জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলা: আপিলে খালাস পেলেন মাহমুদুর রহমান
Published: 10th, February 2025 GMT
সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যাচেষ্টা ও ষড়যন্ত্রের মামলায় সাজার বিরুদ্ধে আপিল করে খালাস পেয়েছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
আজ সোমবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তারিক এজাজের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। এদিন সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান আদালতে উপস্থিত হন। তার উপস্থিতিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যে কোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও দলটির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্য দলগুলোর উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।
এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় এ মামলা করেন। ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এপর্যন্ত এই মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জনের সাক্ষ্য নেয় আদালত। ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সাংবাদিক শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনের সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে মাহমুদুর রহমান আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পরে ওই বছরের ৩ অক্টোবর আপিলের শর্তে তিনি জামিনে কারামুক্ত হন। পরে গত ১২ ডিসেম্বর সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেন তিনি। গত ২৩ জানুয়ারি আপিল শুনানি শেষে আদালত রায়ের জন্য ১০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিগত ১৫ বছরে নববর্ষ পালন নিয়েও ষড়যন্ত্র হয়েছে: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিগত ১৫ বছরে নববর্ষ পালন নিয়েও ষড়যন্ত্র হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে পার্শ্ববর্তী একটি দেশের সংস্কৃতি এ দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হতো।
আজ সোমবার রাজধানীর পরীবাগ সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন রিজভী। নববর্ষ উপলক্ষে এ আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সতীর্থ স্বজন।
সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আগে পয়লা বৈশাখে মুখোশের আড়ালে আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হয়েছে। এমনকি দাড়ি-টুপি নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করা হতো। তাই এখন গত ১৬ বছর ধরে আমাদের ভোটাধিকারের যে লড়াই, সেটি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। গণতন্ত্রকে নিশ্চিত করা নিয়ে কোনো টালবাহানা করা যাবে না।’
রিজভী বলেন, পয়লা বৈশাখে জাতির আকাঙ্ক্ষা দ্রুত ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া। কারণ, ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশের মানুষের ভোটাধিকারসহ সব অধিকার কেড়ে নিয়ে নিজের কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
সংস্কার প্রসঙ্গে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ভোটাধিকারকে কেন সংস্কারের সঙ্গে এক করে দেখা হচ্ছে? গণতন্ত্র মানেই সংস্কার। গণতন্ত্র হচ্ছে প্রবহমান খরস্রোতা নদীর মতো। এখানে কর্তৃত্ববাদের কোনো জায়গা নেই।
বিএনপির সহপ্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুব ইসলাম, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ প্রমুখ।