বেতাগীর ঝোপখালী চর নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে আশার আলো দেখা দিয়েছে। তাদের আশা, চরটিতে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার আশ্বাস পাওয়া গেছে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে। যা দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন তারা। এ ছাড়া ভূমির সঠিক ব্যবস্থাপনায় ভূমিহীনদের জন্য নতুন বাসস্থানের সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে।
কৃষক, পরিবেশবিদসহ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে সম্ভাবনার নানা দিক। তারা জানায়, বিষখালী নদীর অব্যাহত ভাঙনে দিন দিন বিলীন হয়ে যাচ্ছে দক্ষিণের এ জনপদ। ফলে জেগে ওঠা নতুন চর তাদের মধ্যে সীমাহীন আশা জাগিয়েছে। চরের মাটিতে আবাদ হচ্ছে তরমুজসহ মৌসুমি সবজি। চর ঘেঁষা নদীতে পাওয়া যাচ্ছে প্রচুর মাছ। সেই সঙ্গে রয়েছে পর্যটনে অপার সম্ভাবনা। সবকিছু মিলে চরকে ঘিরে তারা নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন। নদীর বুক চিরে আগামী দশকে এখানে আরও ভূমি জেগে ওঠার সম্ভাবনাও দেখছেন তারা।
বেতাগী উপজেলার বিষখালী নদীর মোহনায় সর্বশেষ জেগে ওঠা ‘ঝোপখালী পাখির চর’। ছোট-বড় বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী, উদ্ভিদের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে এখানকার জীববৈচিত্র্য। এখানে রয়েছে পাখিদেরও অভয়ারণ্য। জোয়ারের সময় চরটি পানিতে প্রায় পূর্ণ হয়ে যায়। এ সময় নৌকায় করে উপভোগ করা যায় এখানকার পাখির কলতান ও বিস্তৃত বনাঞ্চলের সবুজের সমারোহ। তাই চরটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার দাবি স্থানীয় বাসিন্দা ও সচেতন মহলের। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রোববার দুপুরে ‘ঝোপখালী পাখির চর’ পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব খোন্দকার নাজমুল হুদা শামীম।
যুগ্ম সচিব নাজমুল হুদা শামীম ‘ঝোপখালী পাখির চর’কে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের জেলা সমন্বয়কারী হাসানুর রহমান ঝন্টু বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা দক্ষিণের এ চরের প্রকৃতি দেখে যে কেউ মুগ্ধ হবেন। অথচ অনেকেই জানেন না ঘুরে বেড়ানোর জন্য এলাকাটিতে এমন একটি সুন্দর জায়গা রয়েছে। পাখির কলতান ও সবুজের সমারোহে আর ছৈলা গাছের ডালে ডালে পাখির বাসা ভ্রমণপিয়াসী পর্যটকদের মনকে আন্দলিত করবে নিশ্চিত। তাই চরের উন্নয়নে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় প্রশাসনসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
বেতাগী প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইদুল ইসলাম মন্টু বলেন, সরকারি নজরদারি আর পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এখানে গড়ে উঠতে পারে নান্দনিক পর্যটন স্পট, যা থেকে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় হতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশির গাজী বলেন, জেগে ওঠা চরের সার্বিক উন্নয়ন কাজের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা হয়েছে। এর মধ্যে চরটিকে ‘পাখিদের অভয়াশ্রম হিসেবে গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। ক্রমান্বয়ে এসব চরের মানুষকে সরকারি সব সুযোগ-সুবিধার আওতায় আনা হবে। মোটকথা, চরটিকে আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তুলতে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
গত ১৬ জানুয়ারি বেতাগী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নামকরণের ফলক ও জাতীয় পতাকা উড়িয়ে চরটির সূচনা করা হয়।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ঝোপখালী চরে আশার আলো
বেতাগীর ঝোপখালী চর নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে আশার আলো দেখা দিয়েছে। তাদের আশা, চরটিতে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার আশ্বাস পাওয়া গেছে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে। যা দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন তারা। এ ছাড়া ভূমির সঠিক ব্যবস্থাপনায় ভূমিহীনদের জন্য নতুন বাসস্থানের সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে।
কৃষক, পরিবেশবিদসহ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে সম্ভাবনার নানা দিক। তারা জানায়, বিষখালী নদীর অব্যাহত ভাঙনে দিন দিন বিলীন হয়ে যাচ্ছে দক্ষিণের এ জনপদ। ফলে জেগে ওঠা নতুন চর তাদের মধ্যে সীমাহীন আশা জাগিয়েছে। চরের মাটিতে আবাদ হচ্ছে তরমুজসহ মৌসুমি সবজি। চর ঘেঁষা নদীতে পাওয়া যাচ্ছে প্রচুর মাছ। সেই সঙ্গে রয়েছে পর্যটনে অপার সম্ভাবনা। সবকিছু মিলে চরকে ঘিরে তারা নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন। নদীর বুক চিরে আগামী দশকে এখানে আরও ভূমি জেগে ওঠার সম্ভাবনাও দেখছেন তারা।
বেতাগী উপজেলার বিষখালী নদীর মোহনায় সর্বশেষ জেগে ওঠা ‘ঝোপখালী পাখির চর’। ছোট-বড় বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী, উদ্ভিদের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে এখানকার জীববৈচিত্র্য। এখানে রয়েছে পাখিদেরও অভয়ারণ্য। জোয়ারের সময় চরটি পানিতে প্রায় পূর্ণ হয়ে যায়। এ সময় নৌকায় করে উপভোগ করা যায় এখানকার পাখির কলতান ও বিস্তৃত বনাঞ্চলের সবুজের সমারোহ। তাই চরটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার দাবি স্থানীয় বাসিন্দা ও সচেতন মহলের। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রোববার দুপুরে ‘ঝোপখালী পাখির চর’ পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব খোন্দকার নাজমুল হুদা শামীম।
যুগ্ম সচিব নাজমুল হুদা শামীম ‘ঝোপখালী পাখির চর’কে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের জেলা সমন্বয়কারী হাসানুর রহমান ঝন্টু বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা দক্ষিণের এ চরের প্রকৃতি দেখে যে কেউ মুগ্ধ হবেন। অথচ অনেকেই জানেন না ঘুরে বেড়ানোর জন্য এলাকাটিতে এমন একটি সুন্দর জায়গা রয়েছে। পাখির কলতান ও সবুজের সমারোহে আর ছৈলা গাছের ডালে ডালে পাখির বাসা ভ্রমণপিয়াসী পর্যটকদের মনকে আন্দলিত করবে নিশ্চিত। তাই চরের উন্নয়নে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় প্রশাসনসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
বেতাগী প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইদুল ইসলাম মন্টু বলেন, সরকারি নজরদারি আর পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এখানে গড়ে উঠতে পারে নান্দনিক পর্যটন স্পট, যা থেকে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় হতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশির গাজী বলেন, জেগে ওঠা চরের সার্বিক উন্নয়ন কাজের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা হয়েছে। এর মধ্যে চরটিকে ‘পাখিদের অভয়াশ্রম হিসেবে গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। ক্রমান্বয়ে এসব চরের মানুষকে সরকারি সব সুযোগ-সুবিধার আওতায় আনা হবে। মোটকথা, চরটিকে আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তুলতে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
গত ১৬ জানুয়ারি বেতাগী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নামকরণের ফলক ও জাতীয় পতাকা উড়িয়ে চরটির সূচনা করা হয়।