অপারেশন ডেভিল হান্ট: গাজীপুরে দুদিনে গ্রেপ্তার ১৭৫
Published: 10th, February 2025 GMT
গাজীপুরে ডেভিল হান্ট অভিযানে সিরাজগঞ্জের সাবেক এমপিসহ ১০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এর মধ্যে, মেট্রোপলিটন এলাকা থেকে ৭৯ জন ও জেলা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ২১ জনকে। এর আগে, শনিবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় ৭৫ জনকে। গত দুই দিনে জেলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৭৫ জন।
পুলিশ জানায়, গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর, গাছা, বাসন, পূবাইল, কোনাবাড়ি, কাশিমপুর, টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানা থেকে ৭৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপরদিকে জেলা পুলিশ কালিয়াকৈর, শ্রীপুর, কাপাসিয়া ও কালীগঞ্জ থেকে ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (বিশেষ শাখার) আলমগীর হোসেন বলেন, ‘‘গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’
ঢাকা/রেজাউল/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
২২ দিন ধরে পড়ে আছে চিকিৎসা সরঞ্জাম
দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে ২২ দিন ধরে পড়ে আছে ওষুধ ও বিভিন্ন সামগ্রী। ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগে কর্তৃপক্ষ সেসব গ্রহণ না করায় এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য সংরক্ষণের মতো গুদাম না থাকায় মেঝেতে ফেলে রাখা হয়েছে।
হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড সার্জিক্যালের ছয় গ্রুপের ১২টি কার্যাদেশের মাধ্যমে কিনে আনা বিভিন্ন ওষুধ ও মালপত্র ২২ দিন ধরে হাসপাতালের বহির্বিভাগের মেঝেতে পড়ে আছে। এসব অতিরিক্ত মালপত্র সংরক্ষণেরও কোনো গুদাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই। নিম্নমানের অপ্রয়োজনীয় ওষুধ ও বিভিন্ন সামগ্রীর বেশি পরিমাণে কিনে আনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট জটিলতার কারণে এসব মালপত্র মেঝেতে ফেলা রাখা হয়েছে। এমনকি কার্যাদেশে সরবরাহ করা ওষুধের মেয়াদ দুই বছর থাকলেও কিছু ওষুধের মেয়াদ ইতোমধ্যে ছয় মাস অতিবাহিত হয়ে গেছে।
জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেবিদ্বার সরকারি হাসপাতালে ওষুধ ও এমএসআর সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ই-জিপিতে গত বছর ছয় গ্রুপের ছয়টি আইডিতে ২ কোটি ২০ লাখ ৩৬ হাজার টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়। কার্যাদেশ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড সার্জিক্যাল। সেই অনুযায়ী ওষুধ নন-ইডিসিএল, এমএসআর যন্ত্রপাতি, গজ-ব্যান্ডেজ-তুলা সামগ্রী, লিনেন সামগ্রী, কেমিক্যাল রি-এজেন্ট সামগ্রী ও আসবাব সরবরাহ করার কথা।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক কর্মকর্তা জানান, ই-জিপিতে দরপত্র আহ্বান করে সাবেক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আলী এহসান পছন্দের প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড সার্জিক্যালকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে কাজটি পাইয়ে দেন। একই সঙ্গে প্রতিটি এমএসআর গ্রুপের জন্য ই-জিপির শর্ত না মেনে নন ইডিসিএলের ৫১টি আইটেমের স্থলে এক কার্যাদেশেই ৩৩ আইটেম এবং অন্যটিতে ২০টি আইটেমের দুটি করে কার্যাদেশ দেন। ই-জিপি শিডিউলে প্রতিটি গ্রুপের পণ্য সংখ্যা বা পরিমাণ নির্দিষ্ট ছিল। ই-জিপি শর্তাবলি অনুযায়ী প্রতিটি আইটেম শতকরা ২০ শতাংশ কমানো বা বাড়ানোর এখতিয়ার সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু সেখানে ১০ থেকে ১২ গুণ বেশি ওষুধ ও মালপত্র সরবরাহ করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ঠিকাদার জানান, দরপত্র আহ্বানকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে ছিলেন তৎকালীন দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলী এহসান। তিনি তাঁর পছন্দের ঠিকাদারকে দরপত্র পাইয়ে দিয়েছেন। তিনি দরপত্র মূল্যায়ন করার আগেই পাবনার ঈশ্বরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি হয়ে যান।
মূল্যায়ন কমিটির সদস্য ডা. কবির হোসেন বলেন, ‘আমরা দরপত্র অনুযায়ী প্রাপ্ত ওষুধ ও মালপত্রে অসংগতি পাওয়ায় তা গ্রহণ করিনি।’
সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আনাস ও জহিরুল ইসলাম জানান, দরপত্র অনুযায়ী ওষুধ ও মালপত্র সাপ্লাই ভাউচারের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়েছে। মূল্যায়ন কমিটি মূল্যায়ন শেষে মালপত্র সংগ্রহ করেছে।
জানতে চাইলে ডা. আলী এহসান বলেন, ‘আমি টেন্ডার কার্যক্রম পরিচালনা করলেও এখন বাকি কাজটা বর্তমান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাই করবেন। আমি দেবিদ্বারের জনগণের স্বার্থে দুটি চাহিদাপত্রের কার্যাদেশ একসঙ্গে দিয়েছি যাতে করে বরাদ্দের টাকা ফেরত না যায়।’
দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহিবুস ছালাম খানের ভাষ্য, অনিয়মের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।