প্রেমিকের নির্যাতন, প্লাস্টিক সার্জারি, একচল্লিশেও অবিবাহিত কোয়েন
Published: 10th, February 2025 GMT
বলিউড অভিনেত্রী কোয়েনা মিত্র ১৯৮৪ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা-মা দুজনেই বাঙালি। ছোটবেলা থেকেই মডেলিংয়ের প্রতি তার ঝোঁক ছিল। স্কুলজীবনে মডেলিং শুরু করেন। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে একাধিক বিতর্কে জড়ান এই অভিনেত্রী।
চেক বাউন্স, প্লাস্টিক সার্জারি করিয়ে বহুদিন আলোচনায় ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও সমালোচিত কম হননি। দীর্ঘদিন ধরে মিডিয়ার লাইমলাইটে নেই। একেবারে অন্ধকারে ডুবে গেছে তার ক্যারিয়ার। একচল্লিশের কোয়েনা এখনো অবিবাহিত। কেন বিয়ে করেন না, তা নিয়েও চর্চা হয়েছে। বেশ আগে বিয়ে না করার ব্যাখ্যা করেছিলেন ‘রোড’ সিনেমার এই আইটেম কন্যা।
‘মুসাফির’ তারকা কোয়েনা তুর্কির এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। প্রেমিক তাকে নানাভাবে মানসিক নির্যাতন করতেন। কোয়েনা বলেন, “তুর্কির এক সিনিয়র পাইলটের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলাম। ২০১০ সালে সম্পর্কটি ভেঙে যায়। সে সম্পর্কে আধিপত্য বা কর্তৃত্বপরায়ণ (পজেসিভ) ছিল। আমি যাতে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে না পারি, এজন্য সে আমাকে বাথরুমে আটকে রেখেছিল। কারণ আমি কাজ করি সে তা চাইত না।”
বিয়ে না করার কারণ ব্যাখ্যা করে কোয়েনা বলেন, “তুরস্ক গিয়ে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে বাধ্য করেছিল। কেবল তাই নয়, বিয়ের পর আমার পাসপোর্ট পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিল, যাতে তাকে ছেড়ে না যাই। এরপর বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিই।”
‘মুসাফির’ সিনেমার মাধ্যমে জনপ্রিয়তা লাভ করেন কোয়েনা। এ অভিনেত্রীর ক্যারিয়ারের গ্রাফ ঠিক দিকেই যাচ্ছিল। কিন্তু সেই সময়ে প্লাস্টিক সার্জারির সিদ্ধান্ত নেন। প্লাস্টিক সার্জারি চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়। তার মুখের আকৃতি পুরোপুরি বদলে যায়।
এরপর ক্যারিয়ার গ্রাফ ক্রমশ নিচের দিকে নামতে শুরু করে। কোনো পরিচালকই তাকে কাজের সুযোগ দেননি। কারণ কোয়েনার মুখের আকৃতি এতটাই খারাপ হয়েছিল যে, হাসতে গেলেও মুখে ব্যথা পেতেন।
তথ্যসূত্র: ডিএনএ
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দুই জেলায় শৈত্যপ্রবাহ, এমন অবস্থা কয় দিন থাকতে পারে
দেশের দুই জেলায় আজ রোববার বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। গতকাল শনিবার থেকেই এ শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামীকাল রোববার থেকেই তাপমাত্রা আবার বাড়তে পারে। তিন থেকে চার দিন ধরে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। তারপর এ তাপমাত্রা আবার কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ দেশের যে দুই জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বইছে, সেগুলো হলো মৌলভীবাজার ও রাজশাহী। আজ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
যদি কোনো এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়, তবে সেই এলাকায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে বলে ধরা হয়। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। তাপমাত্রা ৪ দশমিক ১ থেকে ৬ ডিগ্রি হলে তা তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। আর অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ তখনই হয়, যখন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, আগামীকাল থেকেই আবার তাপমাত্রা বাড়তে পারে। অন্তত তিন থেকে চার দিন টানা তাপমাত্রা বাড়তে পারে। এরপর অবশ্য তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
চলতি বছর শীত মৌসুমে দেশে স্বাভাবিক শীত পড়েনি। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে শূন্য দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। জানুয়ারি মাসের শেষে আবার শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়। তবে ওই মাসে কোনো তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হয়নি কোনো স্থানে। ২০১৬ সালের পর দেশে এমনটা হয়নি বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য।
এরপর গতকাল থেকে দেশের দুই জেলায় শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয় দুই জেলায়।
তিন থেকে চার দিন পর তাপমাত্রা কমে কি নতুন করে কোথাও শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে—এ প্রশ্নের উত্তরে শাহীনুল ইসলাম বলছিলেন, শৈত্যপ্রবাহ হবে কি না, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। তাপমাত্রা কমবে, কিন্তু শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার সম্ভাবনা কম।
আজ রাজধানীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।