‘পাতাল লোক ২’, উন্নয়নের স্বপ্ন আর একজন হাতিরামের গল্প
Published: 10th, February 2025 GMT
মহামারির দিনগুলোতে ঘরবন্দী মানুষ একটু স্বস্তি খুঁজছে। নিজের আশপাশ, সমাজব্যবস্থা, পরিবেশ, রাজনীতি—নানা কিছু নিয়ে চিন্তা করছে। এমন সময় অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে মুক্তির পর অন্তর্জালে ব্যাপকভাবে চর্চিত হয় ‘পাতাল লোক’। জাতে ক্রাইম-থ্রিলার, তবে পরতে পরতে রাজনীতি, সমাজব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নির্মাতা। সহজেই সিরিজটি ভারতের অন্যতম সেরা সিরিজের একটি হিসেবে স্বীকৃতি পায়। আলোচিত সেই সিরিজের দ্বিতীয় মৌসুম এল চার বছর অপেক্ষার পর! অনেকে হয়তো ভুলেই গিয়েছিলেন হাতিরাম চৌধুরী আর আনসারির গল্প। কিন্তু গত মাসে দীর্ঘ বিরতির পর ফিরে এসে তাঁরা বুঝিয়ে দিলেন, অপেক্ষার ফল মিষ্টি হয়।
একনজরেসিরিজ: `পাতাল লোক ২'
ধরন: ক্রাইম-থ্রিলার
ক্রিয়েটর: সুদীপ শর্মা
নির্মাতা: অবিনাশ অরুণ
পর্বসংখ্যা: ৮
অভিনয়: জয়দীপ আহলাওয়াত, ঈশ্বক সিং, তিলোত্তমা সোম
স্ট্রিমিং: অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও
কী ঘটেছিল প্রথম মৌসুমে
অনেক চরিত্র একই, তবে গল্পের দিক থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় মৌসুমের খুব একটা সম্পর্ক নেই। তবু একবার প্রথম কিস্তি ফিরে দেখে স্মৃতি ঝালিয়ে নেওয়া যাক। গল্প শুরু হয় সঞ্জীব মেহরাকে দিয়ে। ভারতের অন্যতম এক টিভি চ্যানেলের ডাকসাইটে উপস্থাপক তিনি। সঞ্জীব মেহরার কারণে বড় অনেক শিল্পপতি, এমনকি মন্ত্রীদেরও অপদস্থ হতে হয়েছে মিডিয়ার সামনে। সাংবাদিকতার দিক থেকে কাউকেই ছাড় দিতে রাজি নন সঞ্জীব। হয়তো তেমনই এক শত্রুতার জেরে দিল্লি পুলিশ এক বেনামি ফোনকল পেয়ে চার যুবককে গ্রেপ্তার করে। এই চার যুবক নাকি সঞ্জীব মেহরাকে খুন করার পরিকল্পনা করছিল। তদন্তের দায়ভার পড়ে আউটার যমুনা থানার ইন্সপেক্টর হাতিরাম চৌধুরীর ওপর।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
হাবীবুল্লাহ বাহারের উপাধ্যক্ষকে হত্যা, ফরিদপুর থেকে দম্পতি গ্রেপ্তার
রাজধানীর উত্তরখানের ভাড়া বাসায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় শান্তিনগরের হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) সাইফুর রহমান ভুঁইয়াকে (৫০)। এ ঘটনায় নাজের ও রুপা নামের দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) ফরিদপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে উত্তরখান থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মুহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, নিহতের ভাই মুজাহিদুর রহমান ভূঁইয়া বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করেন। পরে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ওই ফ্ল্যাটে ২০-২২ বছর বয়সী একজন তরুণ ও একজন তরুণীকে ঘিরে সন্দেহ তৈরি হয়। ইতোমধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তাররা হলেন নাজের ও রুপা, তারা স্বামী-স্ত্রী।
উত্তরখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘‘উত্তরখানের পুরান পাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় খুন হন হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষ সাইফুর রহমান ভুঁইয়া। ওই ফ্ল্যাটে কয়েকদিন আগে রুপা ও নাজের নামের ওই দম্পতি ওঠেন। এরপর সোমবার ভোরে তারাই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ রয়েছে।’’
এদিকে মঙ্গলবার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে উপাধ্যক্ষের মরদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। পরে পুলিশ মরদেহ আত্মীয়ের কাছে হস্তান্তর করে।
ঢাকা/মাকসুদ/এনএইচ