পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে সড়ক সম্প্রসারণের জন্য সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে ফেলে রাখা হয়েছে। ফলে রোদ-বৃষ্টিতে দুই বছর ধরে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে কয়েক লাখ টাকার গাছ।
পত্তাশী ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর কেওড়ার মোড় থেকে খেজুরতলা বাজার পর্যন্ত এলজিইডির এক কিলোমিটার সড়কের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের মার্চ মাসে। সে সময় ঠিকাদার ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটার সময় সড়কের দুই পাশে থাকা সামাজিক বনায়নের মেহগনি, বেল, শিশুসহ নানা প্রজাতির বড় বড় গাছ উপড়ে পড়ে যায়। এলজিইডি ও বন বিভাগের সমন্বয়হীনতার কারণে গাছগুলো বিক্রি বা সরিয়ে ফেলতে কোনো দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। এভাবে ছয় মাস গাছ পড়ে থাকার পর গোড়া থেকে চার থেকে পাঁচ হাত রেখে বাকি গাছ স্থানীয়রা কেটে নিয়ে যায়। অভিযোগ উঠলে বন বিভাগের দায়িত্বে প্রায় ১০০টির মতো গাছ কেটে খেজুরতলা বাজার ও কেওড়ার মোড় এলাকায় জমা করে রাখা হয়। গাছের মূল্য নির্ধারণ করে বন বিভাগ এক মাসের মধ্যে দরপত্র আহ্বান করার কথা ছিল। এর পর দেড় বছর পেরিয়ে গেছে। দরপত্র আহ্বানের নাম-গন্ধও নেই। ফলে গাছগুলো রোদ-বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
পত্তাশী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জোবায়ের হোসেন তালুকদার জানান, দুই বছর আগে রাস্তা নির্মাণের জন্য মাটি কাটার সময় দুই পাশের গাছ উপড়ে পড়ে যায়। গাছগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
বন কর্মকর্তা মহসীন হাওলাদার জানান, খেজুরতলা সড়কের নির্মাণকাজের সময় সামাজিক বনায়নের গাছগুলো পড়ে যায়। এলজিইডি সড়কের মাটি কাটার আগে আমাদের চিঠি দিয়ে জানালে গাছ কাটার ব্যবস্থা করতে পারতাম। শিগগিরই গাছ বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে।
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা প্রকৌশলী লায়লা মিথুন। তাঁর দাবি, রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শুরুর আগে গাছ সরানোর বিষয়ে বন বিভাগকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। তারা তখন ব্যবস্থা নেয়নি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বন ব ভ গ সড়ক র

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত থেকে এলো আমদানির ১০ হাজার টন চাল

আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় ভারত থেকে আমদানি করা ১০ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চালবাহী জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। এই চাল আমদানির কার্যক্রমটি প্যাকেজ-৮ এর আওতায় সম্পন্ন হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়েছে।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় ভারত থেকে মোট ৫ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে ৯টি প্যাকেজে ৪ লাখ ৫০ হাজার টন চাল আমদানির জন্য ইতোমধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

চুক্তি অনুযায়ী এখন পর্যন্ত দেশে পৌঁছেছে মোট ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৭১৯ টন চাল। সর্বশেষ আসা চালের নমুনা পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং খালাস কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/আসাদ/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারত থেকে এলো আমদানির ১০ হাজার টন চাল