বিপিএল বললেই চলে আসে ‘বিতর্ক’। গত ১১টি বিপিএলে শব্দটা এতবার এসেছে যে এখন এসব নিয়ে কথা বলতেও ক্লান্তি লাগে। এই একটি টুর্নামেন্ট যেন ক্রিকেট খেলাটাকেই প্রতিবার কেটে-ছিঁড়ে ফালি ফালি করে দেয়।
সদ্য সমাপ্ত একাদশ বিপিএলও ব্যতিক্রম নয়, তবে ব্যতিক্রম এবারের কিছু ইতিবাচক দিক। টুর্নামেন্টে ১২ কোটি টাকার ওপরে টিকিট বিক্রি হয়েছে, যা চোখ বুজে রেকর্ড। এই প্রথম টিকিট বিক্রির টাকার ভাগ পাবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। খেলা দেখে না থাকলেও টাকার অঙ্ক শুনে বুঝে যাওয়ার কথা, বিপিএলে গ্যালারি ছিল ভরপুর। রানপ্রসবা উইকেটে মাঠের ক্রিকেটও এবারই সম্ভবত সবচেয়ে ভালো হয়েছে।
কিন্তু ওই যে বিতর্কগুলো, বিপিএলের যা কিছু ভালো, সবকিছুকেই যে তা আড়াল করে দেয়! তবে শুধু বিতর্ক আর নয়। আসুন এবার একটু খুঁজে দেখা যাক, কী করলে বিপিএল বিতর্কমুক্ত হতে পারে। বাংলাদশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট ক্রিকেট–বিশ্বে কীভাবে ভালো একটা টুর্নামেন্টের মর্যাদা পেতে পারে। একাদশ বিপিএলের সব ম্যাচ দেখে এবং আগের আসরগুলোর অভিজ্ঞতা থেকে এখানে সে রকমই কিছু উপায় খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে—
আয়োজক নির্বাচনে সতর্কতাবিসিবির পরিকল্পনা আছে, আগামী বছর নতুন চক্র থেকে টুর্নামেন্ট আয়োজনের স্বত্ব কোনো স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির হাতে দীর্ঘ মেয়াদে তুলে দেওয়ার। যদিও ২০১২ সালে বিপিএল শুরু হয়েছিল এ রকমই একটি প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে, বিতর্কের শুরুও তখন থেকেই। অভিজ্ঞতা সুখকর ছিল না বলে বিসিবি পরে নিজেরাই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে শুরু করে।
আরও পড়ুনবিপিএল ফাইনাল: জিততে জিততে ঠিক কোথায় হারল চিটাগং কিংস০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫এখন আবার সে পথে ফিরে যেতে হলে অবশ্যই বড় এবং নামী কোনো প্রতিষ্ঠানকে আয়োজনের স্বত্ব দিতে হবে। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছেন, দরপত্রের মাধ্যমে সে রকম সেরা প্রতিষ্ঠানই তাঁরা বেছে নেবেন, যাদের এ ধরনের টুর্নামেন্ট আয়োজনে বিশ্বে সুনাম আছে।
সঙ্গে নিশ্চয়ই বিসিবি এটাও নিশ্চিত করবে যে আয়োজক প্রতিষ্ঠান বিপিএলে স্বার্থের সংঘাত সৃষ্টি করবে না। তাদের নিজেদের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি থাকবে না। তারা খেলোয়াড় আনার এজেন্ট হবে না। ক্রিকেট জুয়ার কারবারে তাদের সংশ্রব থাকবে না। অতীত অভিজ্ঞতা বলে, টুর্নামেন্ট আয়োজন ছাড়া অন্য যেকোনো কিছুর সঙ্গেই আয়োজক প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টতা বিপিএলে বিতর্কের বিপদ ডেকে আনতে পারে।
বরিশালের হাতে বিপিএল ট্রফি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব প এল
এছাড়াও পড়ুন:
বিপিএল ঠিক হতে পারে যেভাবে
বিপিএল বললেই চলে আসে ‘বিতর্ক’। গত ১১টি বিপিএলে শব্দটা এতবার এসেছে যে এখন এসব নিয়ে কথা বলতেও ক্লান্তি লাগে। এই একটি টুর্নামেন্ট যেন ক্রিকেট খেলাটাকেই প্রতিবার কেটে-ছিঁড়ে ফালি ফালি করে দেয়।
সদ্য সমাপ্ত একাদশ বিপিএলও ব্যতিক্রম নয়, তবে ব্যতিক্রম এবারের কিছু ইতিবাচক দিক। টুর্নামেন্টে ১২ কোটি টাকার ওপরে টিকিট বিক্রি হয়েছে, যা চোখ বুজে রেকর্ড। এই প্রথম টিকিট বিক্রির টাকার ভাগ পাবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। খেলা দেখে না থাকলেও টাকার অঙ্ক শুনে বুঝে যাওয়ার কথা, বিপিএলে গ্যালারি ছিল ভরপুর। রানপ্রসবা উইকেটে মাঠের ক্রিকেটও এবারই সম্ভবত সবচেয়ে ভালো হয়েছে।
কিন্তু ওই যে বিতর্কগুলো, বিপিএলের যা কিছু ভালো, সবকিছুকেই যে তা আড়াল করে দেয়! তবে শুধু বিতর্ক আর নয়। আসুন এবার একটু খুঁজে দেখা যাক, কী করলে বিপিএল বিতর্কমুক্ত হতে পারে। বাংলাদশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট ক্রিকেট–বিশ্বে কীভাবে ভালো একটা টুর্নামেন্টের মর্যাদা পেতে পারে। একাদশ বিপিএলের সব ম্যাচ দেখে এবং আগের আসরগুলোর অভিজ্ঞতা থেকে এখানে সে রকমই কিছু উপায় খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে—
আয়োজক নির্বাচনে সতর্কতাবিসিবির পরিকল্পনা আছে, আগামী বছর নতুন চক্র থেকে টুর্নামেন্ট আয়োজনের স্বত্ব কোনো স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির হাতে দীর্ঘ মেয়াদে তুলে দেওয়ার। যদিও ২০১২ সালে বিপিএল শুরু হয়েছিল এ রকমই একটি প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে, বিতর্কের শুরুও তখন থেকেই। অভিজ্ঞতা সুখকর ছিল না বলে বিসিবি পরে নিজেরাই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে শুরু করে।
আরও পড়ুনবিপিএল ফাইনাল: জিততে জিততে ঠিক কোথায় হারল চিটাগং কিংস০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫এখন আবার সে পথে ফিরে যেতে হলে অবশ্যই বড় এবং নামী কোনো প্রতিষ্ঠানকে আয়োজনের স্বত্ব দিতে হবে। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছেন, দরপত্রের মাধ্যমে সে রকম সেরা প্রতিষ্ঠানই তাঁরা বেছে নেবেন, যাদের এ ধরনের টুর্নামেন্ট আয়োজনে বিশ্বে সুনাম আছে।
সঙ্গে নিশ্চয়ই বিসিবি এটাও নিশ্চিত করবে যে আয়োজক প্রতিষ্ঠান বিপিএলে স্বার্থের সংঘাত সৃষ্টি করবে না। তাদের নিজেদের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি থাকবে না। তারা খেলোয়াড় আনার এজেন্ট হবে না। ক্রিকেট জুয়ার কারবারে তাদের সংশ্রব থাকবে না। অতীত অভিজ্ঞতা বলে, টুর্নামেন্ট আয়োজন ছাড়া অন্য যেকোনো কিছুর সঙ্গেই আয়োজক প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টতা বিপিএলে বিতর্কের বিপদ ডেকে আনতে পারে।
বরিশালের হাতে বিপিএল ট্রফি