Risingbd:
2025-02-11@01:17:47 GMT

টেডি ডে যেভাবে এলো

Published: 10th, February 2025 GMT

টেডি ডে যেভাবে এলো

কিউট, আদুরে, ইমোশনাল উপহার টেডি বিয়ার। এই তুলতুলে উপহার পেতে কে না ভালোবাসে। আজ টেডি ডে। এই দিবসে প্রেমিকার অভিমান ভাঙাতে অথবা ভালোবাসার সম্পর্ক আরেকটু রাঙিয়ে নিতে টেডি বিয়ার হতে পারে সবচেয়ে ভালো উপহার। 

প্রতিবছর ভ্যালেন্টাইন ডে সপ্তাহের ১০ জানুয়ারিতে টেডি বিয়ার ডে পালিত হয়। ছোট, বড় নানা আকারের টেডি বাজারে পাওয়া যায়। 

টেডি বিয়ার শুধু একটি পুতুল নয় এর সঙ্গে জুড়ে আছে ঐতিহাসিক এক ঘটনা।আর এই ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমেরিকান ২৬তম প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্টের নাম। যিনি ‘টেডি’ নামে বেশি জনপ্রিয় ছিলেন।
 

ঘটনার সূত্রপাত হয় ১৯০২ সালের নভেম্বরে। সে সময় মিসিসিপি-এর গভর্নর এর ডাকে মিসিসিপি-এর জঙ্গলে ভাল্লুক শিকার করতে যান থিওডোর রুজভেল্ট। একটি ভাল্লুক শিকারের জন্য সারাদিন চেষ্টা করেন।তার সঙ্গে থাকা  অন্য শিকারিরা সকলেই অন্তত একটি করে ভাল্লুক শিকার করতে সমর্থ হন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ব্যর্থ হন। দিন শেষে
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে থাকা সরকারি কর্মকর্তারা একটি বাচ্চা কালো আমেরিকান ভাল্লুককে ধরে নিয়ে আসেন এবং প্রেসিডেন্টকে বলেন সেটিকে হত্যা করতে। 

বাচ্চা ভাল্লুকটাকে গুলি করতে চাননি প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্ট। সেই সময়ে শিকার নিয়ে বিশ্বে এতো কড়া আইন ছিল না। সামাজিকভাবেও শিকার ছিল বীরত্ব প্রদর্শনের খেলা। কিন্তু প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্টের এই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি পুরো সমাজকে নাড়া দেয়। পরের দিন গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশ পায় রুজভেল্টের মানবিকতার কাহিনী। প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্টের এই কাহিনী কার্টুন হিসেবে গোটা আমেরিকায় ছড়িয়ে পরে।
 
ওই কার্টুন দেখে আমেরিকার খেলনা কোম্পানি ‘আইডিয়াল নভেলটি অ্যান্ড টয় কোম্পানি’-এর মালিক মরিস মিকটম ও তার স্ত্রী  প্রথম তৈরি করেন খেলনা টেডি বিয়ার।

এরপরে আদুরে এই পুতুলটি শুধু উপহার হিসেবে ব্যবহার হয়। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ‘টেডি বিয়ার মিউজিয়াম গড়ে উঠেছে। টেডি বিয়ার নিয়ে তৈরি হয়েছে অনেক বই এবং চলচ্চিত্র।

পুতুল টেডি বিয়ারের চেহারায় প্রাথমিক সময়ের থেকে অনেক বদল হয়েছে। ভিন্নতা এসেছে এর আকারে এবং রঙে। তবুও একশ বছরের অধিক সময় ধরে ভালোবাসার অনন্য প্রতীক হয়ে উঠেছে টেডি বিয়ার।

শিশুদের কাছে টেডি বিয়ার খেলনার উপকরণ আর প্রেমিকাদের কাছে ভালোবাসার প্রতীক।

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম র ক উপহ র

এছাড়াও পড়ুন:

সার্টিফিকেশন বোর্ড কী করছে

সাড়ে চার মাসে সাড়ে তিন শর বেশি সিনেমাকে সার্টিফিকেশন সনদ দিয়েছে বোর্ড। এর মধ্যে ‘ভয়াল’, ‘বলী’, ‘দরদ’, ‘চাঁদের অমাবস্যা’, ‘বাড়ির নাম শাহানা’, ‘প্রিয় মালতী’র মতো সিনেমা যেমন আছে, তেমনি রয়েছে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের দুই শতাধিক চলচ্চিত্র ও মাল্টিপ্লেক্সে মুক্তি পাওয়া হলিউডের চলচ্চিত্র।

২০২৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড’ গঠন করে সরকার। ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন, ২০২৩’-এর ৩-এর উপধারা (১) অনুসারে গঠিত হয়েছে এই বোর্ড।

বোর্ডের প্রধান কাজ ছবির রেটিং দেওয়া। কোন ছবি কোন বয়সের দর্শকের জন্য উপযোগী, নির্ধারণ করে বোর্ড। আর এই রেটিং প্রদানের জন্য জরুরি বিধিমালা। কিন্তু বিধিমালা এখনো চূড়ান্ত হয়নি, প্রস্তাব আকারে রয়েছে। কেউ কেউ তাই প্রশ্ন তুলেছেন, বিধিমালা ছাড়াই সাড়ে চার মাস ধরে সার্টিফিকেশন বোর্ড কীভাবে কাজ করছে?

২০২৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড’ গঠন করে সরকার

সম্পর্কিত নিবন্ধ