সান্তোসে নিজের ফেরার ম্যাচেই বদলি নেমে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন নেইমার। কিন্তু পরের ম্যাচেই মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। ৪৮১ দিন পর শুরুর একাদশে নেমে ভুলে যাওয়ার মতোই একটি দিন পার করেছেন তিনি।

নভোরিজোন্তিনোর বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করা ম্যাচে নেইমার মাঠে ছিলেন ৭৫ মিনিট (ইনজুরি টাইমসহ ৮১ মিনিট)। কিন্তু এ সময়ে দলের ভাগ্য বদলানো দূরে থাক, তেমন কোনো ছাপই ফেলতে পারেননি।

গোলশূন্য ম্যাচে নেইমার যে গোল কিংবা অ্যাসিস্ট কোনোটাই করতে পারেননি, সেটা বোধ হয় আলাদা করে না বললেও চলে। গোল না করা কিংবা অ্যাসিস্ট না করার মতো দিন একজন ফুটবলারের যেতেই পারে। কিন্তু এ ম্যাচে নেইমার একটি শট নিলেও সেটি লক্ষ্যে রাখতে পারেননি।

আরও পড়ুনসান্তোসে প্রত্যাবর্তনেই ম্যাচসেরা নেইমার০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সান্তোসের হয়ে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে নেইমার বল স্পর্শ করেছেন ৫৫ বার, যেখানে তিনি সব মিলিয়ে পাস দিয়েছেন ২৮টি। এর মধ্যে ২২টি ছিল সফল পাস। সাফল্যের হার ৭৯ শতাংশ।

কিন্তু এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পাস ছিল মাত্র ১টি। এমনকি এ ম্যাচে ৭ বার ড্রিবলের চেষ্টা করে একবারও সফল হননি। আর এই পরিসংখ্যানগুলোই মূলত তুলে ধরছে নেইমারের বাজে পারফরম্যান্সকে।

এদিন ম্লান পারফরম্যান্সের পাশাপাশি ৯ মিনিটে সমর্থকদের মনে ভয়ও ধরিয়ে দিয়েছিলেন নেইমার। এ সময় হেড দিতে গিয়ে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের সঙ্গে মাথায় সংঘর্ষ লাগার পর মাঠে শুয়ে পড়েন নেইমার।

পরে অবশ্য দ্রুতই খেলায় ফিরে আসেন তিনি। এরপর ২২ মিনিটে দারুণ একটি সুযোগ এসেছিল তাঁর সামনে। কিন্তু নিজে শট না নিয়ে সতীর্থ গিয়ের্মেকে পাস দেন দিনি।

আরও পড়ুনইতিহাসের সবচেয়ে দামি ফ্লপে নেইমারের ‘বন্ধু’ যাঁরা৩১ জানুয়ারি ২০২৫

পরে সেই সুযোগ আর আলোর মুখ দেখেনি। পরিসংখ্যানের নানা দিকে পিছিয়ে থাকলেও একটি দিকে সবার ওপরে ছিলেন নেইমার। এ ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ফাউলের শিকার হওয়া খেলোয়াড় তিনি। সব মিলিয়ে ৪ বার ফাউলের শিকার হয়েছেন সাবেক বার্সেলোনা তারকা।

ম্যাচের বেশির ভাগ সময় ম্লান পারফর্ম করা নেইমারকে শেষ পর্যন্ত বদলি করা হয় ম্যাচের ৭৫ মিনিটে। তাঁর বদলে মাঠে নামেন গ্যাব্রিয়েল বোন্তেমপো। তিনিও অবশ্য ম্যাচে কোনো পার্থক্য গড়তে পারেননি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প র নন

এছাড়াও পড়ুন:

পঁয়ত্রিশের পর ধার বেড়েছে যাদের

বছর পঁচিশের ক্রিস গেইলকে কতজনই বা চিনেছিলেন, যতটা না তাঁকে চেনা গিয়েছিল বুড়ো বয়সে! ক্যারিবিয়ান এ তারকা ‘ইউনিভার্সাল বস’ হয়েছেন তো পঁয়ত্রিশের পরে এসে। তার সেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ছক্কা মারার ভঙ্গিটা দেখা গেছে ক্যারিয়ারের শেষের দিকেই। ক্রিকেটে আসলে এমন কিছু ব্যাপার থাকে, যা ব্যাকরণের মধ্যে ফেলা যায় না। যেখানে অনেকেই পঁয়ত্রিশের আগেই হাঁপিয়ে ওঠেন, সেখানে কেউ কেউ জ্বলে ওঠেন আগের চেয়েও ভয়ংকর হয়ে। 

ক্রিস গেইল, কুমারা সাঙ্গাকারা, ম্যাথু হেডেন, মোহাম্মদ হাফিজরা তাদের সেরা সময়টা কাটিয়েছেন পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব ক্যারিয়ারে। তাদের প্রত্যেকের স্ট্রাইকরেট বেড়েছে এই সময়ে। সেই তালিকার সর্বশেষ সংযোজন বোধহয় বছর সাঁইত্রিশের ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। যিনি কিনা গত দুই বছরে ব্যাটিংয়ে আরও বেশি আগ্রাসী, আরও বেশি বলশালী হয়েছেন।

 আঠারো বছরের ক্যারিয়ারে প্রথম ষোলো বছর, রোহিতের স্ট্রাইকরেট ছিল ৮৯.০২; গত আড়াই বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৭.৩৭তে। গড় আগে যা ছিল ৪৮.৬, সেটা সামান্যই বেড়েছে ৪৯.৬। অর্থাৎ রানের গড় ঠিক রেখে রান তোলার গতি বেড়েছে তার এই সময়ের মধ্যে। 

য়সের সঙ্গে সঙ্গে ধারে ও ভারে নিজেকে যে জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন রোহিত, তারপর তিনি বলতেই পারেন, ‘আমি এখনই অবসর নিচ্ছি না।’

গত আড়াই বছরের মধ্যে যেন স্বর্ণ সময় পার করছেন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে ট্রফি জেতার অর্জনে কিংবদন্তি ইমরান খানের পাশে চলে এসেছেন। পাঁচ বা এর বেশি দল নিয়ে আয়োজিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি চারটি করে ট্রফি জিতেছেন মাত্র চার অধিনায়ক। পাকিস্তানের কিংবদন্তি ইমরান খান ১৯৯২ বিশ্বকাপ জেতার আগে অস্ট্রাল- এশিয়া কাপ জিতেছিলেন ১৯৮৬ ও ১৯৯০ সালে। 

এ ছাড়া ১৯৮৯ সালের ওয়ার্ল্ড সিরিজ এনে দিয়েছিলেন পাকিস্তানকে। অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং ২০০৩ ও ২০০৭ বিশ্বকাপ জয়ের পাশাপাশি জিতেছিলেন ২০০৬ ও ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ধোনি এনেছিলেন ২০১১ বিশ্বকাপ, ২০০৭ টি২০ বিশ্বকাপ, ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং ২০১৬ এশিয়া কাপ। আর অধিনায়ক রোহিত জিতেছেন ২০১৮ ও ২০২৩ সালের এশিয়া কাপ, ২০২৪ সালের টি২০ বিশ্বকাপ আর এবারের ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এই চারটি শিরোপার তিনটিই তিনি জিতেছেন পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব বয়সে পরিণত একজন হয়ে। বয়সেই সৌন্দর্য বেড়েছে তাদের।

৩৫ বছরের পর পারফরম্যান্স     ৩৫ বছরের আগের পারফরম্যান্স
ব্যাটার              রান          স্ট্রাইকরেট       রান     স্ট্রাইকরেট
রোহিত শর্মা      ১৮৮৫         ১১৭.৩৭     ৯২৮৩     ৮৯.০২
ক্রিস গেইল       ১৬৭০         ১০৮.৬৫     ৮৮১০     ৮৪.০৫
কুমারা সাঙ্গাকারা ৩৩৯২       ৯১.১৩        ১০৮৪২     ৭৫.৬৮ 
ম্যাথু হেডেন        ১৮৯৯          ৯১.১৩      ৪২৩৪       ৭৫.৮১
মোহাম্মদ হাফিজ   ১৫৬০        ৮৪.২৮    ৫০৫৪      ৭৪.৫২
# পঁয়ত্রিশ বছর বয়সের পর কমপক্ষে ১৫০০ রান করা ব্যাটারদের মধ্যে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দ্য হান্ড্রেডে দল পাননি বাংলাদেশের কেউ
  • রুদ্ধশ্বাস লড়াই জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়াল
  • ফেব্রুয়ারির সেরা ক্রিকেটার গিল
  • পঁয়ত্রিশের পর ধার বেড়েছে যাদের
  • বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি নিয়ে অসন্তোষ
  • ডুয়েল সার্টিফায়েড ট্রেন্ডসেটার ডিভাইস
  • অ্যানফিল্ডে জাদু দেখানোর অপেক্ষায় পিএসজি
  • পিএসজির আজ লিভারপুল পরীক্ষা
  • অ্যানফিল্ড কঠিন জায়গা জেনেও দারুণ কিছুর আশায় পিএসজি