শ্রীলঙ্কায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য বানরকে দায়ী করলেন মন্ত্রী
Published: 10th, February 2025 GMT
শ্রীলঙ্কায় দেশব্যাপী বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য কলম্বোর দক্ষিণে একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অনুপ্রবেশকারী একটি বানরকে দায়ী করা হয়েছে।
২ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার এই দ্বীপরাষ্ট্রে ধীরে ধীরে বিদ্যুৎ সরবরাহ ফের চালু করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে চিকিৎসা অবকাঠামো এবং পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্টগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
আরো পড়ুন:
৪৩ বছরে সবচেয়ে বড় হার শ্রীলঙ্কার
বুড়ো বয়সে সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় খাজা
শ্রীলঙ্কার জ্বালানিমন্ত্রী কুমারা জয়কোডি সাংবাদিকদের বলেছেন, “একটি বানর আমাদের গ্রিড ট্রান্সফরমারের সংস্পর্শে এসেছে, যার ফলে সিস্টেমে ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে।”
রবিবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট শুরু হয়, যার ফলে অনেকেই জেনারেটরের উপর নির্ভর করতে বাধ্য হন। কর্মকর্তারা বলছেন, বিদ্যুৎ ফিরে পেতে আরো কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষজন ঘটনাটি নিয়ে মজা করার পাশাপাশি কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেছে। মারিও নাওফাল নামে এক এক্স ব্যবহারকারী তার হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “দুর্বৃত্ত এক বানর কলম্বোর একটি সাবস্টেশনে প্রবেশের পর শ্রীলঙ্কার পুরো পাওয়ার গ্রিড ব্যর্থ হয়ে গেছে। একটি বানর = সার্বিক বিশৃঙ্খলা। পরিকাঠামো নিয়ে পুনরায় ভাবনা-চিন্তার সময় এসেছে?”
স্থানীয় সংবাদপত্র ডেইলি মিরর-এর প্রধান সম্পাদক জামিলা হুসেন লিখেছেন, “শুধুমাত্র শ্রীলঙ্কায়ই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভেতরে বানরের একটি দল লড়াই করে দেশব্যাপী বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ হতে পারে।”
সোমবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে সংবাদপত্রটি বলেছে, প্রকৌশলীরা পাওয়ার গ্রিডগুলোকে আপগ্রেড করতে বা ঘন ঘন ব্ল্যাকআউটের মুখোমুখি হওয়া ঠেকাতে ‘বছরের পর বছর ধরে’ ধারাবাহিকভাবে সরকারগুলোকে সতর্ক করে আসছেন।
নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক এক সিনিয়র প্রকৌশলীর উদ্ধৃতি দিয়ে এতে বলা হয়েছে, “জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড এতটাই দুর্বল অবস্থায় রয়েছে যে, যেকোনো একটি লাইনে যদি সমস্যা হয় তাহলে ঘন ঘন দেশজুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতে পারে।”
২০২২ সালে অর্থনৈতিক সংকটের সময় শ্রীলঙ্কা ব্যাপকভাবে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্মুখীন হয়েছিল।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সার্টিফিকেশন বোর্ড কী করছে
সাড়ে চার মাসে সাড়ে তিন শর বেশি সিনেমাকে সার্টিফিকেশন সনদ দিয়েছে বোর্ড। এর মধ্যে ‘ভয়াল’, ‘বলী’, ‘দরদ’, ‘চাঁদের অমাবস্যা’, ‘বাড়ির নাম শাহানা’, ‘প্রিয় মালতী’র মতো সিনেমা যেমন আছে, তেমনি রয়েছে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের দুই শতাধিক চলচ্চিত্র ও মাল্টিপ্লেক্সে মুক্তি পাওয়া হলিউডের চলচ্চিত্র।
২০২৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড’ গঠন করে সরকার। ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন, ২০২৩’-এর ৩-এর উপধারা (১) অনুসারে গঠিত হয়েছে এই বোর্ড।
বোর্ডের প্রধান কাজ ছবির রেটিং দেওয়া। কোন ছবি কোন বয়সের দর্শকের জন্য উপযোগী, নির্ধারণ করে বোর্ড। আর এই রেটিং প্রদানের জন্য জরুরি বিধিমালা। কিন্তু বিধিমালা এখনো চূড়ান্ত হয়নি, প্রস্তাব আকারে রয়েছে। কেউ কেউ তাই প্রশ্ন তুলেছেন, বিধিমালা ছাড়াই সাড়ে চার মাস ধরে সার্টিফিকেশন বোর্ড কীভাবে কাজ করছে?
২০২৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড’ গঠন করে সরকার