চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে স্মৃতি জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ জাদুঘরে স্থান পেয়েছে পুরোনো দিনের চক্ষু চিকিৎসা পদ্ধতির নানা সামগ্রী, টেলিফোন, মোবাইল ফোন, বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র, গানের রেকর্ডারসহ বিবিধ দুষ্প্রাপ্য জিনিস।
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে ডা. মুকতাদির চক্ষু হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় রয়েছে এ জাদুঘর। যা প্রতিষ্ঠা করেছেন খ্যাতনামা চক্ষু চিকিৎসক মুকতাদির।
স্মৃতি জাদুঘরে দর্শনার্থীদের স্বাগত জানানোর জন্য প্রবেশদ্বারে রাখা হয়েছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের হুঁকা ও পানদানি। এ ছাড়া রয়েছে নানা সময়ের চশমা, মোমদানি, হারিকেন, কুপিবাতি, কলেরগান (গ্রামোফোন), হ্যাজাকবাতি, কেরোসিন স্টোভ, রেডিও, টেপ রেকর্ডার, হারমোনিয়াম, হাওয়াইয়ান গিটার, তবলা, টেলিফোন, ফ্যাক্স মেশিন, ট্রানজিস্টর ও ক্যাসেট প্লেয়ার, সাদা-কালো টিভি, টাইপ রাইটার, ভিসিআর, ক্যাসেট, তারবিহীন ইন্টারকম, সিডি প্লেয়ার ও ডিভিডি প্লেয়ার।
গত ১ জানুয়ারি জাদুঘরটি উদ্বোধন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডা.
স্মৃতি যাদুঘরে স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত চক্ষু চিকিৎসক অধ্যাপক এ কে এম এ মুকতাদিরের বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের নানা স্মৃতিবিজড়িত অসংখ্য নিদর্শন রয়েছে। রয়েছে তাঁকে নিয়ে ৪৭ বছরের প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদপত্রের কাটিং। এ জাদুঘরে ৬২টি দেশের মুদ্রাও রাখা হয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
৭ বছর পর চুয়েট ছাত্রলীগের ছয় নেতার নামে মামলা
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) ২০১৮ সালে দুই শিক্ষার্থীকে মারধর, চাঁদাবাজি এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে। এতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের চুয়েট শাখার সাবেক ৬ নেতাকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার সাত বছর পর মামলা দুটি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও কৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মাহমুদুল ইসলাম ও জামিল আহসান।
রাউজান থানায় ওই মামলায় আসামিরা হলেন– চুয়েটের তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ ইমাম বাকের, সাখাওয়াত হোসেন, অতনু মুখার্জি, নিলয় দে, মেহেদী হাসান ফরহাদ ও মোহাম্মদ ফখরুল হাসান ফাহাদ। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
জামিল সমকালকে বলেন, নির্যাতন শেষে বাকের বলেছিল, হাসিনা আরও ১০ বছর ক্ষমতায় থাকবে। অর্থাৎ তারা ভেবে নিয়েছিল ওই নির্যাতনের জন্য তাদের কখনও জবাবদিহি করতে হবে না। এজন্যই মামলাটি করেছি।
মামলায় কারণে শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারেননি মাহমুদুল। তিনি বলেন, ওই ঘটনার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে আমার জীবনে।