নির্বাসন ঠেকাতে ৫০ মিলিয়ন ডলার খরচ করবে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর
Published: 10th, February 2025 GMT
ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের নীতিগুলোকে ট্রাম্প প্রশাসনের চ্যালেঞ্জ থেকে রক্ষা করে প্রেসিডেন্টের ব্যাপক নির্বাসন পরিকল্পনার মুখে অভিবাসীদের সহায়তা করতে ৫০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউজম। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি আইনে স্বাক্ষরও করেছেন তিনি।
আইনের আওতায় ২৫ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে ক্যালিফোর্নিয়া বিচার বিভাগে, যাতে তারা ফেডারেল সরকারের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন। বাকি ২৫ মিলিয়ন ডলার রাখা হয়েছে অভিবাসীদের সম্ভাব্য নির্বাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করা আইনি গোষ্ঠীগুলোর সহায়তার জন্য।
ট্রাম্পের প্রথম প্রেসিডেন্সির সময় তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার সঙ্গে জলবায়ু আইন, পানি নীতি, অভিবাসীদের অধিকার ও আরও অনেক বিষয়ে সংঘাতে জড়িয়েছিলেন। সেই সময় ক্যালিফোর্নিয়া ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে ১০০টিরও বেশি মামলা দায়ের করেছিলেন। এখন ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম দিকেই সেই লড়াইগুলো আবার ফিরে এসেছে।
ডেমোক্র্যাটিক অ্যাসেম্বলি স্পিকার রবার্ট রিভাস এক বিবৃতিতে বলেন, ক্যালিফোর্নিয়ার মানুষ এখন এমন একটি প্রশাসনের মাধ্যমে হুমকির মুখে, যা সংবিধানের তোয়াক্কা করে না এবং মনে করে যে তার ক্ষমতার কোনো সীমা নেই। এই কারণেই আমরা এমন আইন আনছি, যা ক্যালিফোর্নিয়ার মানুষকে এই জরুরি হুমকি থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করবে।
এই পদক্ষেপটি এমন এক সময়ে এসেছে, যখন গভর্নর নিউজম ওয়াশিংটন সফর থেকে ফিরেছেন। সেখানে তিনি ট্রাম্প ও কংগ্রেস সদস্যদের সঙ্গে জানুয়ারিতে লস অ্যাঞ্জেলেস অঞ্চলে ধ্বংসাত্মক দাবানলের জন্য ফেডারেল দুর্যোগ সহায়তা নিশ্চিত করা যায় এ ব্যাপারে বৈঠক করেছেন। ওই দাবানলে দুই ডজনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং বহু এলাকা পুড়ে গেছে।
গত মাসে নিউজম ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের একটি দাবানল ত্রাণ প্যাকেজ স্বাক্ষর করেছেন, যা রাজ্যের দুর্যোগ মোকাবিলা কার্যক্রমের জন্য অর্থায়ন করবে। এর মধ্যে উচ্ছেদ অভিযান, ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্রয় প্রদান এবং বিপজ্জনক আবর্জনা অপসারণের জন্য তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছে। নিউজম প্রশাসন আশা করছে, ফেডারেল সরকার এই ব্যয়ের জন্য রাজ্যকে ক্ষতিপূরণ দেবে।
ক্যালিফোর্নিয়া ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করার ক্ষেত্রে অভ্যস্ত। প্রথম মেয়াদে ক্যালিফোর্নিয়া ১২০টিরও বেশি ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বলে ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় জানিয়েছে। এই আইনি লড়াইয়ে রাজ্য প্রায় ৪২ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। যার পরিমাণ বছরে ২ মিলিয়ন থেকে ১৩ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত ছিল।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন উইয র ক র জন য সহ য ত
এছাড়াও পড়ুন:
ডায়েটিশিয়ান নাকি নিউট্রিশনিস্ট, কখন কার কাছে যাবেন
দেশে দেশে এই শব্দ দুটির প্রয়োগ এক নয়। যুক্তরাষ্ট্রে ডায়েটিশিয়ান হলেন স্বীকৃত খাদ্য ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ। তাঁরা চিকিৎসার মাধ্যমে পুষ্টি থেরাপি ও পরামর্শ দেন। কিছু রাজ্যে ডায়েটিশিয়ানরা নিজেদের নিউট্রিশনিস্ট (পুষ্টিবিদ) হিসেবে পরিচয় দেন। অর্থাৎ সব জায়গায় এর অর্থ এক নয়।
তাহলে কোনটার সংজ্ঞা কী?ডায়েটিশিয়ান
বিভিন্ন দেশে ডায়েটিশিয়ানরা সাধারণত পুষ্টি ও খাদ্য বিষয়ে উচ্চশিক্ষিত। এর মধ্যে থাকে খাদ্যবিজ্ঞান, পুষ্টি ও মানবজীবনে খাদ্যের প্রভাব। বিস্তৃত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ডায়েটিশিয়ানরা মেডিকেল নিউট্রিশন থেরাপি ও পুষ্টিগত পরামর্শ দেওয়ার দক্ষতা অর্জন করেন। দিতে পারেন কিছু ওষুধও।
নিবন্ধিত ডায়েটিশিয়ান হতে সরকারের ঠিক করা মানদণ্ড মেনে উত্তীর্ণ হতে হয়। তার আগে এই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অর্জন করতে হয় স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। জীববিজ্ঞান, অণুজীববিজ্ঞান, রসায়ন, প্রাণরসায়ন, অজৈব রসায়ন, শারীরতত্ত্ব (ফিজিওলজি) ইত্যাদি বিষয়ের পাশাপাশি বিশেষায়িত বিষয়ে পড়েও এই পেশায় আসা যায়। সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে ডায়েটিশিয়ান হতে প্রয়োজন পড়ে স্নাতকোত্তরের।
ডায়েটিশিয়ানদের কাজের ক্ষেত্র প্রধানত চারটি—ক্লিনিক্যাল, খাদ্য পরিষেবা ব্যবস্থাপনা, কমিউনিটি ও গবেষণা। ক্লিনিক্যাল ও বহির্বিভাগের ডায়েটিশিয়ানরা পুষ্টি শিক্ষা দিতে হাসপাতালে কাজ করতে পারেন।
আরও পড়ুনখাদ্য ও পুষ্টি নিয়ে এই সাত ভুল কথা খুবই জনপ্রিয়০৩ নভেম্বর ২০২৩নিউট্রিশনিস্ট
কিছু দেশে ডায়েটিশিয়ান না বলে বলা হয় নিউট্রিশনিস্ট। তবে শিক্ষাগত যোগ্যতায় তাঁরাও ডায়েটিশিয়ানদের মতোই। যুক্তরাষ্ট্রে ‘নিউট্রিশনিস্ট’ শব্দটি দিয়ে এমন ব্যক্তিদের বোঝানো হয়, যাঁদের পুষ্টিবিদ্যার ওপর বড় পরিসরের যোগ্যতা ও প্রশিক্ষণ আছে। তবে অনেক রাজ্যেই পুষ্টিবিদ হতে বিশেষ কোনো শর্ত নেই। পুষ্টি বা খাদ্য সম্পর্কে আগ্রহী হলেই এই পরিচয় দেওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে এই নিউট্রিশনিস্টরা মেডিকেল নিউট্রিশন থেরাপি ও পুষ্টি পরামর্শ দিতে পারেন না।
আরও পড়ুনযেসব পুষ্টি উপাদানের ঘাটতিতে ওজন বাড়তে পারে২২ এপ্রিল ২০২৪কার কাছে যাবেনবাংলাদেশে পুষ্টিসংক্রান্ত বিষয়ে স্নাতক করার পর ডায়েটিশিয়ান পেশায় কাজ করা যায়। তবে সাধারণত উচ্চতর ডিগ্রি ও প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর তাঁরা পুষ্টিবিদ পরিচয়ে সেবা দেন। তাই আপনার খাদ্যাভ্যাসসংক্রান্ত পরামর্শের প্রয়োজন হলে ডায়েটিশিয়ানের কাছে যেতে পারেন। আর শারীরিক পুষ্টিসংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে যেতে পারেন চিকিৎসক বা প্রশিক্ষিত নিউট্রিশনিস্টের কাছে।
আরও পড়ুনমিষ্টি-রসমালাই খেয়েও ৪০ কেজি ওজন কমিয়েছেন এই ইউটিউবার, কীভাবে?০৯ ডিসেম্বর ২০২৪