ভোরে লাইনে না দাঁড়ালে মেলে না ওএমএসের চাল
Published: 9th, February 2025 GMT
সকাল ১০টার দিকে চাল বিক্রি শুরু করেন ওএমএসের ডিলার। কম দামে কেনার সুযোগ থাকায় ভোরেই লাইনে দাঁড়িয়ে যান লোকজন। এ চাল কিনতে যত মানুষ আগ্রহী, সে তুলনায় বরাদ্দ কম। এ জন্য সকালে লাইনে না দাঁড়ালে চাল পাওয়া দুষ্কর। কথাগুলো তাড়াশ পৌর সদরের বাসিন্দা ৪৭ বছর বয়সী মিনতি রানী সূত্রধরের।
পৌর এলাকায় খোলাবাজারে (ওএমএস) থেকে কম দামে চাল কিনতে সকাল থেকে ভিড় করছেন মিনতি রানীর মতো নিম্ন আয়ের মানুষ। পাঁচ কেজি চাল নিতে অনেককে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষাও করতে হচ্ছে বিক্রয়কেন্দ্রে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় হিমশিম খেতে হচ্ছে ডিলারদের। অনেকে না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। এ জন্য বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি উপকারভোগীর।
গতকাল রোববার ওএমএসের চাল কিনতে এসেছিলেন থানাপাড়ার জাহানারা বেগম। তাঁর ভাষ্য, বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল ৫২ টাকা। অথচ ওএমএমের ৫ কেজি চালের দাম ১৫০ টাকা। এতে ১১০ টাকা সাশ্রয় হয়। স্বল্প আয়ের লোকজনের কাছে ১১০ টাকাও অনেক। এ জন্য সকালে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি।
উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে জানা গেছে, গত ১৩ জানুয়ারি থেকে পৌর সদরে তিনজন ডিলার দৈনিক এক টন করে চাল বরাদ্দ পান। তিন টন চাল নিম্ন আয়ের লোকজনের মধ্যে কেজিপ্রতি ৩০ টাকা দরে সপ্তাহে পাঁচ দিন বিক্রি করেন ডিলার। একজন পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারেন।
নিমতলা এলাকার ওএমএস ডিলার মনোরঞ্জন কর্মকার বলেন, তিন ডিলারকে তিন টন চাল দেওয়া হলেও ভিড় অনেক বেশি। যে বরাদ্দ পাওয়া যায়, তার চেয়ে ক্রেতা বেশি হওয়ায় বিক্রয়কেন্দ্র খোলার আগে মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে যান।
ওএমএসের চাল দিয়ে বাড়ির সদস্যদের খাওয়া চলে বলে জানান আরেক ক্রেতা মাহমুদা খাতুন। বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানালেন পৌরসভার পূর্বপাড়ার বাবুল প্রামাণিক। তিনি বলেন, ‘আজ চাল কিনতে দেড় ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। বরাদ্দ একটু বাড়ালে চাল পেতে এত কষ্ট হতো না।’
হাসপাতাল গেট এলাকায় বিক্রয়কেন্দ্রে আসেন মো.
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, পৌর এলাকায় স্বল্প আয়ের মানুষের ওএমএসের চালের চাহিদা বেশি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ বাড়ানো গেলে আরও কিছু মানুষ উপকৃত হতেন। ইউএনও সুইচিং মং মারমা বলেন, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বরাদ্দ বাড়ানো যায় কিনা, দেখা হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ওএমএস র চ ল ওএমএস র চ ল
এছাড়াও পড়ুন:
১৫ বছরের নিচে কেউ হজে যেতে পারবে না
আগামী বছর হজে যেতে ইচ্ছুকদের জন্য নতুন নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এতে ১৫ বছরের কম বয়সীরা হজে যেতে পারবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সৌদি সরকারের হজ ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে এ কথা জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
গতকাল বুধবার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মামুন আল ফারুকের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় শিশুদের সুস্থতা ও নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে ২০২৫ সালে হজ পালনে আগ্রহীদের সর্বনিম্ন বয়সসীমা ১৫ বছর নির্ধারণ করেছে। সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমে নিবন্ধিত হজযাত্রী, হজ এজেন্সি, হজ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশনা মানতে হবে।
উপসচিব মামুন আল ফারুক সমকালকে বলেন, সৌদি সরকারের নির্দেশনা আমাদের মানতে হয়।