বিশ্বকাপের চেয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি কঠিন, বললেন বাভুমা
Published: 10th, February 2025 GMT
আয়োজনে, আকারে, দর্শক আগ্রহে আইসিসির সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট বিশ্বকাপ। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির চেয়ে বড় তো বটেই। তবে মাঠের খেলায় বিশ্বকাপের চেয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে বেশি কঠিন মনে করেন টেম্বা বাভুমা। দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়কের মতে, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফরম্যাট টুর্নামেন্টটিকে চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে।
১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলবে ৮ দল। গ্রুপ পর্বে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা।
রোববার লাহোরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক বলেন, ‘বিশ্বকাপে দলগুলো নিজেদের পারফরম্যান্স পর্যালোচনা, পুনরায় তৈরি হওয়া এবং মোমেন্টাম তৈরি করার মতো সময় পায়। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে কোনো ভুল পদক্ষেপের সুযোগ নেই। হয় টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ভালো করবেন, নয়তো বাদ পড়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকবেন। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের সঙ্গে তুলনা করলে এখানেই চ্যালেঞ্জ বেশি।’
২০২৩ বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল ১০ দল। টুর্নামেন্ট ছিল লিগ পদ্ধতির। প্রতিটি দল ৯ ম্যাচ করে খেলার সুযোগ পেয়েছে। পয়েন্ট তালিকায় সেরা চারে থাকা দল উঠেছিল সেমিফাইনালে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
কিন্তু চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ৪ দল নিয়ে একটা করে গ্রুপ হওয়ায় প্রতি দলের জন্য সুযোগ মাত্র ৩ ম্যাচের। গ্রুপের চার দলের মধ্যে সেরা দুইয়ে থাকতে পারলেই শুধু সেমিফাইনাল খেলা যাবে, এক ম্যাচ হারলেই তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যদের ম্যাচের দিকে। বড় প্রভাবক হয়ে উঠতে পারে রান রেটও।
দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য ভালো দিক হচ্ছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগেই পাকিস্তানের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে তারা। পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের অংশ দক্ষিণ আফ্রিকা, যে সিরিজে আজ নিজেদের প্রথম ম্যাচটি খেলতেও নেমেছে প্রোটিয়ারা। বাভুমাও ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রস্তুতির জন্য ভালো সুযোগ হিসেবেই দেখছেন, ‘এই ত্রিদেশীয় সিরিজটা পাকিস্তানে আমাদের দল গুছিয়ে নেওয়ার জন্য ভালো সুযোগ এনে দিয়েছে। একই সঙ্গে তরুণদের জন্যও এটা ভালো একটা মঞ্চ।’
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ২১ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ম্যাচ খেলবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনার মতো এখনও নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা শুরু হয়েছে: আব্দুস সালাম
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বলেছেন, শেখ হাসিনার মতো দেশে এখনও নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা শুরু হয়েছে। নির্বাচন পেছানো মানে ফ্যসিস্টকে আবার ফিরে আসার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া। তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে নির্বাচন না দিলে গণতন্ত্র ফিরবে না।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় বগুড়া শহরের মফিজ পাগলার মোড়ে স্থানীয় একটি মোটেলে রাজশাহী বিভাগের সব জেলা-মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম বলেন, গণতন্ত্র উদ্ধারে বিএনপি ১৬ বছর রাজপথে ছিল। নির্বাচন নিয়ে কোনো তালবাহানা করলে বিএনপি তা মানবে না। তাই, নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। প্রতিটি রাজনৈতিক দলসহ দেশের জনগণ চায় অতিদ্রুত নির্বাচন। কিন্তু কেউ কেউ আবার চান নির্বাচন যেন দেরিতে অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে কালক্ষেপণ করলে দেশে আবারও ফ্যাসিস্টরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হবে।
তিনি বলেন, এই দেশ জনগণের। তাই জনগণের নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। বিএনপি বর্তমান সরকারকে সহযোগিতা করছে। তার মানে এই না জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার ভোট না দিয়ে ক্ষমতার গদি আঁকড়ে ধরবেন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে গা ঢাকা দিয়েছেন। তিনি সেখানে বসে বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন। ফ্যাসিস্টদের কোনো ষড়যন্ত্র এই দেশে বাস্তবায়ন হতে দিবে না বিএনপি। বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতাকে রক্ষা করার জন্যই বিএনপি জন্মলাভ করেছে। যেখানে আওয়ামী লীগ ব্যর্থ হয়েছে, সেখানে বিএনপি সফল হয়েছে। যেখানে শেখ মুজিব ব্যর্থ হয়েছে, সেখানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সফল হয়েছেন। যেখানে শেখ হাসিনা ব্যর্থ হয়েছেন সেখানে আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে লড়াই করে সফল হয়েছেন। জনগণই তাকে রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন বার বার।
চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেন, পতিত শেখ হাসিনাকে বলা হয়েছিল, বিনা ভোটে না গিয়ে নির্বাচনের পথে হাঁটুন। কিন্তু তিনি ক্ষমতার দম্ভে নির্বাচনের পথে যাননি। আজকে নির্বাচনের মাধ্যমে পরাজয় হলে পেছনের দরজা দিয়ে তাকে ভারতে পালাতে হতো না। ভারতে আশ্রয় নিতে হতো না। তাই ক্ষমতা দেখানোর কিছু নেই। ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। ক্ষমতা পেয়ে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার যা খুশি তা শুরু করেছিল। তাই ক্ষমতার দম্ভ কমাতে হবে। জনগণ কী চায় সেটা জানতে হবে। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আগামী দিনে ক্ষমতায় যেতে হবে। এমন কোনো কাজ করা যাবে না, যাতে জনগণ বিএনপিকে খারাপভাবে, দোষারোপ করেন।
বিএনপি রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত খালেকের সভাপতিত্বে ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, রাজশাহী বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন, কৃষক দল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি জাহির রায়হান আহমেদ, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল বাসার প্রমুখ।