“আমরা যারা জুলাই আন্দোলন দেখেছি, এই আন্দোলনকে সমর্থন করেছি, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছি। তারা আমরা সবাই আমাদের হৃদয়ে জুলাই-২০২৪ কে ধারণ করবো। আমি ধারণ করবো তো অবশ্যই। কারণ, আমি এটা বিশ্বাস করি যে, জুলাই-২০২৪ এর যে আন্দোলন সেটা যদি না হতো তাহলে আমি পুলিশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবেই রিটায়ার্ড করতাম এবং পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পেতাম না।”

বলেছেন পাবনার পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খাঁন। 

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পাবনা জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন-পাবনার উদ্যোগে নবগঠিত কমিটির সদস্যদের পরিচিতি ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মো মোরতোজা আলী খাঁন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি-পাবনার উপ পরিচালক ড.

মো জামাল উদ্দিন, গণপূর্ত অধিদপ্তর পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী মো রাশেদ কবির ও পাবনা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাহারুল ইসলাম।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মো মোরতোজা আলী খাঁন বলেন, “অনুষ্ঠানের ব্যানারের টাইটলেটা দেখে আমার মনে হলো যে এই শব্দটা ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এর জায়গায় বৈষম্যবিরোধী না বলে ফ্যাসিবাদ বিরোধী বললে মনে হয় বেশি মানানসই হতো। বিগত দশ-পনের বছর ধরে আমরা খুব নগ্নভাবেই বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ ঘটতে দেখেছি। এই ফ্যাসিবাদ যেন আর বাংলাদেশে ফিরে না আসে।”

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মফিজুল ইসলাম বলেন, “যে উদ্দেশ্যে ছাত্ররা আন্দোলন করেছে যারা জীবন দিয়েছে, সেই মানুষের দোরগোড়ায়, বঞ্চিত মানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করবো। সেইসঙ্গে দুর্নীতি ও শোষণমুক্ত এবং বঞ্চনামুক্ত একটি সোনার বাংলা আমরা গড়ে তুলবো। দেশপ্রেম নিয়ে নিঃস্বার্থভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে আপনাদের দ্বারাই সম্ভব। আপনারা এগিয়ে যান, আমরা পাশে আছি।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাবনা জেলার আহ্বায়ক বরকতউল্লাহ ফাহাদ। সঞ্চালনা করেন কমিটির সদস্য সচিব মনজুরুল ইসলাম।

ঢাকা/শাহীন/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল ইসল ম প বন র

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকার চেয়ে আজ দেশের ৪ বিভাগীয় শহরে বায়ুদূষণ অনেক বেশি

বায়ুদূষণে আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানী ঢাকাকে ছাপিয়ে গেছে দেশের চার বিভাগীয় শহর। দেশের বিভিন্ন এলাকার বায়ুর মানও দিন দিন খারাপ হচ্ছে। আজ যে চার বিভাগীয় শহরের বায়ুর মান রাজধানীর চেয়ে অনেকটাই খারাপ, সেগুলো হলো সিলেট, রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ।

এর মধ্যে গতকাল বুধবার সকালে ঢাকাসহ দেশের আটটি বিভাগীয় শহরের বায়ুর মানের হিসাবে সিলেট নগরীর বায়ুর মান সবচেয়ে খারাপ ছিল। গতকাল সকাল পৌনে ৯টায় আইকিউএয়ারের মানসূচকে এ নগরীর বায়ুর মান ছিল ২১৮। বায়ুর এ মানকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে গণ্য করা হয়। ঠিক এ সময়েই বিশ্বের ১২৬ নগরীর মধ্যে বায়ুদূষণে তৃতীয় স্থানে ছিল ঢাকা। আইকিউএয়ারের মানসূচকে ঢাকার গড় বায়ুমান ১৭৯। এ মানকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়।

আজও দেশের আট বিভাগীয় শহরের মধ্যে সিলেটের বায়ুমান সবচেয়ে খারাপ। আজ সকাল পৌনে নয়টার দিকে আইকিউএয়ারের মানসূচকে এ নগরীর বায়ুর মান ছিল ১৮৯। এ মানকে অস্বাস্থ্যকর হিসেবে গণ্য করা হয়। আজ রাজধানীর বায়ুর মানের খানিকটা উন্নতি হয়েছে, আইকিউএয়ারের মানসূচকে এর মান ১২৩। এ মানকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বলে গণ্য করা হয়। এই গোষ্ঠীর মধ্যে আছে শিশু, বৃদ্ধ, গর্ভবতী নারী ও অসুস্থ ব্যক্তি। বাইরে বের হলে তাঁদের অবশ্যই মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে আইকিউএয়ার। আর বিশ্বের ১২৪ শহরের মধ্যে আজ রাজধানীর অবস্থান ১৬তম।

দেশের আরও যে তিন বিভাগীয় শহরের মধ্যে রাজশাহীর বায়ুর মান ১৬১, রংপুরে ১৫৭ ও ময়মনসিংহে ১৫৩। প্রতিটি মানই অস্বাস্থ্যকর।

বাকি বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে চট্টগ্রামের মান ১০৪, খুলনার ৮৭ ও বরিশালের ৭৮।
বায়ুদূষণের এ চিত্র তুলে ধরেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। প্রতিষ্ঠানটি বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে।

আজ বায়ুদূষণে শীর্ষে আছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। বায়ুর মান ১৯৬।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) আইকিউএয়ারের ‘বৈশ্বিক বায়ুমান প্রতিবেদন ২০২৪’ তুলে ধরা হয়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বায়ুদূষণে ২০২৪ সালে দেশ হিসেবে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। আর নগর হিসেবে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ দূষিত নগর ছিল ঢাকা। ২০২৩ সালে বায়ুদূষণে বাংলাদেশ শীর্ষে ছিল। নগর হিসেবে ঢাকার অবস্থান ছিল দ্বিতীয়। গত বছর (২০২৪) বায়ুদূষণে শীর্ষ দেশ ছিল আফ্রিকার চাদ। আর নগর হিসেবে শীর্ষে ছিল ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি।

সার্বিকভাবে বায়ুদূষণে আগের বছরের তুলনায় গত বছর বাংলাদেশের অবস্থানের সামান্য পরিবর্তন হয়েছে। তবে এ পরিবর্তনকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন না পরিবেশবাদী ও গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, দূষণ আরও বিস্তৃত হচ্ছে, এবারের প্রতিবেদন সেই বাস্তবতাকে তুলে ধরেছে। কারণ, আগে দেখা গেছে যে রাজধানীর তুলনায় দেশের সার্বিক গড় বায়ুমান কিছুটা ভালো থাকত। কিন্তু এবারের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বাংলাদেশ ও দেশের সবচেয়ে দূষিত নগরী ঢাকার বায়ুর মান প্রায় একই। উভয়ের মান ৭৮।

গত ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এক দিনও নির্মল বায়ু পাননি রাজধানীবাসী। চলতি মাসেরও একই হাল।

রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উৎসগুলোর মধ্যে আছে কলকারখানা ও যানবাহনের দূষিত ধোঁয়া, ইটভাটা, বর্জ্য পোড়ানো। দূষণ রোধে হাঁকডাক ও নানা ধরনের প্রকল্পও কম হয়নি সরকারি স্তরে, কিন্তু দূষণ কমছে না।

দূষণসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ক্যাপসের এক জরিপে দেখা গেছে, ডিসেম্বরে যত বায়ুদূষণ ছিল, তা গত ৯ বছরে সর্বোচ্চ। আবার গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতেও দূষণের মান ছিল ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি। ঢাকার বাতাসে এর উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানমাত্রার চেয়ে ১৭ গুণ বেশি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪৪১ কোটি টাকা লভ্যাংশ দেবে লাফার্জহোলসিম
  • ঢাকার বাতাস আজ ছুটির দিনেও অস্বাস্থ্যকর
  • বাজেটে ৫৩ হাজার কোটি টাকার কাটছাঁট
  • দেশে কোটিপতি আমানতকারী বাড়ছে
  • যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিয়ে ভারতীয় মার্কিনরা উদ্বিগ্ন
  • ঢাকার চেয়ে আজ দেশের ৪ বিভাগীয় শহরে বায়ুদূষণ অনেক বেশি
  • ইস্টার্ন ব্যাংকের পর্ষদ সভা ২০ মার্চ
  • ঢাকার চেয়েও আজ সকালে সিলেটের বায়ুর মান খারাপ
  • দেশে বায়ুদূষণ আরও বিস্তৃত হচ্ছে
  • ইবিতে আওয়ামীপন্থিদের অংশগ্রহণে ভর্তি কমিটির সভায় বাঁধা