কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বালুরঘাটে প্রায় এক লাখ টাকা ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সদকী ইউনিয়নের জিলাপীতলা গড়াই নদী ঘাটে এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতি শেষে পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়তে ছুড়তে চলে যায় ডাকাতরা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

জিলাপীতলা বালুরঘাটের ব্যবস্থাপক এনামুল হোসেন বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনটি মোটরসাইকেলে ৯ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি বালুরঘাটে আসেন। তাদের মাথায় হেলমেট পড়া এবং হাতে শর্টগান ছিল। সেসময় তারা অস্ত্রের মুখে আমাদের জিম্মি করে এবং ড্রয়ারে থাকা প্রায় ৯০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা নিয়ে দ্রুত চলে যান। যাওয়ার সময় ডাকাতরা পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

তার ভাষ্য, প্রায় দুই কোটি টাকা দিয়ে পাউবো থেকে বালুরঘাট ইজারা নেওয়া হয়েছে। মূলত বালুরঘাট দখল নেওয়ার জন্য এ ঘটনা ঘটতে পারে। তিনি থানায় মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।

পাঁচ রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী।

কুমারখালী থানার ওসি মো.

সোলায়মান শেখ বলেন, এলাকাবাসীর মাধ্যমে জিলাপীতলা বালুরঘাটে গুলির ঘটনাটি শুনেছি। ঘটনাস্থলে ফোর্স ফাটানো হয়েছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বাদ যাচ্ছে ১৬ লাখ মৃত ভোটার, সুযোগ নেই কারচুপির: ইসি আনোয়ারুল

নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, কমিশনের কাছে ভালো নির্বাচন না করার কোনো বিকল্প নেই। এবার প্রথমবারের মতো ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ছে প্রায় ১৬ লাখ মৃত ভোটার। এতে কোন কারচুপির সুযোগ নেই। 

সোমবার সন্ধ্যায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ ২০২৫ উপলক্ষে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক কক্ষে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি সাংবাদিকদের এই কথা বলেন।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে যাতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, সেই লক্ষ্যেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমতের ভিত্তিতে আমরা একটি ভালো নির্বাচন চাই। স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়টি সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন এগিয়ে যাচ্ছে। তবে সংস্কারের বিষয়টি নিয়ে কাজ হচ্ছে।’

নির্বাচনী আসন নিয়ে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মানিকগঞ্জে একটি সংসদীয় নির্বাচনী আসন কমানো হয়েছে। আসন পুনরুদ্ধারে অনেকগুলো আবেদন নির্বাচন কমিশনের কাছে এসেছে। এ বিষয়টি দেখা হবে।

নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে পর্যালোচনা করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ভালো একটা নির্বাচন এবং অতীতের গ্লানি মুছে ফেলতে কী কী করণীয় প্রয়োজন, তা আমরা এক্সারসাইজ করে রেখেছি। সংস্কার প্রতিবেদন অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব এবং সেই অনুযায়ী কাজ করব।

মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মনোয়ার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের একান্ত সচিব মো. কামরুজ্জামান, ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুস আলী, পুলিশ সুপার মোছা. ইয়াসমিন খাতুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আলী,‌ জেলা নির্বাচন অফিসার মো. নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ