গোপালগঞ্জে মৎস্যজীবীসহ দুইজনের মরদেহ উদ্ধার
Published: 10th, February 2025 GMT
নিখোঁজের ৩৬ ঘণ্টা পর গোপালগঞ্জে কোটালীপাড়ার একটি খাল থেকে বিপুল মন্ডল (৪৩) নামে একজন মৎস্যজীবীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়া মুকসুদপুর থেকে জাকারিয়া শেখ (২৩) নামে আরেক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে কোটালীপাড়া উপজেলার একটি খাল থেকে ও রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে মুকসুদপুর উপজেলার কদমপুর গ্রামের জঙ্গল থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত বিপুল মন্ডল কোটালীপাড়া উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের দক্ষিণ গচাপাড়া গ্রামের মতিলাল মন্ডলের ছেলে ও জাকারিয়া শেখ মুকসুদপুর উপজেলার কদমপুর গ্রামের মোশা শেখের ছেলে।
কোটালীপাড়া থানার অফিচার্জ ইনচার্জ (ওসি) মো.
নিখোঁজের ৩৬ ঘণ্টা পর আজ (সোমবার) সকালে বিপুল মন্ডলের মরদেহ খালে ভাসতে দেখে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
অপরদিকে, মুকসুদপুর থানার অফিচার্জ ইনচার্জ (ওসি) মো. মোস্তফা কামাল জানান, রবিবার একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য জাকারিয়া শেখের স্ত্রী পার্লার থেকে সাজগোজ করে। এনিয়ে স্ত্রী সাথে ঝগড়া হলে বাড়ী থেকে বের হয়ে যায় জাকারিয়া। রাতে বাড়ির পাশে জঙ্গলের গাছে জাকারিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঢাকা/বাদল/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল র র মরদ হ র একট
এছাড়াও পড়ুন:
পটুয়াখালীর আড়তে ইলিশের কেজি ২৫০০ টাকা
বাঙালির অন্যতম উৎসব বাংলা নববর্ষ। আর এ উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ পান্তা-ইলিশ। এ উৎসব ঘিরে ইলিশসহ সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। দেশের বৃহৎ পটুয়াখালীর পাইকারি মাছ বাজার মহিপুর ও আলীপুরে ইলিশের দাম চড়া। এতে পাইকারি ক্রেতারা হতাশা প্রকাশ করেছেন। তবে সমুদ্রে মাছের অকাল থাকায় ইলিশের দাম অনেকটা বেশি বলে জানিয়েছেন পাইকারি বিক্রেতারা।
মহিপুর ও আলীপুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এই দুই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ফাইস্যা, ছুড়ি, পোয়া, মটকা চিংড়ি, টোনা, তাপসী, কোরাল, চাপলি, পবদা ও টাইগার চিংড়ি, স্বল্প সংখ্যক বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ থাকলেও বাজার প্রায় ইলিশ শূন্য। যেখানে প্রতিনিয়ত টন টন ইলিশ বিক্রি হয়, সেখানে হাতেগোনা কয়েকটি আড়তে ইলিশ মাছ দেখা গেল। তাও মাঝারি ও ছোট সাইজের ইলিশ। এ বাজারে ১ কেজি ওজনের ইলিশ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২২০০ থেকে ২৫০০ টাকা কেজি দরে। ৭০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা কেজি দরে। ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি দরে। আর ছোট ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়।
কলাপাড়া থেকে মহিপুর মাছ বাজারে আসা পাইকারি ক্রেতা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘‘সকাল ৮টায় মহিপুরে এসেছি। এখন পর্যন্ত ইলিশ মাছ কিনতে পারিনি। এখানে নিলামের মাধ্যমে ২২০০ থেকে ২৫০০ টাকা কেজি দরে ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। এ সব ইলিশ কিনে কত টাকায় বিক্রি করব?’’
আরো পড়ুন:
‘হাসিনার দোসররা ভোরে চারুকলায় ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব পুড়িয়ে দিয়েছে’
নববর্ষের দিন টিএসসি-শাহবাগ মেট্রো স্টেশন ‘সাময়িক বন্ধ থাকবে’
আমতলী থেকে আসা অপর পাইকারি ক্রেতা রিয়াজুল বলেন, ‘‘আজ এখানে ইলিশ কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। দাম চড়া থাকায় এক মণ ছুড়ি মাছ নিয়ে যাচ্ছি। এগুলো বিকালে আমতলী বাজারে বিক্রি করব।’’
মহিপুর আড়তদার মালিক সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য মাহতাব ফিসের স্বত্ত্বাধিকারী মাহতাব হাওলাদার জানান, বেশ কিছু দিন ধরে বৃষ্টি না থাকার কারণে জেলেদের জালে খুব কম পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ছে। যার কারণে বাজারে ইলিশের সংখ্যা খুবই কম। আর আজ একেবারে ইলিশ নেই বললেই চলে। যার কারণে দাম অনেকটা চড়া।
কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ইলিশের সংখ্যা একটু কমেছে। এছাড়া এই উপকূলে অনেক দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে না, যার ইলিশ কম ধরা পড়ছে এবং দামও বেশি। ১৫ এপ্রিল থেকে সমুদ্রে মাছ ধরার উপর ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, নিষেধাজ্ঞার পর জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়বে এবং দামও অনেকটা কমবে।
ঢাকা/ইমরান/বকুল