জয়পুরহাটে ১৯টি হিমাগারে আলু সংরক্ষণ ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে টানা কয়েক দিন ধরে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ, স্মারকলিপি প্রদান করে চলছেন চাষি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী। রোববার দুপুরেও শহরের পাঁচুর মোড় জিরো পয়েন্টে মানববন্ধন করেছে জেলা কৃষক দল। গত বছরের দামে আলু সংরক্ষণের দাবিতে এসব কর্মসূচি পালন করলেও হিমাগার মালিকরা অনড়।  

জেলা কৃষক দলের মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাজারে আলুর দাম কম, তার ওপর হিমাগারের ভাড়া অযৌক্তিকভাবে বাড়িয়ে দেওয়ায় কৃষকরা সংকটে পড়েছেন। প্রান্তিক চাষিরা ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বেন। ভাড়া না কমালে উৎপাদনবিমুখ হয়ে পড়বেন কৃষকরা। 

তারা বলেন, এ বছর আলু উৎপাদনের খরচ কয়েক গুণ বেড়েছে। বাড়তি দামে বীজ, সার, কীটনাশক কিনে উৎপাদান করতে গিয়ে আগের তুলনায় অনেক বেশি খরচ পড়েছে। কম দামে আলু বিক্রি করে তারা লোকসানের মুখে পড়েছে। তার ওপর হিমাগারের ভাড়া বাড়ায় কৃষকদের জন্য আলু সংরক্ষণ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে। 

অবিলম্বে ভাড়া বাড়ার ঘোষণা প্রত্যাহার করা না হলে আরও বড় আন্দোলনের ডাক দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা। মানববন্ধনের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার রহমান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাছুদ রানা প্রধান, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক সেলিম রেজা ডিউক, সদস্য সচিব মনজুরুল মওলা পলাশ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শামস মতিন, কৃষক বাবলু মিয়া, রতন কুমার প্রমুখ।

স্থানীয় ভোক্তা, ব্যবসায়ী ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আলু সংরক্ষণের ভাড়া ৭ টাকার স্থলে ৮ টাকা কেজি দরে নিলে খাবার ও বীজ আলুর দাম বৃদ্ধি পাবে। হিমাগারের ভাড়া যত বাড়বে, ব্যবসায়ীরা তত বেপরোয়া হয়ে উঠবেন। প্রভাব পড়বে ভোক্তার ওপরও। 

আলুচাষি বাবলু মিয়া বলেন, হিমাগারের ভাড়া বাড়ানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। যদি তাদের সঙ্গে মালিকরা একমত না হন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে দাবি আদায় করা হবে।

বগুড়া জেলা কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বর্তমানে উচ্চ ঋণের সুদহার, বিদ্যুৎ বিল, মজুরিসহ অন্যান্য খরচ যেভাবে বেড়েছে, তাতে ভাড়া কমানোর কোনো সুযোগ নেই। এই ভাড়া যৌক্তিক কিনা, তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যাচাই করতে পারে।  

জয়পুরহাট কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, এবার বিদ্যুতের দাম বাড়েনি, অন্য কোনো সমস্যাও নেই, তার পরও এক টাকা বাড়ানোয় পুরো চাপ পড়বে ভোক্তাদের ওপর। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক দল র

এছাড়াও পড়ুন:

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি শুরু ১৫ এপ্রিল, মানতে হবে নানা নির্দেশনা, ভর্তি ফি নিয়ে ক্ষোভ

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের ভর্তি ১৫ এপ্রিল শুরু হতে যাচ্ছে। গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে একটি নির্দেশনাবলি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া ভর্তি ফি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা–কর্মী ও শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে’ মানববন্ধনের ডাক দিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, ১৫ ও ১৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি কার্যক্রম চলবে। এর মধ্যে ১৫ এপ্রিল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এ ইউনিটের র‌্যাঙ্কিং তালিকার ১ থেকে ৫০০ শিক্ষার্থীকে এবং পরের দিন তালিকার ৫০১ থেকে ৯৫৫ পর্যন্ত শিক্ষার্থীকে ভর্তির জন্য ডাকা হয়েছে। একই সঙ্গে ১৬ এপ্রিলে স্থাপত্যবিদ্যার র‌্যাঙ্কিং তালিকার ১ থেকে ৩০ পর্যন্ত ডাকা হয়েছে। পরের দিন ১৭ এপ্রিল বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তিতে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ডাকা হয়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ১ থেকে ২১৫ জন, বাণিজ্য ১ থেকে ৮২ ও মানবিকে ১ থেকে ২৮৪ জনকে ডাকা হয়েছে।

ওয়েবসাইটে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সাবজেক্ট নির্বাচন ও ভর্তি নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষার্থীকে সশরীর উপস্থিত থাকতে হবে; এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার মূল ট্রান্সক্রিপ্ট সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে; ভর্তির জন্য ফি বাবদ ১৭ হাজার টাকা সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে; ব্লাড গ্রুপের যথোপযুক্ত প্রমাণপত্র সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে এবং বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে উপস্থিত পরীক্ষার্থীদের মেধাক্রম অনুযায়ী ডাকা হবে। এ ছাড়া একাধিক ইউনিটে আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে কোনো ইউনিটে ভর্তি সম্পন্ন করার পর অন্য ইউনিটে সুযোগ পেলে শুধু বিষয় পরিবর্তন হবে, পুনরায় ভর্তি ফি জমা দিতে হবে না।

আরও পড়ুনকৃষি গুচ্ছ পরীক্ষা, বাকৃবিতে উপস্থিতি ৯০ শতাংশ, ফল ১৫ এপ্রিল হতে পারে১৬ ঘণ্টা আগে

এদিকে গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ভর্তিতে ‘ফি’ বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে উল্লেখ করে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন শাবিপ্রবি ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা। বুধবার পৃথক বিবৃতিতে সংগঠনগুলোর নেতারা বলেন, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি ফি মাত্রাতিরিক্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। তা অনেক ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সাধ্যের বাইরে। তাই ভর্তি ফি কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছে ছাত্রসংগঠনগুলো। অন্যদিকে, আজ রোববার বেলা একটার দিকে প্রশাসনিক শাবিপ্রবির ভবনের সামনে প্রথম বর্ষের ভর্তি ফি কমানোর দাবিতে মানববন্ধন ডেকেছেন একদল শিক্ষার্থী। মানববন্ধন শেষে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার কথা রয়েছে।

আরও পড়ুনএসএসসি পরীক্ষা ২০২৫-এর রুটিন, কোন পরীক্ষা কবে২০ মার্চ ২০২৫

ভর্তির ফি বিষয়ে জানতে চাইলে শাবিপ্রবির ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব মোহম্মদ রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফি বেশি নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে আলোচনা উঠছে। এ নিয়ে প্রশাসনিক পর্যায়ে শিগগিরই আলোচনা হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘মার্চ ফর ড. ইউনুস’ আগে সংস্কার, তারপর নির্বাচনের দাবিতে শহরে মানববন্ধন 
  • পঞ্চগড়ে মেডিকেল কলেজ স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন
  • চীনের অর্থায়নে ১০০০ শয্যার হাসপাতালটি পঞ্চগড়ে স্থাপনের দাবি
  • ‘গাজা যুদ্ধ টিকিয়ে রেখে পুঁজিবাদী রাষ্ট্রগুলো সুবিধা নিচ্ছে’ 
  • কার্যালয়ের ভেতর আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা, বাইরে খুনের বিচার চেয়ে মানববন্ধন
  • শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি শুরু ১৫ এপ্রিল, মানতে হবে নানা নির্দেশনা, ভর্তি ফি নিয়ে ক্ষোভ
  • ‘ফিলিস্তিন জাগে ফিলিস্তিন জাগে’
  • রাষ্ট্রীয় খরচে কোনো অতিথিকে হজে পাঠানো হবে না: ধর্ম উপদেষ্টা
  • গোগনগরে খাল ভরাট করে সড়ক নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • বাবা হত্যার বিচার দাবিতে রাস্তায় দুই শিশু