আদেশ না পৌঁছায় রায়ের ৮ বছর পর মুক্ত সাগর
Published: 10th, February 2025 GMT
উচ্চ আদালতে আপিলে হত্যা মামলায় ২০১৭ সালে মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস পান খুলনা বটিয়াঘাটার বাসিন্দা ইব্রাহিম আলী শেখ সাগর। কিন্তু আদালতের সেই আদেশের কপি কারাগারে না পৌঁছানোয় তাকে বন্দি থাকতে হয় আরও ৮ বছর। তবে আদালত থেকে মুক্তির আদেশের কপি সংগ্রহের পর মুক্তি পান সাগর।
রোববার যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান ইব্রাহিম আলী শেখ সাগর। তিনি খুলনা বটিয়াঘাটা উপজেলার আমীরপুর ইউনিয়নের চরহরিণাবাদ এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে। হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড ছাড়াও তিনি আরও তিনটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন। এর মধ্যে একটিতে যাবজ্জীবন, একটিতে ১০ বছর ও আরেকটিতে সাত বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত। এর আগে যাবজ্জীবন সাজার মামলাও তিনি খালাস পান। বাকী দুটি মামলায় ইতোমধ্যে সাজার মেয়াদ পূর্ণ করেছেন।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালের একটি হত্যা মামলায় নিম্ন আদালত ইব্রাহিম আলী শেখ সাগরকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। পরে মামলাটি উচ্চ আদালতে গেলে ২০১৭ সালে খালাস পান তিনি। কিন্তু কারাগারে তার মুক্তির আদেশ আট বছরেও পৌঁছায়নি। কারাগারে রিলিজ অর্ডার (মুক্তির আদেশ) না আসায় তিনি বন্দি ছিলেন।
বিষয়টি যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারকে অবহিত করে সাগরের পরিবারের লোকজন। এরপর কারাগারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর চিঠি দেওয়া হয়। গত ৬ ফেব্রুয়ারি উচ্চ আদালত থেকে ইব্রাহিম আলী শেখ সাগরের মুক্তির আদেশ (রিলিজ অর্ডার) যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে এসে পৌঁছায়।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার শরিফুল আলম বলেন, ইব্রাহিম উচ্চ আদালতে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেলেও মুক্তির আদেশ না পাওয়ায় তিনি কারাগারে বন্দি ছিলেন। উচ্চ আদালতে যোগাযোগ করে কাগজ পাওয়ার পর যাচাই করে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
.