‘শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করতে সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ’
Published: 10th, February 2025 GMT
শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারকরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) শ্রীলঙ্কার ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সম্পর্ক আরো গভীর করতে আগ্রহী। দুই দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, মৎস্য, আইসিটি, ফার্মাসিউটিক্যাল, শিপিং এবং মেরিটাইম কানেক্টিভিটি, উচ্চ শিক্ষা, পর্যটন, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ ইত্যাদি ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে। শ্রীলঙ্কা এই অঞ্চলে বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।”
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, “অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে শ্রীলঙ্কার অসাধারণ সাফল্য তার দৃঢ়তা এবং স্থিতিস্থাপকতার প্রমাণ। যেহেতু দুই দেশ শান্তি, সমৃদ্ধি এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের অংশীদারিত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসব সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা আরো দৃঢ় এবং শক্তিশালী দক্ষিণ এশিয়া গড়ে তুলতে পারি। আমরা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং বহুত্ববাদী গণতন্ত্রকে গড়ে তোলা এবং আমাদের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করার দিকে নজর দিচ্ছি।”
অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় সার্ক, বিমসটেক ও অন্যান্য আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় ফোরামে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ওপর দুই দেশ গুরুত্বারোপ করে।
ঢাকা/এএএম/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দিল্লিতে বিজেপির বড় জয়
দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছে দেশটির কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। দুই যুগেরও বেশি সময় পর দিল্লির ক্ষমতায় ফিরছে দলটি। নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি (এএপি)। দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নিজ আসনেও হেরেছেন কেজরিওয়াল। গত দুই নির্বাচনে এএপির ঝোড়ো ফলাফল উল্টে ৪৮টি আসনে ফুটেছে পদ্মফুল। এএপি জয় পেয়েছে ২২টিতে। কোনো আসনে জয় পায়নি কংগ্রেস। খবর এনডিটিভির।
গতকাল শনিবার সকালে ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই বিজেপি বড় ব্যবধানে এগিয়ে যায়। পরে বেলা আড়াইটার দিকে ৮৫ শতাংশ ভোট গণনা শেষ হলে কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায় ফলাফল।
দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজ আসনে বিজেপি প্রার্থী প্রবেশ ভার্মার কাছে হারেন। পরাজয় মেনে নিয়ে এক সংক্ষিপ্ত ভিডিও বার্তায় কেজরিওয়াল বলেন, ‘আজ দিল্লি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা জনগণের রায় শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করছি। জনগণের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আমি বিজেপিকে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানাই। আশা করি তারা জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করবেন।’
এদিকে দিল্লির বিধানসভায় বিজেপির বড় জয়কে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন ও সুশাসন বিজয়ী হয়েছে’। ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, দিল্লির সর্বাঙ্গীণ উন্নয়ন নিশ্চিত এবং মানুষের জীবনমান উন্নত করতে বিজেপি চেষ্টায় কমতি রাখবে না। পাশাপাশি একটি উন্নত ভারত গঠনে দিল্লির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনও নিশ্চিত করবেন তারা।
এর আগে এএপি ২০১৫ সালের নির্বাচনে ৬৭টি ও ২০২০ সালে ৬২টি আসনে জয় পেয়েছিল। অন্যদিকে বিজেপি ২০১৫ সালে মাত্র তিনটি ও ২০২০ সালে আটটি আসন জিতেছিল। ভোটের মাঠে কংগ্রেস থাকায় আম আদমি পার্টির ভোট ভাগাভাগি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।