বিরুদ্ধ সময় কাটিয়ে সেঞ্চুরিতে রোহিতের আনন্দাশ্রু
Published: 10th, February 2025 GMT
আদীল রশিদের বল এগিয়ে এসে লং অফ দিয়ে উড়িয়ে রোহিত শর্মার ছক্কা। ৯৬ রান থেকে রোহিতের রান এক লাফে ১০২। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার ৪৯তম শতক। যার জন্য তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২৭ ইনিংস।
রান পাচ্ছিলেন না বলে প্রবল সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছিলেন ভারতের অধিনায়ক। বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে রোহিত কাটাচ্ছিলেন ক্যারিয়ারের সবচেয়ে খারাপ সময়। ওয়ানডে ক্রিকেট গত এক বছরে খুব একটা খেলেনি ভারত।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ তার ফেরার সেরা মঞ্চ ছিল। সেই সুযোগের প্রথমটায় জ্বলে উঠতে পারেননি। প্রথম ওয়ানডেতে ৭ বলে করেছিলেন ২ রান। তবে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৯০ বলে ১১৯ রান করে ডানহাতি ব্যাটসম্যান বুঝিয়ে দিয়েছেন এখনও তিনি ফুরিয়ে যাননি।
আরো পড়ুন:
দাপুটে জয়ে সিরিজ ভারতের
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের লড়াকু সংগ্রহ
বিরুদ্ধ সময় কাটিয়ে রানে ফেরায় খুশি রোহিত। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে রোহিত বলেছেন, ‘‘আমি খেলাটাকে ছোট ছোট টুকরো করেছিলাম। যেভাবে আমি ব্যাট করতে চেয়েছি সব সময়। এটি ৫০ ওভারের একটি ফরম্যাট যা টি-টোয়েন্টির চেয়ে একটু দীর্ঘ এবং টেস্ট ক্রিকেটের চেয়ে একটু ছোট - স্পষ্টতই টেস্ট ক্রিকেটের চেয়ে অনেক ছোট। এজন্য নিয়মিত বিরতিতে আপনার কী করা উচিত তা মূল্যায়ন করতে হবে এবং আমি এটাই করে চলেছি। একজন ব্যাটসম্যানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল যিনি থিতু হয়ে যান, যতটা সম্ভব গভীরভাবে ব্যাট করতে হবে এবং এটাই ছিল আমার মনোযোগ।"
শেষ ১২ মাসে রোহিতের টেস্ট গড় চিল ২৩.
টেস্ট ক্রিকেটে রান না পাওয়া, ওয়ানডে ক্রিকেটে লম্বা বিরতি এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর।ক্রিকেট পৃথিবী ক্রমেই ছোট হয়ে আসছিল রোহিতের। সেখানে যতটুকুই খেলছেন রান না পাওয়ায় কষ্ট বাড়ছিল। সেই কষ্ট চাপা দিয়ে গতকালের পাওয়া সেঞ্চুরি ঝরে পড়ছে আনন্দাশ্রু হয়ে।
ঢাকা/ইয়াসিন/নাভিদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনার সন্ধান চেয়ে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি
কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানসিন্দুকে ২৮ বস্তা টাকার পাশাপাশি প্রায় এক বস্তা চিঠি-চিরকুট পাওয়া গেছে। চিঠিতে কেউ প্রিয় মানুষের ভালোবাসা পেতে, কেউবা নিজের বিয়ের জন্য দোয়া চেয়েছেন। কেউ নিজের সন্তানের রোগমুক্তি কামনা করেছেন। কেউ আবার পছন্দের দল বা ব্যক্তিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় দেখতে চেয়ে পাগলা বাবার কাছে চিঠি লিখেছেন।
৪ মাস ১২ দিন পর আজ পাগলা মসজিদের ১১টি সিন্দুক খোলা হয়। সিন্দুকে মোট ২৮ বস্তা টাকা, এক বস্তা চিরকুট, বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া গেছে। দিনভর গণনার পর এবার রেকর্ড ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তার।
দানের পাশাপাশি মনোবাসনা পূরণে কেউ কেউ সিন্দুকে চিরকুট বা চিঠি ফেলে যান। মানুষের ধারণা, এখানে চিরকুটের মাধ্যমে কিছু চাইলে, সেটাও পাওয়া যাবে। গতবার চিঠির বিষয়টি গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় এবার বেনামি চিঠির পরিমাণ বেশি ছিল। কিছু চিঠিতে নাম থাকলেও ঠিকানা দেওয়া ছিল কম।
মো. ইমরান নামের এক তরুণ ভালোবাসার মানুষ রাবেয়াকে কাছে পেতে দানবাক্সে একটি চিরকুট রেখে গেছেন। চিঠিতে ইমরান লিখেছেন, ‘ইয়া পাগলা বাবা, আমাদের সালাম গ্রহণ করবেন। আমাদের আরজি কবুল করুন। আমাদের মনের বাসনা আপনি বোঝেন। ইমরান ভালোবাসে রাবেয়া আক্তারকে। রাবেয়ার পরিবার ইমরানকে বিয়ে দেওয়ার জন্য রাজি না। আপনি রাবেয়াকে এনে দেন।’
বেনামি একজন বিয়ের আকুতি জানিয়ে লিখেছেন, ‘আমি খুব অসহায়। আমার বিয়ে বারবার ভেঙে যাচ্ছে। আমার পরিবার আমাকে নিয়ে চিন্তিত। চারপাশের মানুষের কটুকথা আমি আর সহ্য করতে পারছি না। তুমি জানো আমি নির্দোষ ও নিরপরাধ। আমার বিয়েতে যদি কোনো বাধাবিপত্তি থাকলে তুমি সমাধান করে দাও...তুমি আমাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দিও না।’
আরও পড়ুনপাগলা মসজিদের দানসিন্দুকে পাওয়া গেল রেকর্ড ৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা১ ঘণ্টা আগেবেনামি আরেকটি চিরকুটে একজন পাগলা বাবার কাছে শেখ হাসিনার সন্ধান চেয়ে জানতে চেয়েছেন, ‘পাগলা চাচা, শেখ হাসিনা কোথায়?’ আরেকজন ‘সাধারণ জনগণ’ নামে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ক্ষমতায় দেখতে চেয়ে লিখেছেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পাঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই। আল্লাহ তুমি সহজ করে দাও।’
রেহানা সারোয়ার নামের একজন সন্তান কামনা করে চিঠি লিখেছেন। তিনি নাম-ঠিকানা উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘আমার বিয়ে হয়েছে ১২ বছর চলতাছে। কিন্তু এখনো আমি কোনো সন্তানের মা হতে পারলাম না। অনেক ডাক্তার দেখাইছি, কিন্তু কোনো লাভ হয় নাই। আমি এমন কোনো দিন নাই, এমন কোনো রাত নাই, আমার আল্লাহর কাছে হাত তুলে কাঁদি নাই...আমাকে একটা নেক সন্তানের মা হওয়ার সুযোগ দেন।’
কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানসিন্দুকে পাওয়া টাকা গণনার কাজ করছেন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ অন্যরা