সারা দেশে সমাবেশের ‘রোডম্যাপ’ দিল বিএনপি
Published: 10th, February 2025 GMT
দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখাসহ নানা দাবিতে সারাদেশে সমাবেশ করবে বিএনপি। আগামী বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট দিনে এসব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে সমাবেশের পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
আজ সোমবার দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে সমাবেশের দিনক্ষণ ও কেন্দ্রীয় নেতারা কে কোথায় বক্তব্য দেবেন, তার তালিকা প্রকাশ করেছে।
১২ ফেব্রুয়ারি
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় (লালমনিরহাট), নজরুল ইসলাম খান (সিরাজগঞ্জ), সালাহ উদ্দিন আহমেদ (ফেনী), হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (খুলনা), ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), আসাদুজ্জামান রিপন (রাজবাড়ী), চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল (পটুয়াখালী), আরিফুল হক চৌধুরী (সুনামগঞ্জ), যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল (জামালপুর)।
১৭ ফেব্রুয়ারি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (যশোর), স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান (টাঙ্গাইল), সেলিমা রহমান (মাদারীপুর), আবদুল আউয়াল মিন্টু (চাঁদপুর), শামসুজ্জামান দুদু (ঠাকুরগাঁও), আবদুস সালাম (বগুড়া), আরিফুল হক চৌধুরী (মৌলভীবাজার), জহির উদ্দিন স্বপন (ভোলা)।
১৮ ফেব্রুয়ারি
স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ (কক্সবাজার), ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু (পাবনা), শামসুজ্জামান দুদু (পঞ্চগড়), জয়নুল আবেদিন ফারুক (কুমিল্লা দক্ষিণ), আবুল খায়ের ভুঁইয়া (ঝিনাইদহ), জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী (মানিকগঞ্জ), যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী (হবিগঞ্জ), সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স (নেত্রকোনা)।
১৯ ফেব্রুয়ারি
স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী (নোয়াখালী), সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল (সিলেট), দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ফজলুর রহমান (কিশোরগঞ্জ), মিজানুর রহমান মিনু (কুষ্টিয়া), ফরহাদ হালিম ডোনার (শরীয়তপুর), মজিবুর রহমান সারোয়ার (পিরোজপুর), রুহুল কবির রিজভী (রাজশাহী)।
২০ ফেব্রুয়ারি
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (ঢাকা), আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী (লক্ষ্মীপুর), সেলিমা রহমান (বরিশাল দক্ষিণ), আবদুল আউয়াল মিন্টু (ময়মনসিংহ দক্ষিণ), আসাদুজ্জামান রিপন (ফরিদপুর), চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান (চুয়াডাঙ্গা), মিজানুর রহমান মিনু (নওগাঁ), আবদুস সালাম (কুড়িগ্রাম)।
২২ ফেব্রুয়ারি
জয়নাল আবেদীন (ঝালকাঠি), আহমেদ আজম খান (চট্টগ্রাম দক্ষিণ), সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল (ময়মনসিংহ উত্তর), হারুনুর রশীদ (জয়পুহাট), মাহবুব উদ্দিন খোকন (কুমিল্লা উত্তর), আসলাম চৌধুরী (বান্দরবান), আবুল খায়ের ভুঁইয়া (রংপুর), যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ (নরসিংদী)।
২৪ ফেব্রুয়ারি
স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন (মুন্সিগঞ্জ), হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বরিশাল উত্তর), ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী (নড়াইল), আহমেদ আজম খান (নাটোর), হারুনুর রশীদ (গাইবান্ধা), হাবিব উন নবী খান সোহেল (রাঙ্গামাটি), আবদুস সালাম আজাদ (মাগুরা), সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স (সৈয়দপুর)।
২৫ ফেব্রুয়ারি
স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস (নারায়ণগঞ্জ), গয়েশ্বর চন্দ্র রায় (গাজীপুর), ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু (চট্টগ্রাম উত্তর), বরকত উল্লাহ বুলু (বাগেরহাট), নিতাই রায়ে চৌধুরী (সাতক্ষীরা), সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল (দিনাজপুর), আমান উল্লাহ আমান (মেহেরপুর), জয়নুল আবদিন ফারুক (নীলফামারী), মনিরুল হক চৌধুরী (খাগড়াছড়ি), আবদুস সালাম (চাঁপাইনবাবগঞ্জ)।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ আবদ স স ল ম র রহম ন ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
ধর্ষণ মামলার আসামি জামিন পেয়ে বাদীকে ব্ল্যাকমেইল, বিক্ষুব্ধ জনতার থানা ঘেরাও
মেহেরপুরে ধর্ষণ মামলার আসামি জামিনে ছাড়া পেয়ে বাদীকে ব্ল্যাকমেইল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগে আসামিদের গ্রেপ্তার ও তদন্ত অফিসারের শাস্তির দাবিতে মেহেরপুর সদর থানা ঘেরাও করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী কয়েকশ ছাত্র ছাত্রী সদর থানা ঘেরাও করে রাখে। পরে পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানম তদন্ত কর্মকর্তা সুজয় কুমারকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। এছাড়া মেহেরপুর সেনাবাহিনীর মেজর ফারহানের নেতৃত্বে একটি টিম থানায় গিয়ে ছাত্র নেতাদের সঙ্গে কথা বলে ধর্ষকের বিচার হবে বলে আশ্বাস দেন।
জানা যায়, গেল বছরের ৯ সেপ্টেম্বর চকলেট দেওয়ার নাম করে মেহেরপুরে ৯ বছরের শিশুকে এক তরুণ তাদের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় ওই ছেলের এক বন্ধু এই ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। পরে ভিডিও ফাঁস করার হুমকি দিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা নেয়। এরপর আবারও এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের দাবি করা চাঁদার টাকা না দেওয়ায় আসামিরা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। বাধ্য হয়ে শিশুটির মা বাদী হয়ে ৩ জনের নামে মেহেরপুর আদালতে ধর্ষণ মামলা করেন। আসামিরা গ্রেপ্তার হয়ে কয়েক মাস হাজতবাসের পর জামিনে মুক্ত হয়।
জামিনের পর তারা আবারও ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের হুমকি দিয়ে বাদীকে মামলা তুলে নিতে বলে। এ ঘটনায় ধর্ষণ মামলার বাদী প্রতিকার চেয়ে মেহেরপুর সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি মীমাংসার জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর থানার এসআই সুজয় কুমার উভয় পক্ষকে নিয়ে থানায় বসেন। এসময় এসআই সুজয় কুমার ধর্ষণ মামলার আসামিদের পক্ষ থেকে বাদীকে মামলা তুলে নিতে অব্যাহত চাপ দিতে থাকেন।
খবর পেয়ে থানায় গিয়ে প্রতিবাদ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী তুষার ইমরান ও সিয়াম আহাম্মেদ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এসআই সুজয় কুমার থানার মধ্যেই তুষার ও সিয়ামের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্র জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে থানা ঘেরাও করে প্রতিবাদ করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে উপস্থিত হন পুলিশ সুপার মাকসুদা খানম। বিচারের আশ্বাস দিয়ে পুলিশ সুপার স্থান ত্যাগ করতে চাইলে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা পুলিশ সুপারের বক্তব্য প্রত্যাখান করেন। তবে শেষ পর্যন্ত ছাত্রদের শর্ত মেনে মধ্য রাতে এসআই প্রত্যাহার, আসামীর জামিন বাতিলে উদ্যোগী হওয়া ও আসামিদের পুনরায় গ্রেপ্তারের আশ্বাসে ছাত্র-জনতা স্থান ত্যাগ করেন।
পুলিশ সুপার মাকসুদা আখতার খানম বলেন, ছাত্রদের দাবি অনুযায়ী উপরিদর্শক (এসআই) সুজয় কুমার মল্লিককে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। এ ছাড়া অভিযুক্ত অন্য দুজনকে আটক করতে সেনাবাহিনীসহ পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।