লিবিয়ায় দুটি গণকবর থেকে প্রায় ৫০ অভিবাসী-শরণার্থীর লাশ উদ্ধার
Published: 10th, February 2025 GMT
লিবিয়ার কর্তৃপক্ষগুলো দেশটির দক্ষিণ-পূর্ব মরুভূমিতে দুটি গণকবর থেকে অন্তত ৫০ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এসব অভিবাসন ও শরণার্থী প্রত্যাশীর মরদেহ, যারা দেশটির মধ্য দিয়ে ইউরোপে পাড়ি জমাতে চেয়েছিলেন।
গতকাল রোববার দেশটির নিরাপত্তা অধিদপ্তর এক বিবৃতিতে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার দক্ষিণ-পূর্ব দিকের কুফরা শহরের একটি খামারের গণকবর থেকে ১৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এসব লাশের দেহাবশেষ ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে।
কুফরার নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ আল-ফাদিল বলেন, কর্তৃপক্ষগুলো শহরটির একটি বন্দিশিবিরে অভিযান চালালে সেখানে আরও একটি গণকবর পাওয়া যায়। এই কবর থেকে অন্তত ৩০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এই কর্মকর্তা বলেন, বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের ভাষ্যমতে, এই গণকবরে প্রায় ৭০ ব্যক্তিকে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ গণকবরটিতে অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছে।
পূর্ব ও দক্ষিণ লিবিয়ায় অভিবাসন ও শরণার্থী প্রত্যাশীদের সহায়তাদানকারী দাতব্য প্রতিষ্ঠান আল-আবরিন বলেছে, গণকবরে যাদের মরদেহ পাওয়া গেছে, তাদের কাউকে কাউকে মাটিচাপা দেওয়ার আগে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।
লিবিয়াতে গণকবর শনাক্তের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। গত বছর রাজধানী ত্রিপোলির দক্ষিণের শুয়ারিফ অঞ্চলের একটি গণকবর থেকে অন্তত ৬৫ অভিবাসন প্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।
আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপে যাওয়ার জন্য অভিবাসন ও শরণার্থী প্রত্যাশীদের একটি বড় অংশ লিবিয়াকে বেছে নেন। তাঁদের নানা ধরনের দুর্বলতার সুযোগ গ্রহণ করে মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যরা। অঞ্চলটির চাদ, নাইজার, সুদান, মিসর, আলজেরিয়া এবং তিউনিসিয়াসহ ছয়টি দেশের সীমান্ত জুড়ে এক দশকেরও বেশি ধরে অস্থিতিশীলতা, অভিবাসন এবং শরণার্থী প্রত্যাশীদের পাচার থেকে তারা বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
মানবাধিকার গোষ্ঠী ও জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো লিবিয়ায় পদ্ধতিগতভাবে জোরপূর্বক শ্রম, মারধর, ধর্ষণ এবং নির্যাতনের শিকার শরণার্থী প্রত্যাশীদের ওপর নির্যাতন নিয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। সাগর থেকে যাদের আটক করে লিবিয়ায় ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাদের সরকার পরিচালিত বন্দিশিবিরে আটক রাখা হয়। সেখানে তাঁরা ধর্ষণ ও চাঁদাবাজিসহ নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হন।
ন্যাটোর সহায়তাপুষ্ট একটি গণ-অভ্যুত্থানে ২০১১ সালে লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতন হয়। এরপর থেকে দেশটি অশান্ত রয়েছে। গত এক দশকের অধিকাংশ সময় উত্তর আফ্রিকার জ্বালানি তেল-সমৃদ্ধ দেশটিতে দুটি সরকার রয়েছে। একটি পূর্বে ও আরেকটি পশ্চিমে। প্রত্যেক সরকারকে একাধিক যোদ্ধা গোষ্ঠী ও বিদেশি সরকার সহায়তা দিচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র মরদ হ শরণ র থ সরক র র একট
এছাড়াও পড়ুন:
লিবিয়ায় দুটি গণকবর থেকে প্রায় ৫০ অভিবাসী-শরণার্থীর লাশ উদ্ধার
লিবিয়ার কর্তৃপক্ষগুলো দেশটির দক্ষিণ-পূর্ব মরুভূমিতে দুটি গণকবর থেকে অন্তত ৫০ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এসব অভিবাসন ও শরণার্থী প্রত্যাশীর মরদেহ, যারা দেশটির মধ্য দিয়ে ইউরোপে পাড়ি জমাতে চেয়েছিলেন।
গতকাল রোববার দেশটির নিরাপত্তা অধিদপ্তর এক বিবৃতিতে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার দক্ষিণ-পূর্ব দিকের কুফরা শহরের একটি খামারের গণকবর থেকে ১৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এসব লাশের দেহাবশেষ ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে।
কুফরার নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ আল-ফাদিল বলেন, কর্তৃপক্ষগুলো শহরটির একটি বন্দিশিবিরে অভিযান চালালে সেখানে আরও একটি গণকবর পাওয়া যায়। এই কবর থেকে অন্তত ৩০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এই কর্মকর্তা বলেন, বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের ভাষ্যমতে, এই গণকবরে প্রায় ৭০ ব্যক্তিকে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ গণকবরটিতে অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছে।
পূর্ব ও দক্ষিণ লিবিয়ায় অভিবাসন ও শরণার্থী প্রত্যাশীদের সহায়তাদানকারী দাতব্য প্রতিষ্ঠান আল-আবরিন বলেছে, গণকবরে যাদের মরদেহ পাওয়া গেছে, তাদের কাউকে কাউকে মাটিচাপা দেওয়ার আগে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।
লিবিয়াতে গণকবর শনাক্তের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। গত বছর রাজধানী ত্রিপোলির দক্ষিণের শুয়ারিফ অঞ্চলের একটি গণকবর থেকে অন্তত ৬৫ অভিবাসন প্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।
আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপে যাওয়ার জন্য অভিবাসন ও শরণার্থী প্রত্যাশীদের একটি বড় অংশ লিবিয়াকে বেছে নেন। তাঁদের নানা ধরনের দুর্বলতার সুযোগ গ্রহণ করে মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যরা। অঞ্চলটির চাদ, নাইজার, সুদান, মিসর, আলজেরিয়া এবং তিউনিসিয়াসহ ছয়টি দেশের সীমান্ত জুড়ে এক দশকেরও বেশি ধরে অস্থিতিশীলতা, অভিবাসন এবং শরণার্থী প্রত্যাশীদের পাচার থেকে তারা বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
মানবাধিকার গোষ্ঠী ও জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো লিবিয়ায় পদ্ধতিগতভাবে জোরপূর্বক শ্রম, মারধর, ধর্ষণ এবং নির্যাতনের শিকার শরণার্থী প্রত্যাশীদের ওপর নির্যাতন নিয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। সাগর থেকে যাদের আটক করে লিবিয়ায় ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাদের সরকার পরিচালিত বন্দিশিবিরে আটক রাখা হয়। সেখানে তাঁরা ধর্ষণ ও চাঁদাবাজিসহ নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হন।
ন্যাটোর সহায়তাপুষ্ট একটি গণ-অভ্যুত্থানে ২০১১ সালে লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতন হয়। এরপর থেকে দেশটি অশান্ত রয়েছে। গত এক দশকের অধিকাংশ সময় উত্তর আফ্রিকার জ্বালানি তেল-সমৃদ্ধ দেশটিতে দুটি সরকার রয়েছে। একটি পূর্বে ও আরেকটি পশ্চিমে। প্রত্যেক সরকারকে একাধিক যোদ্ধা গোষ্ঠী ও বিদেশি সরকার সহায়তা দিচ্ছে।