নতুন সেল গঠন করল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
Published: 10th, February 2025 GMT
সমকাল প্রতববেদক
সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে ‘সাংস্কৃতিক সেল’ গঠন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সংগঠনের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে ২৪ সদস্যবিশিষ্ট এই সেলের স্মারক প্রকাশ করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেল এ সেলের অনুমোদন দিয়েছেন। নতুন এ সেলের সম্পাদক করা হয়েছে সালাউদ্দিন জামিল সৌরভকে।
সেলের সম্পাদক সালাউদ্দিন জামিল সৌরভ সমকালকে বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, সংস্কৃতি সবসময়ই অন্যায় এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলে। তাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংস্কৃতিচর্চাকে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে সাংস্কৃতিক সেল গঠন করেছে। আমরা বাংলাদেশের ঋদ্ধ সংস্কৃতির সব শাখা নিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরিকর। আমাদের প্রধান লক্ষ্য থাকবে সংস্কৃতির শেকড়ের সব উপাদানকে তুলে আনা।
আমাদের বৈচিত্র্যময় লোক সংস্কৃতি, বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি, আমাদের নাটক, চলচ্চিত্র, সঙ্গীত, আবৃত্তি, নৃত্য, চিত্রশিল্প, আলোকচিত্র শিল্প, মুখাভিনয়, লাঠিখেলা, নৌকাবাইচসহ শিল্পসংস্কৃতির সব শাখার চর্চা, প্রচার এবং প্রসারের মধ্য দিয়ে একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থা গঠনে আমরা নিরলস কাজ করে যাবো। তারুণ্যের শক্তিতে এগিয়ে যাব দুর্বার গতিতে।
সেলের সদস্য হিসেবে রয়েছেন রাদমান হোসেন অনুপ, ঐতিহ্য আনোয়ার ওহী, উচথোয়াই মারমা, মো.
এর আগে সর্বশেষ গত ২৮ জানুয়ারি ‘কমিউনিটি অ্যাফেয়ার্স সেল’ ও ২৯ জানুয়ারি ‘কৃষি ও পরিবেশবিষয়ক সেল’ অনুমোদন দিয়েছিল জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠনটি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ধর্ষণের বিচারসহ পাঁচ দাবিতে ছয়দিন ধরে শাহবাগে অবস্থান ঢাবি শিক্ষার্থীর
ধর্ষণের বিচার, নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে পাঁচ দফা দাবিতে ছয়দিন ধরে রাজধানীর শাহবাগে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী শেখ তাসনীম আফরোজ ইমি। ছয়দিন ধরে অবস্থানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ সংহতি জানিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি কেউ।
সরকারের কেউ দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে তিনি কর্মসূচি প্রত্যাহার করবেন বলে জানান। তাসনীম আফরোজ ইমি বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি শামসুন নাহার হল ছাত্র সংসদের নির্বাচিত ভিপি।
গত ৮ মার্চ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘দেশব্যাপী নারী, ধর্ষণ, নিপীড়ন এবং হেনস্তার প্রতিবাদে লাগাতার অবস্থান’ শুরু করেন ইমি। তিনি বলেন, কোনো সংগঠন বা ব্যক্তি পরিচয় নয়, একেবারে সাধারণ নাগরিকের ব্যানার থেকে আমি অবস্থান করছি। তবে দুঃখের বিষয় আমি এতদিন অবস্থান করছি কিন্তু কেউ বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। এটা একটা বার্তা দেওয়া হলো-সাধারণ মানুষের কথা কেউ শোনে না।
তিনি বলেন, আমার যদি কোনো ক্ষতি হয়, এটার পুরো দায় সরকারকে নিতে হবে। আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছি, আমার দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস-নিশ্চয়তা যদি আসে তাহলে আমি ঘরে ফিরতে চাই।
তার পাঁচ দফা দাবি হলো-
১. ধর্ষণ ও বলাৎকারের বিচার কার্যক্রম নিম্ম আদালত থেকে উচ্চ আদালত পর্যন্ত সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পন্ন করতে হবে, এবং দ্রুত রায় কার্যকর করতে হবে।
২. আগামী ৭২ ঘণ্টার ভেতর প্রতিটি থানায় একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তার নারী ও শিশু নির্যাতন একটি ইমারজেন্সি ক্রাইসিস রেস্পন্স টিম গঠন করতে হবে। একই সাথে থানার অভ্যন্তরে ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যেখানে ভুক্তভোগী নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা, চিকিৎসা সহায়তা আইন সহায়তা ও মানসিক এখন সেবা দেওয়া হবে।
৩. নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধারা-২৪ সংশোধন পূর্বক ধর্ষণের শিকার ভিকটিমের পরিচয় প্রকাশের ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমের উপর যে বিধিনিষেধ আরোপ করা আছে সেই ধারায় সংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ভুক্তভোগীর পরিচয় প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে।
৪. ধর্ষণের শিকার ভিক্টিমের মানসিক, শারীরিক এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ সরকারকে নিতে হবে।
৫. নারী ও শিশুর উপর সংঘটিত সকল নির্যাতনের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরীর জন্য সরকারকে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করতে হবে। এই উদ্যোগ গুলোর মাধ্যমে সমাজের প্রতিটি শ্রেণী স্তরের নারী ও শিশুদেরকে সচেতন করা যাবে। একই সাথে স্কুল-কলেজের পাঠ প্রস্তুকে নৈতিক শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা পাঠদানের বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।