Samakal:
2025-03-12@19:58:07 GMT

ঝোপখালী চরে আশার আলো

Published: 9th, February 2025 GMT

ঝোপখালী চরে আশার আলো

বেতাগীর ঝোপখালী চর নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে আশার আলো দেখা দিয়েছে। তাদের আশা, চরটিতে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার আশ্বাস পাওয়া গেছে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে। যা দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন তারা। এ ছাড়া ভূমির সঠিক ব্যবস্থাপনায় ভূমিহীনদের জন্য নতুন বাসস্থানের সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে। 
কৃষক, পরিবেশবিদসহ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে সম্ভাবনার নানা দিক। তারা জানায়, বিষখালী নদীর অব্যাহত ভাঙনে দিন দিন বিলীন হয়ে যাচ্ছে দক্ষিণের এ জনপদ। ফলে জেগে ওঠা নতুন চর তাদের মধ্যে সীমাহীন আশা জাগিয়েছে। চরের মাটিতে আবাদ হচ্ছে তরমুজসহ মৌসুমি সবজি। চর ঘেঁষা নদীতে পাওয়া যাচ্ছে প্রচুর মাছ। সেই সঙ্গে রয়েছে পর্যটনে অপার সম্ভাবনা। সবকিছু মিলে চরকে ঘিরে তারা নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন। নদীর বুক চিরে আগামী দশকে এখানে আরও ভূমি জেগে ওঠার সম্ভাবনাও দেখছেন তারা।
বেতাগী উপজেলার বিষখালী নদীর মোহনায় সর্বশেষ জেগে ওঠা ‘ঝোপখালী পাখির চর’। ছোট-বড় বিভিন্ন  প্রজাতির প্রাণী, উদ্ভিদের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে এখানকার জীববৈচিত্র্য। এখানে রয়েছে পাখিদেরও অভয়ারণ্য। জোয়ারের সময় চরটি পানিতে প্রায় পূর্ণ হয়ে যায়। এ সময় নৌকায় করে উপভোগ করা যায় এখানকার পাখির কলতান ও বিস্তৃত বনাঞ্চলের সবুজের সমারোহ। তাই চরটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার দাবি স্থানীয় বাসিন্দা ও সচেতন মহলের। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রোববার দুপুরে ‘ঝোপখালী পাখির চর’ পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব খোন্দকার নাজমুল হুদা শামীম।
যুগ্ম সচিব নাজমুল হুদা শামীম ‘ঝোপখালী পাখির চর’কে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের জেলা সমন্বয়কারী হাসানুর রহমান ঝন্টু বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা দক্ষিণের এ চরের প্রকৃতি দেখে যে কেউ মুগ্ধ হবেন। অথচ অনেকেই জানেন না ঘুরে বেড়ানোর জন্য এলাকাটিতে এমন একটি সুন্দর জায়গা রয়েছে। পাখির কলতান ও সবুজের সমারোহে আর ছৈলা গাছের ডালে ডালে পাখির বাসা ভ্রমণপিয়াসী পর্যটকদের মনকে আন্দলিত করবে নিশ্চিত। তাই চরের উন্নয়নে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় প্রশাসনসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
বেতাগী প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইদুল ইসলাম মন্টু বলেন, সরকারি নজরদারি আর পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এখানে গড়ে উঠতে পারে নান্দনিক পর্যটন স্পট, যা থেকে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় হতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশির গাজী বলেন, জেগে ওঠা চরের সার্বিক উন্নয়ন কাজের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা হয়েছে। এর মধ্যে চরটিকে ‘পাখিদের অভয়াশ্রম হিসেবে গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। ক্রমান্বয়ে এসব চরের মানুষকে সরকারি সব সুযোগ-সুবিধার আওতায় আনা হবে। মোটকথা, চরটিকে আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তুলতে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
গত ১৬ জানুয়ারি বেতাগী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নামকরণের ফলক ও জাতীয় পতাকা উড়িয়ে চরটির সূচনা করা হয়। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপজ ল সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরার শিশুটির জীবন সংকটাপন্ন, এক দিনে চারবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’

মাগুরায় যৌন নির্যাতনের শিকার আট বছর বয়সী শিশুটির জীবন সংকটাপন্ন। বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ (আকস্মিকভাবে হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়া) হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য শারীরিক জটিলতাও রয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে। শিশুটির সুস্থতার জন্য সেনাবাহিনী দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে।

সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের শিশুরোগের চিকিৎসাসংক্রান্ত নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (পিআইসিইউ) শিশুটির চিকিৎসা চলছে। প্রতিদিন স্ট্যান্ডার্ড আইসিইউ প্রটোকল অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা এবং সে অনুযায়ী তাকে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।

সেনাবাহিনীর ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, শিশুটি আজ (বুধবার) চারবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হয়েছে। সিপিআর (কার্ডিও পালমোনারি রিসাসিটেশন) দিয়ে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল করা হয়েছে। তার রক্তে লবণের ভারসাম্যহীনতার কারণে ডায়ালাইসিস করা হচ্ছে। অন্যান্য জটিলতার পাশাপাশি শিশুটির রক্তচাপ ৬০/৪০ মিমি পারদ কিংবা তার চেয়ে নিম্নমুখী।

সিএমএইচের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত উচ্চপর্যায়ের চিকিৎসা পর্ষদ সর্বাধুনিক চিকিৎসাপদ্ধতির মাধ্যমে শিশুটির জীবন রক্ষার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।

বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া আট বছরের এই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন শিশুটির মা। শিশুটির ভগ্নিপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। শিশুর বোনের শ্বশুরকে সাত দিন, স্বামী, শাশুড়ি ও ভাশুর প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন মাগুরার আদালত।

গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান। ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিআইসিইউ থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ