প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আজ বৈঠকে বসবে বিএনপি। সন্ধ্যায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানা গেছে।

নির্বাচনের বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করবে বিএনপি প্রতিনিধি দল। আগামী মে মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকার কাজ শেষ হলে এই বছরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে সমস্যা দেখছে না বিএনপি।

দলটির প্রত্যাশা, নির্বাচন-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সংস্কারসহ আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দেবে সরকার। আইন অনুযায়ী, নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করার কথা সরকারপ্রধানের। তাই জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে সরকারের অবস্থান ও স্পষ্ট রোডম্যাপ জানতে চাইতে পারে দলটি।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি প্রতিনিধি দল দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করবেন। এ ছাড়া ধানমন্ডি ৩২ নম্বরসহ সারাদেশে ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে তুলে ধরা হবে বিএনপির অবস্থান।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে ইতিবাচক সাড়া না পেলে দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে কর্মসূচি পালনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। ইতোমধ্যেই তারা বিভাগীয় সমাবেশ ও জেলায় জেলায় সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

গতকাল রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। বিকেল সাড়ে ৩টায় নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে এই প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান ও সালাহউদ্দিন আহমেদ। 

সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অন্তরায় হলে বাধা দেবে বিএনপি। বৈঠক শেষে এমন মন্তব্য করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি জানান, নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্ধারণের ক্ষমতা ইসির নেই। তবে ইসির সঙ্গে তাদের আলাপে মনে হয়েছে, আগামী মে-জুনের মধ্যে ইসি পরিপূর্ণভাবে সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তুত হবে। আজ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠকে নির্বাচনের সময় নিয়েও তারা কথা বলবেন বলে জানান বিএনপির এই নেতা।

অন্যদিকে, সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দীনের সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আব্দুর রহমানেল মাছউদ, বেগম তহমিদা আহমদ ও আবুল ফজল মো.

সানাউল্লাহ এবং ইসি সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর গত নভেম্বরে অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। তারা দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই বিএনপির সঙ্গে প্রথম বৈঠক। এর মাধ্যমে ছয় বছর পর ইসিতে এলেন বিএনপি নেতারা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ র সদস য সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের নিন্দা জানাল জাতীয় নাগরিক পার্টি

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই—প্রধান উপদেষ্টার এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শুক্রবার রাত আটটায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেছেন। রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ন টাওয়ারে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কর্তৃক সংঘটিত পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা হত্যাকাণ্ড, আগ্রাসনবিরোধী আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড, গুম-ক্রসফায়ার, ভোট ডাকাতিসহ জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রশ্নে কার্যকর অগ্রগতি দৃশ্যমান হওয়ার আগে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল পদ থেকে এ ধরনের বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত।’

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের সাত মাস অতিবাহিত হলেও গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের খুনিদের বিচারে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক কমিশনের প্রতিবেদনে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, জুলাই মাসে বাংলাদেশে সংঘটিত অপরাধ আন্তর্জাতিক অপরাধের শামিল। আওয়ামী লীগের মানবতাবিরোধী অপরাধের ব্যাপারে এত সুস্পষ্ট আন্তর্জাতিক বক্তব্য থাকার পরও বিচারিক প্রক্রিয়ার ধীরগতি অত্যন্ত নিন্দনীয়। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অবিলম্বে জুলাই গণহত্যাসহ বিগত ফ্যাসিবাদি রেজিমে (শাসনামলে) সংঘটিত গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিচারে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চায়।

লিখিত বক্তব্যে নাহিদ ইসলাম উল্লেখ করেন, ‘সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মন্তব্য করেছেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। আমরা তাঁর এ বক্তব্যের নিন্দা জানাই।’

রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ন টাওয়ারে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা

সম্পর্কিত নিবন্ধ