চট্টগ্রামে বসতবাড়িতে আগুনে ২ জন নিহত
Published: 10th, February 2025 GMT
চট্টগ্রামের কোতোয়ালি বলুয়ার দীঘির পশ্চিম পাড়ে সওদাগর কলোনির বসতবাড়িতে আগুন লাগার খবর পাওয়া গেছে। এতে দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি স্টেশনের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে আহত মোট পাঁচজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক এমডি আবদুল মালেক সমকালকে জানান, বলুয়ার দীঘির পশ্চিম পাড়ে জাফর সওদাগর কলোনির পাঁচ কক্ষবিশিষ্ট একটি কাঁচা বসতবাড়িতে আগুন লাগার খবর আসে। পরে ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সহকারী পরিচালক আব্দুল মান্নান সমকালকে জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত হয় ছ
এছাড়াও পড়ুন:
পীরগঞ্জে মা–মেয়ে হত্যায় গ্রেপ্তার আসামির বাড়ি পুড়িয়ে দিল বিক্ষুব্ধ জনতা
রংপুরের পীরগঞ্জে মা ও মেয়েকে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার আতিকুল ইসলামের বসতবাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার চতরা ইউনিয়নের বড় বদনাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় লোকজন আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বড় বদনাপাড়া গ্রামে আতিকুলের বাড়িতে যান। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা তাঁর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় তাঁরা আতিকুলের দ্রুত বিচার করে ফাঁসির দাবি জানান।
খবর পেয়ে উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বড় বদনাপাড়া গ্রামে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। সেখানে আসে পীরগঞ্জ থানা পুলিশও। কিন্তু ততক্ষণে আতিকুল ইসলামের তিনটি টিনের ছাউনি ও বেড়া দেওয়া বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ওই বাড়িতে তিনি একাই থাকতেন।
থানা–পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দেলোয়ারা বেগম নামের এক নারী ও তাঁর চার বছরের মেয়ে সায়মা বেগম হত্যায় আতিকুল ইসলাম জড়িত। দেলোয়ারা বেগমকে হত্যার অভিযোগে আতিকুলকে গতকাল বিকেলে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে করতোয়া নদীর ধারে কাদামাটি চাপা দিয়ে রাখা দেলোয়ারার বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আতিকুল স্বীকার করেন, মাস দেড়েক আগে সায়মাকে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে তাঁর বাড়ির পাশে পুঁতে রেখেছেন। আজ সকালে সেখান থেকে শিশুটির পচে যাওয়া লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক বলেন, মা-মেয়েকে হত্যার ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা গ্রেপ্তার আতিকুলের বসতবাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। এলাকার লোকজনকে শান্ত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।
গত শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পীরগঞ্জের চতরা ইউনিয়নের বড় বদনাপাড়া গ্রামের পাশে মরিচখেত থেকে মাথাহীন অজ্ঞাতনামা হিসেবে দেলোয়ারা বেগমের লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। পরে পুলিশ নিশ্চিত হয়, হত্যার শিকার ওই নারীর নাম দেলোয়ারা বেগম। তিনি নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার পশ্চিম গোলমুন্ডা গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে। তাঁর বিয়ে হয়েছিল গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার গুমানিগঞ্জ গ্রামে। পরে স্বামীর সঙ্গে দেলোয়ারার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। আতিকুল ও দেলোয়ারা গ্রামগঞ্জে গানবাজনা করে বেড়াতেন।
আরও পড়ুনপীরগঞ্জে মায়ের মাথা উদ্ধারের পর পাওয়া গেল দেড় মাস আগে নিখোঁজ মেয়ের লাশ৩ ঘণ্টা আগে