনো হাসির পাত্র হয়ে উঠতে পারেন, সেটিও অস্বীকার করার উপায় নেই। সবকিছুর ভেতর দিয়েই অবশ্য জীবন এগিয়ে যেতে থাকে। তবে প্রত্যাখ্যানের সেই আঘাতে কারও কারও মনোজগতে বেশ গভীর ছাপ পড়ে। মনোবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে ‘রিজেকশন ট্রমা’।
একপাক্ষিক ভালোবাসায় প্রত্যাখ্যানের আঘাতের ঝুঁকি থাকে মারাত্মক। আবার কেউ প্রেমের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এলেও প্রত্যাখ্যানের আঘাতে জর্জরিত হতে পারেন অপরজন। বিবাহবিচ্ছেদেও এমনটা ঘটতে পারে। প্রত্যাখ্যানের আঘাত পাওয়া একজন মানুষের বিশ্বাসের ভিত নড়ে যাওয়াটা খুব স্বাভাবিক। একদিকে আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগতে পারেন তিনি, নিজেকে ভাবতে পারেন ‘অযোগ্য’। অন্যদিকে আবার অন্যের প্রতিও বিশ্বাস হারাতে পারেন তিনি। এমনটাই বলছিলেন স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেডের চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী শারমিন হক।

নিজের ভেতর যা চলে

প্রত্যাখ্যানের কারণে নিজেকে তাঁর মনে হতে পারে অসুন্দর ও অপাঙ্‌ক্তেয়। নিজের ওপর রাগও হতে পারে। বিষণ্নতায় ভুগতে পারেন তিনি। কোনো কিছুই ভালো না লাগা বা কোনো কাজেই আগ্রহ না পাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। মন খারাপের এক অনুভূতিতে ডুবে থাকতে পারেন। নিজেকে দুর্বল মনে হতে পারে। ঘুম, খাওয়াদাওয়া ও রোজকার অন্যান্য স্বাভাবিক কাজও এলোমেলো হয়ে পড়তে পারে। কাজকর্মে মনোযোগ দিতে অসুবিধা হতে পারে। আবেগীয় ভারসাম্য এলোমেলো হয়ে পড়তে পারে। কেউ কেউ নিজের ক্ষতি করতেও উদ্যত হন।

আরও পড়ুনআম্মার ভয়ে প্রেম করিনি, এখন আম্মাই বলে, তুমি খুঁজে আনো৫ ঘণ্টা আগেঅন্যের প্রতি…

প্রত্যাখ্যানের অভিজ্ঞতা হওয়ার পর একজন মানুষের মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। মানুষকে বিশ্বাস করতে না পারাটাই হয়ে দাঁড়াতে পারে বিশাল এক সমস্যা। অনেকে নতুন কোনো সম্পর্কে জড়াতে ভয় পান। এমনকি পেশাদার কাজেও অন্যরা তাঁকে প্রত্যাখ্যান করবেন, এমন একটা ধারণা জন্মে যেতে পারে তাঁর মধ্যে।

এমন হলে কী করবেন

এমন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে কারও কারও দীর্ঘ সময় লেগে যায়। যন্ত্রণাময় দিনে মনে রাখা প্রয়োজন, জীবন যেমন সুন্দর, তেমনি কঠিনও বটে। পাওয়া না–পাওয়ার এক জটিল সমীকরণই তো জীবন। স্মৃতিতে কষ্ট থাকতেই পারে। কিন্তু পৃথিবীর বুকে আপন অস্তিত্বকে অপাঙ্‌ক্তেয় মনে করবেন না। যেকোনো কারণেই আপনার ভালোবাসা প্রত্যাখ্যান করতে পারেন একজন ব্যক্তি। তাতে আপনি ‘অযোগ্য’ প্রমাণিত হলেন, ব্যাপারটা একেবারেই তা নয়। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন। নিজের জীবনের ইতিবাচক দিকগুলোর কথা ভুলে যাবেন না। এগুলোর মাধ্যমেই নিজের নেতিবাচক ভাবনাগুলোকে নিজেই ‘চ্যালেঞ্জ’ করতে পারেন। যাঁরা আপনাকে ভালোবাসেন, যাঁরা আপনার আপনজন, তাঁদের ভালোবাসাকে অসম্মান করবেন না। তাঁদের ভালো রাখতে হলে কিন্তু নিজের যত্ন নেওয়ার বিকল্প নেই। খুব কাছের কোনো মানুষের সঙ্গে কষ্টের কথা ভাগ করে নিতে পারেন। পেশাগত ও শখের কাজে সময় দিন। বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান। শিথিলায়নের ব্যায়াম করতে পারেন। পেশাদার সাহায্যের জন্য প্রয়োজনে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হোন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কোনো উপসর্গ না থাকলেও ৪০ পেরোলে কেন ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা প্রয়োজন
  • প্রত্যাখ্যানের আঘাত কীভাবে সামলে উঠবেন