প্রবাসী আয়ের শীর্ষ পাঁচে ইসলামী, সোনালী, ব্র্যাক, ট্রাস্ট ও অগ্রণী ব্যাংক
Published: 10th, February 2025 GMT
দেশে সর্বশেষ গত জানুয়ারিতে যত প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে তার প্রায় অর্ধেক বা ৪৫ শতাংশই এসেছে পাঁচটি ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংক পাঁচটি হচ্ছে—ইসলামী ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংক। এই পাঁচ ব্যাংকের মাধ্যমে গত জানুয়ারিতে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে প্রায় ৯২ কোটি মার্কিন ডলার, যা ওই মাসে আসা মোট প্রবাসী আয়ের ৪২ শতাংশ। জানুয়ারিতে দেশে মোট প্রবাসী আয় এসেছে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ ডলার। প্রবাসী আয়–সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বরের তুলনায় জানুয়ারিতে প্রবাসী আয়ের দিক থেকে উল্লিখিত পাঁচ ব্যাংকের মধ্যে তিন ব্যাংকের অবস্থানের অদলবদল ঘটেছে। গত ডিসেম্বরে প্রবাসী আয় আনার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল রাষ্ট্রমালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংক। ওই মাসে অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছিল ২৬ কোটি ৪৮ লাখ ডলার। জানুয়ারিতে এসে অগ্রণী ব্যাংক পঞ্চম অবস্থানে নেমে গেছে। জানুয়ারিতে অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে সাড়ে ১৩ কোটি ডলার। সেই হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে ব্যাংকটির মাধ্যমে প্রবাসী আয় আসা প্রায় অর্ধেক কমে গেছে।
অগ্রণী ব্যাংক দ্বিতীয় অবস্থান থেকে পঞ্চম অবস্থানে নেমে যাওয়ায় জানুয়ারিতে প্রবাসী আয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংক রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক। এই ব্যাংকটির মাধ্যমে গত মাসে প্রবাসী আয় এসেছে প্রায় ১৮ কোটি ডলার। ডিসেম্বরে এসেছিল ২১ কোটি ডলার। ডিসেম্বরের তুলনায় জানুয়ারিতে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসী আয় আসা কমলেও শীর্ষ পাঁচ ব্যাংকের মধ্যে এটি দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
প্রবাসী আয় আনার ক্ষেত্রে জানুয়ারিতে এক ধাপ উন্নতি হয়েছে বেসরকারি খাতের ব্র্যাক ব্যাংকের। গত মাসে এই ব্যাংকটি প্রবাসী আয় এনেছে ১৬ কোটি ২৭ লাখ ডলার। ডিসেম্বরে ব্যাংকটির মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৯ কোটি ৩২ লাখ ডলার। সেই হিসাবে ডিসেম্বরের চেয়ে জানুয়ারিতে প্রবাসী আয় আসা কমলেও শীর্ষ তালিকায় এটি তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে।
ব্র্যাক ব্যাংকের মতো বেসরকারি খাতের ট্রাস্ট ব্যাংকেরও এক ধাপ উন্নতি হয়েছে। প্রবাসী আয় আনার দিক থেকে গত জানুয়ারিতে ব্যাংকটি উঠে এসেছে শীর্ষ ৫ ব্যাংকের মধ্যে চতুর্থ অবস্থানে। গত মাসে ব্যাংকটির মাধ্যমে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ১৬ কোটি ১৫ লাখ ডলার। ডিসেম্বরে এসেছিল ১৮ কোটি ৪৪ লাখ ডলার। ডিসেম্বরের চেয়ে জানুয়ারিতে প্রবাসী আয় আসা কিছুটা কমলেও শীর্ষ তালিকায় এক ধাপ ওপরে উঠেছে ব্যাংকটি।
এদিকে প্রবাসী আয় আনার দিক থেকে শীর্ষস্থানের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে ইসলামী ব্যাংক। গত মাসে ব্যাংকটির মাধ্যমে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ২৮ কোটি ২২ লাখ ডলার। ডিসেম্বরে এসেছিল প্রায় ৩৭ কোটি ডলার। সেই হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসী আয় আসা প্রায় ৯ কোটি ডলার কমেছে। তারপরও ব্যাংকটির শীর্ষ অবস্থানের কোনো হেরফের হয়নি। ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যসহ বাংলাদেশের শ্রমিকপ্রধান দেশগুলোতে ইসলামী ব্যাংকের উপস্থিতি অন্য যেকোনো ব্যাংকের চেয়ে বেশি। এ কারণে দেশে অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি সাড়া পায় শরিয়াহভিত্তিক এই ব্যাংকটি।
প্রবাসী আয় আনার তালিকায় শীর্ষ পাঁচে থাকা প্রত্যেক ব্যাংকেরই প্রবাসী আয় ডিসেম্বরের তুলনায় জানুয়ারিতে কমেছে। কারণ, সার্বিকভাবে জানুয়ারিতে প্রবাসী আয় ডিসেম্বরের চেয়ে কম এসেছে। গত জানুয়ারিতে সব মিলিয়ে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ ডলার। ডিসেম্বরে যার পরিমাণ ছিল ২৬৪ কোটি ডলার। সেই হিসাবে ডিসেম্বরের চেয়ে জানুয়ারিতে প্রবাসী আয় সাড়ে ৪৫ কোটি ডলার বা সোয়া ১৭ শতাংশ কম এসেছে। তবে ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রবাসী আয় কয়েক মাস ধরেই ২০০ কোটি ডলারের ওপরে রয়েছে। এটি খুবই ইতিবাচক দিক।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গত জ ন য় র ত অবস থ ন এস ছ ল গত ম স ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
আসছে অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের ছাত্র সংগঠনও
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতারা নতুন ছাত্র সংগঠন গঠন করবেন। ২৩ ফেব্রুয়ারি নতুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ছাত্র সংগঠনেরও আত্মপ্রকাশ হতে পারে। প্রাথমিকভাবে আহ্বায়ক কমিটি গঠন হবে। এ কমিটি ছয় মাস থেকে এক বছর মেয়াদি হবে। ছাত্রনেতারা বলছেন, ছাত্র সংগঠনটি দলীয় লেজুড়বৃত্তির বাইরে গিয়ে শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে কাজ করবে। পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অভ্যুত্থানের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে থাকবে।
জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, এ মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে দল ঘোষণা করা হবে। এখনও নাম ঠিক হয়নি। বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ১০০-এর বেশি নাম প্রস্তাব এসেছে।
আদালতের রায়ে সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গঠন করে সড়কে নামেন শিক্ষার্থীরা। এতে আওয়ামী লীগ সরকারের হত্যাযজ্ঞে আন্দোলন রূপ নেয় অভ্যুত্থানে। কোটি মানুষ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রাজপথে নামেন। হাজারো মানুষের আত্মত্যাগে শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনের অভাবনীয় পতন হয়।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠন করা হয়। জাতীয় নাগরিক কমিটির মাধ্যমে নতুন রাজনৈতিক দলের দিকে এগোচ্ছেন অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতারা।
হবে কেন্দ্রীয় এবং ঢাবি কমিটি
প্রাথমিকভাবে ছাত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক কমিটি দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় কমিটি ১৭১ বা ২০১ সদস্যের হতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির আকার আরেকটু ছোট হতে পারে। ছাত্র সংগঠনের মূল কমিটি ৩০১ সদস্যের হতে পারে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার এবং আব্দুল কাদের ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া সমন্বয়ক রশিদুল ইসলাম রিফাত, হাসিব আল ইসলাম, জাহিদ আহসানও নেতৃত্বে আসতে পারেন। কেন্দ্রীয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি ঘোষণার পরে সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, জেলায় নতুন ছাত্র সংগঠনের কমিটি গঠিত হবে বলে জানিয়েছেন ছাত্রনেতারা।
আবু বাকের মজুমদার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। অন্যদিকে আব্দুল কাদের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তরের ছাত্র।
মূল দলের সঙ্গে আদর্শের মিল থাকবে, তবে ছাত্র সংগঠনকে দলীয় লেজুড়বৃত্তির বাইরে স্বাধীন এবং স্বতন্ত্র রাখতে চান ছাত্রনেতারা। এখানে সর্বোচ্চ ২৭-২৮ বয়সসীমা নির্ধারণ করা হতে পারে। আবার স্নাতকে ভর্তি হওয়ার পরে সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত ছাত্র সংগঠনে থাকার নিয়ম করার শর্তও বিবেচনা করা হচ্ছে।
ছাত্র সংগঠনের নাম নিয়ে একাধিক প্রস্তাব
অভ্যুত্থানের সূত্রপাত করা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অধিকাংশ নেতা এসেছিলেন গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি থেকে। ২০২৩ সালে গঠিত ছাত্রশক্তির সদস্য সচিব ছিলেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক ছিলেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তারা দু’জনেই এখন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা।
ঢাবির সদস্য সচিব ছিলেন আবু বাকের। সংগঠনের গঠন এবং প্রতিষ্ঠার সঙ্গে জড়িত ছিলেন আরেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলমও। ফলে নতুন ছাত্র সংগঠনের নাম ছাত্রশক্তি করার প্রস্তাব রয়েছে। নতুন নামে ছাত্র সংগঠন হওয়ারই সম্ভাবনা বেশি।
মূল দলে যাবেন বৈষম্যবিরোধীদের অনেক নেতা
ছাত্র সংগঠন গঠিত হলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক নেতা মূল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হবেন। এরমধ্যে বর্তমানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ নতুন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের প্রথম সারিতে থাকবেন। তিনি নিজ শহর কুমিল্লা থেকে জাতীয় নির্বাচনে লড়তে পারেন।
এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ, সমন্বয়ক মাহিন সরকারও মূল রাজনৈতিক দলে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। সংগঠন সূত্রের ভাষ্য, সবকিছুই প্রাথমিক আলোচনায় রয়েছে। আব্দুল হান্নান মাসউদ হাতিয়ায় নির্বাচন করার সম্ভাবনা রয়েছে। প্ল্যাটফর্মের মুখপাত্র উমামা ফাতেমাও নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন।
ছাত্র সংগঠনে প্রজন্মের নেতৃত্ব দিতে যোগ্যদের প্রাধান্য
হাসিনার পতন ঘটানো অভ্যুত্থানে সবচেয়ে আলোচিত হয় ‘জেনারেশন জুমার্স’ তথা জেন-জি। এ প্রজন্মকে যারা নেতৃত্ব দিতে যোগ্য তাদের কথাই ভাবা হচ্ছে নতুন ছাত্র সংগঠনের জন্য। পাশাপাশি ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন এবং চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে যারা ধারণ করবেন, তারা আসবেন নেতৃত্বে।
আবু বাকের মজুমদার সমকালকে বলেন, যারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন, আবার অনেকে প্রকাশ্যে কথা বলতে পারেননি কিন্তু জুলাইয়ে সর্বতোভাবে তৎপর ছিলেন সবাইকে ছাত্রসংগঠনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্র শিবিরসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা সর্বাত্মকভাবে অংশ নেন। বাকের মজুমদার বলেছেন, অভ্যুত্থানের পর সবাই যার যার ছাত্র সংগঠনে ফিরে গেছেন। বর্তমান প্রজন্মের যাওয়ার মতো সংগঠন, তাদের মতামত প্রতিষ্ঠা করার মতো সংগঠন নেই। নতুন ছাত্র সংগঠন যেমন শিক্ষার্থীদের অধিকারের বিষয়ে সরব থাকবে, তেমনি একজন শ্রমিকের স্বার্থেও রাজপথে দাঁড়াবে। অর্থাৎ জাতীয় পরিমণ্ডলেও ছাত্র সংগঠন দেশের স্বার্থে কাজ করবে।
সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে ছাত্র সংগঠন শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করবে। সকল মতের শিক্ষার্থীকেই ধারণ করবে।
রাজনৈতিক দলের প্রধান হবেন নাহিদ
তরুণদের রাজনৈতিক দলের প্রধান হবেন নাহিদ ইসলাম– এটি অনেকটাই নিশ্চিত। তিনি এখনই উপদেষ্টা পদ ছেড়ে দলের নেতৃত্ব তুলে নেবেন কিনা এটি নিশ্চিত নয়। তাঁর সঙ্গে আরেকজন কে হবেন নেতৃত্বের অংশ সেটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তরুণ নেতারা চাচ্ছেন, বয়োজ্যেষ্ঠ কেউ যিনি সর্বজনগ্রাহ্য, এমন জুতসই কাউকে খুঁজছেন তারা। আবার ছাত্রনেতাদের মধ্য থেকেও অনেকের কথা আলোচনা হচ্ছে। এরমধ্যে আখতার হোসেন, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ, হাসনাত আবদুল্লাহর কথা শোনা যাচ্ছে। আবার তাদের কেউ উপদেষ্টাও হয়ে যেতে পারেন।
দল গঠনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে জনমানুষের প্রত্যাশা জানতে সপ্তাহব্যাপী ‘আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ লাখের বেশি মানুষের মতামত সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নেতারা।
দলের নাম কী হবে– তাও মানুষের কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে কর্মসূচিতে। এরমধ্যে প্রস্তাবিত কিছু নাম হলো, পিপলস রেভলিউশন পার্টি (পিআরপি), পিপলস পাওয়ার পার্টি (পিপিপি), ইউনাইটেড রেভলিউশন পার্টি (ইউআরপি), ইউনাইটেড পিপলস পার্টি (ইউআরপি), ইকুয়ালিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউডিপি), রেভলিউশনারি পিপলস পার্টি (আরপিপি), ডেমোক্রেটিক পিপলস পার্টি (ডিপিপি), পিপলস মুভমেন্ট পার্টি (পিএমপি) ইত্যাদি।