চট্টগ্রামের কোতোয়ালি বলুয়ার দীঘির পশ্চিম পাড়ে সওদাগর কলোনির বসতবাড়িতে আগুন লাগার খবর পাওয়া গেছে। এতে দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি স্টেশনের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে আহত মোট পাঁচজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক এমডি আবদুল মালেক সমকালকে জানান, বলুয়ার দীঘির পশ্চিম পাড়ে জাফর সওদাগর কলোনির পাঁচ কক্ষবিশিষ্ট একটি কাঁচা বসতবাড়িতে আগুন লাগার খবর আসে। পরে ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। 

ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সহকারী পরিচালক আব্দুল মান্নান সমকালকে জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত হয় ছ

এছাড়াও পড়ুন:

সিরাজগঞ্জে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ৯ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা।

অভিযুক্ত ধর্ষক স্কুলছাত্র মোহাম্মদ (১৫) রায়গঞ্জের পাঙ্গাসী ইউনিয়নের নারুয়া গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে। 

শুক্রবার (১৪ মার্চ) রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

এরআগে, বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে নির্যাতিত শিশুটির বাবা বাদী হয়ে রায়গঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

শিশুটির পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, নাড়ুয়া গ্রামের আব্দুল আলীমের বাড়িতে শিশু যত্ন কেন্দ্র রয়েছে। গত রবিবার (৯ মার্চ) সকাল ১০ টার দিকে ওই বাড়িতে ছোট ভাই-বোনকে রেখে আসতে যায় নির্যাতিত শিশুটি। এ সময় মোহাম্মদ আলী শিশুটিকে কৌশলে নিজ ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে মাথায় পানি ঢেলে সুস্থ করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। একই দিন বিকেলে শিশুটি আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজনকে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়। 

ভুক্তভোগীর বাবা বাড়িতে না থাকায় পরের দিন সোমবার পরিবারের স্বজনেরা শিশুকে সিরাজগঞ্জ শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসক দেখিয়ে ওষুধপত্র নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন। কিন্তু তার অবস্থা ক্রমেই অবনতির দিকে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বরত ডা. রায়হান খন্দকার জানান, বর্তমানে শিশুটি আশংকামুক্ত। ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে।  রিপোর্ট হাতে পাওয়া গেলে বিস্তারিত জানা যাবে। 

ঢাকা/অদিত্য/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ