গত মাসে নিজের বাড়িতে হামলার শিকার হন বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খান। ১৬ জানুয়ারি সেই অনুপ্রবেশকারীকে আটকাতে গিয়ে আহত হন অভিনেতা। এমনকি ছুরির একটা অংশ গেঁথে যায় তাঁর মেরুদণ্ডের পাশে।

আরও পড়ুনসাইফ আলী অভিনেতা হিসেবে যেভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলেন০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

যা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বের করা হয়। ঘাড়েও চোট পান তিনি। এ ঘটনার পর পাঁচ দিন হাসপাতালে কেটেছে সাইফের। বাড়ি ফেরার পর গত সপ্তাহে একটি সিনেমার প্রচারে হাজির হয়েছিলেন, তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেননি। অবশেষে আলোচিত সেই ঘটনা নিয়ে বোম্বে টাইমসের সঙ্গে কথা বলেছেন অভিনেতা।

সাইফ জানিয়েছেন, হামলাকারীর সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে আহত হওয়ার পর তাঁর কুর্তা রক্তে ভেসে গিয়েছিল। সাইফের স্ত্রী কারিনা ও দুই ছেলে তৈমুর ও জেহ নিচে নেমে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য অটো বা ক্যাব খোঁজার চেষ্টা করেন।

সাইফ আলী খান। এএনআই.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন নয়, আগের সংবিধান সংশোধন করা যেতে পারে

সংবিধান সংস্কার কমিশনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) বরিশালের প্রান্তিক প্রতিনিধিরা বলেছেন, নতুন কোনো সংবিধান নয়, সময়ের চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে আগের সংবিধানকে সংশোধন করা যেতে পারে। তবে সেটা করতে পারবে একমাত্র নির্বাচিত সংসদ।

গতকাল শনিবার বরিশাল নগরীতে ‘রাষ্ট্র সংস্কারে জাতীয় ঐকমত্য ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে সুজন প্রতিনিধিরা এসব কথা বলেন। সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলোর বিষয়ে মতামত নিতে জেলা ও মহানগর সুজন এ বৈঠক আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সুজনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া। জেলা, উপজেলা ও মহানগর সুজন প্রতিনিধিরা বৈঠকে অংশ নেন। 

সভায় অংশগ্রহণকারীদের সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ও সংবিধানের বিদ্যমান ব্যবস্থার কপি দেওয়া হলে তার ওপর আলোচনা করেন। ৯০ সদস্য আলোচনায় অংশ নেন। প্রায় সব আলোচক বিদ্যমান সংবিধান বাতিল করে নতুন সংবিধান প্রণয়নের বিরোধিতা করেন। তারা বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতা অক্ষুণ্ন রেখে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। 

সুজনের বরিশাল মহানগরের সভাপতি রফিকুল আলম বলেন, বর্তমান সংবিধান সমুন্নত রাখার শপথ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছে। এখন নতুন সংবিধান প্রণয়নের কথা বললে সেটা শপথ ভঙ্গের শামিল। সংবিধান অনুযায়ী দ্বৈত নাগরিক সংসদ সদস্য হতে পারবেন না এবং রাষ্ট্রীয় পদে থাকতে পারবেন না। অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা দ্বৈত নাগরিক। এমনকি সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. আলী রীয়াজও দ্বৈত নাগরিক। তাঁর নেতৃত্বে কমিশন বৈধ নয়।

তবে বানারীপাড়া সুজনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান সোহেল বলেন, আগের দলীয় সরকারগুলোর ব্যর্থতার জন্য ইউনূস সরকারের আবির্ভাব হয়েছে। তাই তাঁর নেতৃত্বেই সংবিধান সংস্কার নিরাপদ হবে।
দিলীপ বড়ুয়া বলেন, সংবিধান সংস্কার বিষয়ে সারাদেশে তৃণমূলের মতামত নেওয়া হচ্ছে। এসব যথাযথ স্থানে উপস্থাপন করা হবে। জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে রাষ্ট্র সিদ্ধান্ত নেবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ