শেয়ারবাজার থেকে প্রায় সাড়ে ৩৭ কোটি টাকার শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছেন এসিআই লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ দৌলা। আজ সোমবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে তিনি শেয়ার কেনার এই ঘোষণা দেন।

ডিএসইতে দেওয়া ঘোষণায় আরিফ দৌলা জানিয়েছেন, তিনি আগামী ৩০ দিনের মধ্যে শেয়ারবাজার থেকে এসিআইয়ের ২৫ লাখ শেয়ার কিনবেন। আজ ঢাকার বাজারে লেনদেন শুরুর প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যে এসিআইয়ের প্রতিটি শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ১৫০ টাকা। সেই হিসাবে ২৫ লাখ শেয়ারের বাজারমূল্য দাঁড়ায় সাড়ে ৩৭ কোটি টাকা।

এর আগে গত মাসেও আরিফ দৌলা বাজার থেকে ছয় লাখ শেয়ার কিনেছিলেন। আর এখন নতুন করে ২৫ লাখ শেয়ার কেনা সম্পন্ন করলে এক মাসের মধ্যে তিনি কোম্পানিটির ৩১ লাখ শেয়ার নিজের নামে কেনা সম্পন্ন করবেন।

শুধু আরিফ দৌলা নয়, সম্প্রতি বাজার থেকে এসিআইয়ের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শেয়ার কিনেছেন কোম্পানিটির চেয়ার‌ম্যান ও শিল্পোদ্যোক্তা আনিস উদ দৌলা, পরিচালক সুস্মিতা আনিস। এর মধ্যে আনিস উদ দৌলা ১৬ লাখ ও সুস্মিতা আনিস ১৫ লাখ ১৫ হাজার শেয়ার কিনেছেন। সব মিলিয়ে গত মাসে কোম্পানির তিন পরিচালক আনিস উদ দৌলা, আরিফ দৌলা ও সুস্মিতা আনিস মিলে এসিআইয়ের ৫০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের শেয়ার বাজার থেকে কিনেছিলেন। এরপর নতুন করে আরও সাড়ে ৩৭ কোটি টাকার সমমূল্যের শেয়ার কেনার ঘোষণা দিলেন আরিফ দৌলা।

এদিকে কোম্পানির এমডির বড় অঙ্কের শেয়ার কেনার ঘোষণার পরও আজ বাজারে কোম্পানিটির শেয়ারের দামে কোনো ইতিবাচক প্রভাব পড়েনি। দিনের প্রথম এক ঘণ্টার লেনদেনে এসিআইয়ের শেয়ারের দাম ৭০ পয়সা কমে দাঁড়িয়েছে ১৪৯ টাকায়। প্রথম এক ঘণ্টায় কোম্পানিটির মাত্র ১০ হাজার শেয়ারের হাতবদল হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর ফ দ ল ৩৭ ক ট

এছাড়াও পড়ুন:

নওগাঁয় বর্ণিল আয়োজনে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা

‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’ স্লোগানে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে নওগাঁয় বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার সকালে জেলা প্রশাসন আয়োজিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ৮টায় শহরের এটিম মাঠ থেকে বের করা হয় আনন্দ শোভাযাত্রা।

জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়ালের নেতৃত্বে শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে নববর্ষের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও দিনব্যাপী সেখানে আয়োজন করা হয়েছে বর্ষবরণ মেলার।

শোভাযাত্রায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি, ঘোড়া, পালকি, মাটির তৈরি বাসনসহ বিভিন্ন বর্ণের বেলুন ফেস্টুন, মাথাল শোভাযাত্রাকে বর্ণিল করে তোলে। 

এ সময় পুলিশ সুপার সাফিউল সারোয়ারসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

এদিকে জেলা বিএনপির উদ্যোগে শহরের নওজোয়ান মাঠ থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সেখানে গিয় শেষ হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ