অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কারের পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে কিনা, তা দেখা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘কোনো কালবিলম্ব না করে সময়মতো, যৌক্তিক টাইমে নির্বাচন দিন, সবাই স্যালুট জানাবে।’

রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ১২ দলীয় জোটের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। সংবিধান ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কার, অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে প্রণীত ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা করে ১২ দলীয় জোট। নেতাকর্মীর মধ্যে ৩১ দফা নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড.

মাহাদি আমিন। 

গয়েশ্বর বলেন, ৩১ দফা একটি জাতীয় সনদ। ৬২টি দল একমত হয়ে এই সদন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।  

কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের  চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সিনিয়র সহসভাপতি রাশেদ প্রধান ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ। 

এদিন জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রজন্ম একাডেমি ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘সংস্কার, নির্বাচন ও দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায়ও বক্তব্য দেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

বিপিএলে বিদেশি খেলোয়াড়দের সব দায়িত্ব এখন থেকে বিসিবির

দর্শকের বিপুল সাড়ার মধ্য দিয়ে কাল রাতে বিপিএল শেষ হলেও টুর্নামেন্টজুড়ে চলা পারিশ্রমিককেন্দ্রিক নেতিবাচক ঘটনার রেশ পুরোপুরি শেষ হয়নি।

বিদেশি ক্রিকেটারদের সময়মতো পারিশ্রমিক না দেওয়া নিয়ে এবার দেশে–বিদেশে যে আলোড়ন উঠেছে, ভবিষ্যতে তা এড়াতে এখন থেকেই উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

বিপিএল ও দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, এখন থেকে বিপিএলের ড্রাফটে থাকা সব বিদেশি ক্রিকেটারের দায়িত্ব নেবে বোর্ড।

বিসিবির দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিন ধরনের উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে।

প্রথমত, বিদেশি খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকের সরাসরি ব্যবস্থাপনা। বিপিএল ড্রাফটে থাকা খেলোয়াড়দের চুক্তি ও ম্যাচ ফির অর্থ স্বচ্ছভাবে ও সময়মতো পরিশোধের দায়িত্ব নেবে বিসিবি।

দ্বিতীয়ত, সার্বিক লজিস্টিক্যাল সহায়তা। বিপিএল শেষে বিদেশি খেলোয়াড়দের নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছানোর সব লজিস্টিক্যাল বিষয় তত্ত্বাবধান করা হবে।

তৃতীয়ত, ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে আর্থিক প্রটোকল উন্নততর করা। খেলোয়াড়দের স্বার্থ ও পারিশ্রমিক পরিশোধের প্রক্রিয়া সুরক্ষিত করতে ও আরও নিয়ন্ত্রিত আর্থিক প্রটোকল প্রতিষ্ঠা করা হবে।

বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘এ ধরনের পদক্ষেপ বিপিএলে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ও স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সব ক্রিকেটারদের জন্য একটি পেশাদার অভিজ্ঞতা দেওয়ার ব্যাপারে বিসিবির প্রতিশ্রুতিকে প্রমাণ করে। অর্থিক ও পরিচালনার ক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী করতে বিসিবি বাকি অংশীদারদের সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে।’

একাদশ বিপিএল ফাইনালের পর দিন বিসিবির ‘দায়িত্বগ্রহণ’ সম্বলিত ঘোষণাটি এসেছে পারিশ্রমিক বিষয়ে টালমাটাল কয়েক সপ্তাহের জেরে। এবারের বিপিএলে খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফদের পারিশ্রমিক না দেওয়া নিয়ে বারবার শিরোনাম হয়েছে দুর্বার রাজশাহী। খেলোয়াড়দের অনুশীলন বর্জন, টাকা না পেয়ে বিদেশিদের না খেলা, একাধিকবার চেক বাউন্স, বিদেশিদের হোটেলে আটকে থাকাসহ বিভিন্ন বিতর্কে জড়িয়েছে দলটি। পারিশ্রমিক না পাওয়া নিয়ে বিতর্ক ছিল চিটাগং কিংস দলেও।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিপিএলে বিদেশি খেলোয়াড়দের সব দায়িত্ব এখন থেকে বিসিবির