নিখোঁজের ৩৬ ঘণ্টা পর গোপালগঞ্জে কোটালীপাড়ার একটি খাল থেকে বিপুল মন্ডল (৪৩) নামে একজন মৎস্যজীবীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়া মুকসুদপুর থেকে জাকারিয়া শেখ (২৩) নামে আরেক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে কোটালীপাড়া উপজেলার একটি খাল থেকে ও রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে মুকসুদপুর উপজেলার কদমপুর গ্রামের জঙ্গল থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত বিপুল মন্ডল কোটালীপাড়া উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের দক্ষিণ গচাপাড়া গ্রামের মতিলাল মন্ডলের ছেলে ও জাকারিয়া শেখ মুকসুদপুর উপজেলার কদমপুর গ্রামের মোশা শেখের ছেলে।

কোটালীপাড়া থানার অফিচার্জ ইনচার্জ (ওসি) মো.

আবুল কালাম আজাদ জানান, শনিবার রাতে কোটালীপাড়া উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের গচাপাড়া গ্রামের একটি খালে মাছ শিকার করতে যায় জেলে বিপুল মন্ডল। এরপর থেকে সে আর বাড়িতে ফিরে আসেননি। খবর পেয়ে মাদারীপুর ফায়ার স্টেশনের একটি ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ চালালে কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

নিখোঁজের ৩৬ ঘণ্টা পর আজ (সোমবার) সকালে বিপুল মন্ডলের মরদেহ খালে ভাসতে দেখে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

অপরদিকে, মুকসুদপুর থানার অফিচার্জ ইনচার্জ (ওসি) মো. মোস্তফা কামাল জানান, রবিবার একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য জাকারিয়া শেখের স্ত্রী পার্লার থেকে সাজগোজ করে। এনিয়ে স্ত্রী সাথে ঝগড়া হলে বাড়ী থেকে বের হয়ে যায় জাকারিয়া। রাতে বাড়ির পাশে জঙ্গলের গাছে জাকারিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ঢাকা/বাদল/টিপু 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল র র মরদ হ র একট

এছাড়াও পড়ুন:

বাস কাউন্টার দখল নিয়ে বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষ

বরগুনার আমতলীর দূরপাল্লার ইউনিক বাস কাউন্টারের পাল্টাপাল্টি দখল নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন ১১ জন। শনিবার দুপুরে আমতলী পৌরসভার বটতলায় এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের পর বটতলায় অবস্থিত ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের পরিবহনের সব কাউন্টার চার ঘণ্টা বন্ধ ছিল। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আহতদের পটুয়াখালী ও বরিশাল নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১২টার দিকে পৌরসভার বটতলায় পরিবহন ইউনিক কাউন্টারের দখল নিয়ে যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক কাউন্সিলর সামসুল হক চৌকিদার এবং পৌর বিএনপি ও যুবদলের আহ্বায়ক কবির ফকিরের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় উভয় পক্ষ রামদা ও লাঠিসোটা ব্যবহার করে। সংঘর্ষে বটতলা থেকে নতুন বাজার চৌরাস্তা পর্যন্ত পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আতঙ্কিত লোকজন দৌড়ে পালিয়ে যান। দোকানপাট বন্ধ করে নিরাপদে চলে যান ব্যবসায়ীরা। বাঁধঘাটে মোশারেফ হোসেন নামের একজনের ওপর ধানের আড়তে হামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর আমতলী থেকে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার শতাধিক বাস কাউন্টার বন্ধ হয়ে যায়।

সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিরা হলেন– ফরহাদ ফকির (৩২), রাহাত ফকির (২৮), মিজানুর রহমান মোল্লা (৪৮), সাইফুল ইসলাম (৩৮), বায়েজিদ (৩০), আলী হোসেন (৩২), মো. ইছা (২৪), লিমন মৃধা (২৪), সামসুল হক চৌকিদার (৪৬), আলামিন ফকির (৩৪) ও বেল্লাল (৩১)।

আহতদের প্রথমে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাদের মধ্যে আটজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতাল এবং তিনজনকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

গুরুতর আহত মিজানুর রহমান মোল্লার ভাষ্য, তিনি বিআরটিসি কাউন্টারের সামনে দাঁড়ানো ছিলেন। এ সময় সামসুল হক চৌকিদারের লোকজন এসে রামদা দিয়ে তাঁকে কোপানো শুরু করে।

এ বিষয়ে সামসুল হক চৌকিদার বলেন, ইউনিক কাউন্টার তাঁর। এ নিয়ে দুই দফা সালিশ বৈঠকও হয়েছে। তারপরও শুক্রবার রাতে কবির ফকিরের লোকজন কাউন্টারের তালা ভেঙে ল্যাপটপ ও টিকিট নিয়ে যায়। আজ (শনিবার) দুপুরে তারা আবার কাউন্টার দখলে গেলে তাদের (সামসুল হক চৌকিদার পক্ষ) লোকজন বাধা দেয় এবং তাদের তিনজনকে কুপিয়ে জখম করে। রামদার কোপে তাঁরও ডান হাতের একটি আঙুল কেটে গেছে।
এসব দাবি ও অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে কবির ফকির বলেন, ইউনিক কাউন্টার তাদের (কবির ফকির) পক্ষের লোকজনের। তাদের লোকজন কাউন্টার চালাচ্ছিলেন। দুপুরে সামসুল হক চৌকিদার দুই থেকে আড়াইশ ভাড়া করা সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ইউনিকসহ বিআরটিসি কাউন্টার দখল নিতে গেলে তাদের লোকজন বাধা দেয়।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। মামলা হলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কোটালীপাড়ায় খালে মাছ ধরতে গিয়ে জেলে নিখোঁজ
  • বাস কাউন্টার দখল নিয়ে বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষ
  • আমতলীতে বাস কাউন্টার দখল নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৭
  • বান্দরবানে অনুপ্রবেশকালে ৩৩ রোহিঙ্গা আটক