২৩ বাংলাদেশিসহ ২৭৮ অভিবাসীকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া
Published: 10th, February 2025 GMT
মালয়েশিয়া থেকে ২৩ বাংলাদেশিসহ ২৭৮ জন অভিবাসীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দেশটির জোহর রাজ্যের ইমিগ্রেশন বিভাগ জানিয়েছে, অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের দায়ে সাজা ভোগের পর তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।
বিবৃতিতে জোহর অভিবাসন বিভাগ আরও জানায়, এসব অভিবাসী রাজ্যের পেকান নেনাস বন্দিশিবির থেকে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কেএলআইএ-১ ও কেএলআইএ টার্মিনাল-২) এবং জোহর বাহরুর স্টুলাং লাউট ফেরি টার্মিনালের মাধ্যমে নিজ দেশে ফিরে গেছেন।
ফেরত পাঠানোদের মধ্যে রয়েছেন ২৩ জন বাংলাদেশি, ২৩০ জন ইন্দোনেশীয়, ১৭ জন পাকিস্তানি, ৬ জন ভারতীয়, একজন শ্রীলঙ্কার এবং একজন সিঙ্গাপুরের নাগরিক।
অভিবাসন আইন ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আইনের অধীনে সাজা ভোগের পর, নিজ দেশের দূতাবাসের মাধ্যমে নাগরিকত্ব যাচাই সম্পন্ন করে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়। মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ জানিয়েছে, ফেরত পাঠানো অভিবাসীদের কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, যাতে তারা ভবিষ্যতে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে না পারেন।
ঢাকা/হাসান/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
লক্ষ্মীপুরে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত একজনের মৃত্যু
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত জসিম উদ্দিন বেপারী মারা গেছেন।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান। এ নিয়ে সংঘর্ষের ওই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দুইজনে দাঁড়িয়েছে।
জসিম উদ্দিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রায়পুর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন।
আরো পড়ুন:
মাদারীপুরের রাজৈরে ১৪৪ ধারা জারি
মুন্সীগঞ্জে বিএনপির আনন্দ শোভাযাত্রায় সংঘর্ষ
আরো পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে ২ পক্ষের সংঘর্ষে নিহতের জেরে ১৫ বাড়িতে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
এর আগে সংঘর্ষের ঘটনায় মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম সাইজ উদ্দিন দেওয়ান। তিনি স্পেন প্রবাসী এবং স্থানীয় বিএনপির কর্মী ছিলেন।
নিহত জসিম উদ্দিন রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড চরবংশী গ্রামের হজল করিমের ছেলে। তিনি পেশায় ঢালাই শ্রমিক ছিলেন। তিনি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী ও রায়পুর উপজেলা বিএনপির সদস্য ফারুক কবিরাজের অনুসারী ছিলেন বলে স্বজনরা জানান।
নিহতের ছোট ভাই কাউছার হোসেন বলেন, “গত ৭ এপ্রিল কৃষকদল নেতা জিএম শামীম ও মোস্তফা গাজীর লোকজন আমার ভাইকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। পরে তাকে ঢাকার একটি হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। তার পুরো শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃত্যুর সঙ্গে লড়তে গিয়ে আমার ভাই পরাজিত হয়েছে। তিনি মারা গেছেন। তার মরদেহ বাড়িতে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।”
আরো পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবক দল ও কৃষক দলের সংঘর্ষে নিহত ১
রায়পুর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন বলেন, “জসিম নামে একজনের মৃত্যুর খবর আমরা শুনেছি। তার বাড়িতে যাব। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে সাইজ উদ্দিন হত্যা মামলায় একজন গ্রেপ্তার আছে।”
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ